ময়মনসিংহের সদর উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এক শিয়ালের কামড়ে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আহতদের ময়মনসিংহ নগরীর এস.কে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪০ জনকে হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. প্রজ্ঞানন্দ নাথ। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ওই শিয়ালকে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয়রা। এর আগে, দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে প্রহরী আব্দুর রহিম ফরাজিকে হাত ও পায়ে কামড়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে ওই শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে কামড়িয়েছে ওই শিয়াল। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও নারী। তাদের নাক, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
পরে শিয়াল আতঙ্কে ওই সব গ্রামে করা হয় মাইকিং। আহতদের মধ্যে ৪০ জন এস.কে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তবে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এতগুলো মানুষ আহত হলেও সরকারীভাবে এখনো কোনো ধরনের সহায়তা করা হয়নি। আহত এবং স্থানীয়রা জানান, কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে একটি গরু মারা যায়। গরুটি মারা গেলে মাটিতে না পুঁতে খোলা মাঠে ফেলে রাখা হয়। মরা গরুর মাংস খেয়েই এক বা একাধিক শেয়াল পাগল হয়। এবং পরবর্তীতে শিয়াল বাড়িতে ঢুকে অথবা সড়কে থাকা বিভিন্ন বয়সের মানুষকে কামড়ে দেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রুমা আক্তার জানান, ‘মাকে শিয়ালে কামড়াইতাছিল, আমি আর আমার ছোট ভাই ফিরাইতে গেলে দুইজনেরই কামড়ায় শিয়াল’।
আল-আমিন নামের আরেকজন জানান, ‘সুহিলা গ্রামের একটি সড়ক দিয়ে আমরা ১০ থেকে ১২ জন হেঁটে যাচ্ছিলাম। এমন সময় একটি শিয়াল আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং ৭/৮ জনকে কামড়ে দেয়। অনেক মহিলাদের নামাজরত অবস্থায় থাকার সময়ও শিয়ালটি কামড় দেয়। ’