শরতকালের এই সময়টাতে কখনও প্রচুর তাপমাত্রা বেড়ে যায় আবার কখনও আদ্র। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাপপ্রবাহ বেড়ে চলে সমান গতিতে। রোদের উত্তাপও থাকে বেশ। তাই এমন অবস্থায় শরীর ঠাণ্ডা না রাখলে বাইরে বেরিয়ে গরমে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় এবং প্রয়োজনীয় পানীয় তৈরির উপকরণ নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
শরীরের তাপমাত্রা কমবে : পেঁয়াজের রস নিয়ে কানের পিছনে এবং বুকের উপরে লাগালে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমবে। শুধু তাই নয়, জিরা এবং মধুর সঙ্গে একটু রোস্টেড পেঁয়াজও আপনার শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, গরমে কাঁচা পেঁয়াজ এমনিতেই উপকারি।
শরীর হবে ঠাণ্ডা : তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ইলেক্ট্রোলাইটস থাকে। ফুটন্ত গরম জলের মধ্যে তেঁতুল ফেলে রস মতো তৈরি করুন। এর পরে জলটা ছেঁকে নিয়ে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা হবে। এছাড়া রয়েছে আম-পান্না। যেমন খেতে সুস্বাদু, তেমনই শরীর ঠান্ডা রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ এর মধ্যে কাঁচা আম থাকে যা ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। তাছাড়াও, আম-পান্নায় বিট নুন, জিরের মতো বিভিন্ন মশলা এবং উপাদান থাকে যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গরমে দিনে দুই থেকে তিনবার আম-পান্না খেতেই পারেন।
ঘামাচি দূর : গরমে ঘামাচি এবং গায়ে জ্বলুনি অত্যন্ত সাধারণ একটা সমস্যা। ধনে পাতা বা পুদিনা পাতার রস সামান্য চিনি দিয়ে মিশিয়ে খেলে শরীর ঠান্ডা হওয়া ছা়ড়াও ত্বকের চুলকানি, জ্বলুনি থেকে আরাম পাওয়া যাবে।
অ্যালোভেরা জুস : অ্যালোভেরা জুস- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনেরেলে ঠাসা। বাইরের পরিবেশে পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরের মোকাবিলা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গরমে ঘামাচি এবং ত্বকের জ্বলুনি থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করেত পারেন।
শরীরের জ্বলুনি হ্রাস : চন্দনকাঠের গুঁড়ো জলের সঙ্গে মিশিয়ে কপালে এবং বুকের উপরে লাগালে শরীর ঠান্ডা হবে। না হলে স্যান্ডেলউড অয়েল কপালে মালিশ করলেও আরাম পাবেন। ত্বকের জ্বলুনি কমাতেও এটি বেশ উপকারি।