পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে মেট্রোপলিটন গণপরিবহন বাস মালিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ওই ধর্মঘট শুরু হয়।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দেয়। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার কোথাও রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলছে না। ফলে সকালে স্কুল-কলেজ, অফিস, আদালতমুখী লোকজনকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরিবহনের অভাবে নির্ধারিত সময়ে অনেকে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। গণপরিবহন না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় অফিসমুখী লোকজনকে। অনেককে গাড়ি না পেয়ে আবার অফিস কামাই করতে হয়েছে। এদিকে নগরীর কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজ ও ইপিজেড এলাকায় পিকেটিং করার সময় চার পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সকালে এ পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। পরিবহনের সাত সংগঠনের মধ্যে ছয়টি এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে পুলিশের হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানানো হয়। সংগ্রাম পরিষদের দাবিগুলো হলো- থানায় মাসোয়ারার নামে গাড়ি আটক করা যাবে না। অবৈধ টমটম ও অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করা। ইঞ্জিনচালিত রিকশা করিমন-নছিমন বন্ধ করা। এছাড়া গণপরিবহন শ্রমিকদের ওপর পুলিশের নির্যাতন বন্ধ করা। গণপরিবহন চালকের লাইসেন্সের শর্ত শিথিল করা। যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করা, শহর এলাকায় গণপরিবহনের টার্মিনাল ও নির্ধারিত পার্কিং স্থাপন করা। বিআরটিতে দালালের উৎপাত ও যানবাহন চালক-মালিকদের হয়রানি বন্ধ করা ইত্যাদি।