দীর্ঘতম এশিয়া সফরের শুরুতে জাপানে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১২ দিনের এই সফরে তিনি চীন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইন যাবেন।
ট্রাম্পের সফর এমন একসময়ে হচ্ছে, যখন উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা চরমে রয়েছে। যে পাঁচ দেশে তিনি যাবেন, সেই প্রতিটি দেশেরই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যাশা রয়েছে।
শুরুতেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রত্যাশা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দেশটির পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের গরম সব মন্তব্য এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে সিউল।
দেশটির সরকারের প্রত্যাশা সফরের সময় ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মৈত্রীর সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করবেন। এছাড়াও সিউলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের ব্যপারেও সমর্থন দেবেন। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া চায় পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তা যেন অবারিত রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিরাপদ হবে এবং বড় হুমকিতে পড়বে না দক্ষিণ কোরিয়া।
সফর তালিকার আরেকটি দেশ জাপান, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পুন:র্আশ্বাস যার প্রধান প্রত্যাশা এ সফরে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইতিমধ্যেই নিজেকে এশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে প্রমাণ করেছেন।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের এই সফর কতটা কাজে আসবে? বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মূল গুরুত্ব দেয়া হবে বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে। আর সেজন্য ট্রাম্প ইতোমধ্যেই শি জিনপিংকে চীনের রাজা বলে অভিহিত করেছেন। অবশ্যই আলোচনায় প্রধান বিষয় হিসেবে আসবে উত্তর কোরিয়া।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এশিয়ায় ট্রাম্পের প্রধান বন্ধু
কম্যুনিস্ট দেশ ভিয়েতনামের প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহায়তা বাড়ানো। একসময়ের শত্রুর সঙ্গে এই মৈত্রীর একমাত্র কারণ চীনের খবরদারি ঠেকাতে ভিয়েতনাম আগে থেকেই এ অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্র চায় ভিয়েতনাম বেশি করে মার্কিন পণ্য আমদানি করবে।
সবশেষে ফিলিপাইনের দাবী পুরনো বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরো নিবিড় করবে। বহুদিনের পুরনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির নতুন সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়। কাছাকাছি সময়ে বাক-আক্রমণে ট্রাম্প এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে কেউ কাউকে ছাড় দেননি। কিন্তু সম্পর্কের মোড় ঘোরাতে নতুন চমক দিতে ট্রাম্পের জুড়ি নেই। সেই আশায় আছে ফিলিপাইনও।