রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে শুরু হলো দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঈশ্বরদীর পদ্মাতীরের রূপপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্প এলাকায় যে জায়গায় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি হবে, সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কর্ণিক দিয়ে নিজে হাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সাজানো হয় মনোরম সাজে। প্রকল্প এলাকায় নেয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ইউরিক মিখাইল খোসলেভ বলেন, ২০১৭ সালটি রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে সাববেইজ তৈরি করা হয়েছে। আর এ বছরই শুরু হলো রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং তৈরির কাজ।
তিনি জানান, আজ পারমাণবিক চুল্লির জন্য ভিত্তি তৈরির কংক্রিট ঢালাই শুরু হলো। এ কাজের প্রস্তুতির জন্য যন্ত্রের সাহায্যে মাটির অনেক গভীর পর্যন্ত সিমেন্ট মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে, যাতে চুল্লির নিচে মাটির কাঠামোতে কোনো সমস্যা না হয়।
আজ মূল স্থাপনা নির্মাণ শুরুর পর কাজ শেষ করতে ৬৮ মাস সময় পাবে এ কাজের দায়িত্ব পাওয়া রাশিয়ার কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। পরের বছর চালু হবে সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট।