শীতের জন্য অর্ধশতাধিক মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস নিয়ে এসেছে ওয়ালটন
8, November, 2017, 3:05:39:PM
আসছে শীত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিনের গরম শেষে কুয়াচ্ছন্ন ভোররাতে হালকা ঠান্ডা আর সকালের শীত শীত ভাবই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতে ঘর কন্যার কাজকে সহজ করতে প্রস্তুত দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। আসন্ন শীতে দেশের চাহিদার সিংহভাগ পূরণের টার্গেট নিয়েছে তারা। ওয়ালটন শোরুমগুলো সাজানো হয়েছে অর্ধ-শতাধিক মডেলের শীতকালীন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসে।
জানা গেছে, গত কয়েকটি শীতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যাপক চাহিদা ছিলো। বিশেষ করে রুম হিটার, ওয়াটার হিটার বা গীজার, ইলেকট্রিক কেটলি, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, ওভেন, ইন্ডাকশন কুকার, রাইস কুকার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, ওয়াশিং মেশিন, ক্লথ ড্রায়ার, হেয়ার ড্রায়ার, কফি মেকার ইত্যাদি পণ্যেরও চাহিদা বাড়ে শীতে। বিক্রেতারা যুক্তি দেখান- মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সাশ্রয়ী মূল্য এবং প্রযুক্তি পণ্যের সহজলভ্যতার কারণে এসব পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।
ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত গবেষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক বিশ্বে নিত্য নতুন প্রযুক্তি পণ্যের উদ্ভাবন ঘটছে। এসব পণ্য আধুনিক ও কর্মব্যস্ত জীবনে গৃহস্থালীর প্রাত্যহিক কাজকে করেছে আরো সহজ ও আরামদায়ক। তাদের মতে, ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস কোনো বিলাসি পণ্য নয়। বরং ঘরকন্যার দৈনন্দিন কাজ সহজে ও অল্প সময়ে করার ক্ষেত্রে এসব পণ্যের ব্যবহার এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
ওয়ালটন স্মল হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মাশরুর হাসান বলেন, স্থানীয় বাজারে গত দু-তিন বছর শীতকালীন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। অনেক সময় হঠাৎ করেই চাহিদা বেড়ে যায়। তাই, এবার আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ওয়ালটন। বিক্রি বৃদ্ধির জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে মজুদ ব্যবস্থাপনা ও বিপণন কৌশল। দেশের সকল ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুমগুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ। ছাড়া হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের বেশকিছু নতুন মডেল। তার প্রত্যাশা- গতবারের মতো এবারের শীতেও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের চাহিদা পূরণে শীর্ষে থাকবে ওয়ালটন।
ওয়ালটন সূত্রমতে, এবারের শীতকে সামনে রেখে অর্ধ-শতাধিক মডেলের হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে আছে ৬ মডেলের ওয়াশিং মেশিন; ৭ মডেলের রুম হিটার; ২১টি মডেলের রাইস কুকার; ২০, ২৩, ২৫ ও ৩০ লিটারের ৬ মডেলের ইলেকট্রিক ওভেন ও ৫ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন, ৯ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি; ৪ মডেলের ফ্রাইপ্যান ও ইন্ডাকশন কুকার; ৩ মডেলের ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক; ২ মডেলের ওয়াটার হিটার বা গীজার; ২ মডেলের ক্লথ ড্রায়ার এবং ১টি করে মডেলের ইন্ডাকশন কুকার, ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স, হেয়ার ড্রায়ার ও কফি মেকার।
এসব পণ্যের মধ্যে ১৫,৫০০ টাকা মূল্যের ৩০ লিটারের একটি মাইক্রোওয়েব ওভেন নতুন এসেছে। ওয়াশিং মেশিনে ৩৪ হাজার ও ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ব্যয় সাশ্রয়ী দুটি নতুন মডেল যুক্ত হয়েছে। আপকামিং মডেলের তালিকায় রয়েছে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩ টি নতুন মডেলের ওয়াশিং মেশিন। স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের জন্য আগামী মাসের শুরুতেই এগুলো বাজারে ছাড়া হবে। পাইপলাইনে থাকা পণ্যের তালিকায় আরো রয়েছে ইনস্ট্যান্ট ওয়াটার হিটার।
ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ালটন আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে গ্রাহকদের রূচি, চাহিদা ও ক্রয়সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে এসব পণ্যের ডিজাইন তৈরি করছেন। পণ্যের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে মান নিয়ন্ত্রণে তারা জিরো টলারেন্স নীতির অনুসরণ করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় বাজারে গত বছরের শীতে নিজস্ব কারখানায় তৈরি উচ্চমানের ইন্ডাকশন কুকার ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এর প্রধান কারন- সাশ্রয়ী মূল্য ও কম বিদ্যুৎ খরচ। সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে সারা মাস রান্নায় যে টাকা খরচ হয়, তার অর্ধেকেরও কম খরচ হয় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকার দিয়ে রান্নায়। খাবার সহজে গরম করার সুযোগ থাকায় গত শীতে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক লাঞ্চ বক্স চাকুরিজীবীদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারও এই পণ্যটির ব্যাপক চাহিদা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স খাতে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে আড়াই হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন।