কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে কৃষকরা : সংস্কৃতিমন্ত্রী
1, November, 2017, 5:20:27:PM
কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় জেলা সদরে বুধবার দুপুরে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, সার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। কৃষির উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘দেশের কৃষকরা কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে গোটা দুনিয়ায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সরকারের সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই কৃষিতে এই বিপ্লব সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগেও অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কৃষক এবং কৃষির উন্নয়নে তারা চিন্তা করেনি, সময়মতো পুনর্বাসনের কথাও ভাবেনি। এ সরকার কৃষকের কথা ভাবে, তাই সময়মতো পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারছে’।
উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহিনুর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুঁইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এলজিইডি’র গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ১৫০জন নারী শ্রমিকের মাঝে তাদের সঞ্চয়ের ৫৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৪৩০জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনে গম, ভুট্টা, সরিষা, মুগডাল, বিটি বেগুণসহ শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রণোদনার আওতায় ৪ হাজার ১৫০ কৃষক ও পুনর্বাসনের আওতায় ২ হাজার ২৮০ কৃষক রয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫৫০ জনকে সার, বীজ প্রদান করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসীন রেজা জানান, জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ হাজার ৭৪৮ জনকে প্রণোদনা ও ৮হাজার ৩০০ কৃষককে পুনর্বাসনে বীজ, সার প্রদান করা হবে। ওই পরিমান বীজ, সার দিয়ে প্রত্যেকে ১ বিঘা করে জমি আবাদ করতে পারবেন। বাসস।