বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অসহনীয় অবস্থায় রাজশাহীবাসী। গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে অসহনীয় এমন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে গতি মন্থর হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় উৎপাদন ঘাটতির কারণে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে র্কতৃপক্ষ বলছেন বিদ্যুতের কিছু কাজ চলছে কিন্তু কবে নাগাদ এর সমাধান হবে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাজশাহীর নগর জীবন। বিদ্যুতের এমন দুরবস্থা কবে নাগাদ কাটিয়ে উঠবে এর কোন জবাব নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে।
দিনরাত মিলিয়ে আট থেকে দশবার সমান তালে চলছে বিদ্যুতের যাওয়া আসা। এক ঘণ্টা থেকে শুরু করে দুই বা আরও অধিক সময় পর্যন্ত চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। ঘনঘন এই লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জনজীবন। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। প্রায় দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে বিদ্যুতের এই ভেলকি বাজিতে অতিষ্ঠ রাজশাহীবাসী।
এ সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ঠিক মত পড়ালেখা করতে পারছে না। এছাড়া অফিস আদালতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে বলে জানান তারা।’ এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি,‘লোডশেডিংয়ে অধিকাংশ কল-কারখানায় পণ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।’
এ সম্পর্কে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনি বলেন,‘ ইন্ডাস্ট্রি চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যেয়ে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে তারা লোকসানের মুখে পড়ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে ভৈরব বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান তারা। বিউবো রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রকিব বলেন, ‘টাউনের কাজ শেষ হয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা কেটে যাবে।’ এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, ‘জেলায় দিনে প্রায় সাড়ে ৪’শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ আছে ৩’শ থেকে সাড়ে তিনশো মেগাওয়াট।