রাজীবের নামে স্কুল ও রাস্তা নির্মাণের ঘোষণা
পটুয়াখালীর বাউফলে রাজীব হোসেনের নামে একটি স্কুল নির্মাণ করবেন বলে চ্যানেল জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ বাউফল আসনের এমপি আ স ম ফিরোজ।
অপরদিকে তার বাড়ির সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা, রাজীবের নামে নামকরণ এবং বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রাজীবের খালা খাদিজা বেগম লিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুই দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে রাজীবকে সমাহিত করে তার পরিবার। এর আগে ঢাকায় হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান মাওলানা মো. রুহুল আমিন সিরাজি। সেখানে রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহ, চিফ হুইপ ও স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাসুমুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাঈনুল হাসনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজার আগে চীফ হুইপ সাংবাদিকদের জানান, রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো জাতি মর্মাহত। সরকার রাজীবের পাশে ছিলো, ভবিষ্যতেও তার পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবে। রাজীবের দুই ভাইকে সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জানান, রাজীবের নামে বাউফল দাসপাড়ায় একটি স্কুল তৈরীর কথা ভাবছেন তিনি।
এরপর সকাল ১০টায় দাসপাড়া গ্রামে রাজীবের নানা বাড়িতে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজীবের তৃতীয় জানাজার নামাজ পড়ান তার ছোট ভাই হাফেজ মো. মেহেদি হাসান এবং মোনাজাত করান আরেক ছোট ভাই মো. আব্দুল্লাহ। এরপর রাজীবের নানা-নানীর কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় জানাজা শেষে বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোষণা দেন রাজীবের নানা বাড়িরর সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়কটির নাম রাজীবের নামে হবে। এছাড়া তার নানাবাড়িতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
৩ এপ্রিল রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে মাঝে পড়ে হাত হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব। ১৬ এপ্রিল সোমবার মাঝরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
|
পটুয়াখালীর বাউফলে রাজীব হোসেনের নামে একটি স্কুল নির্মাণ করবেন বলে চ্যানেল জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ বাউফল আসনের এমপি আ স ম ফিরোজ।
অপরদিকে তার বাড়ির সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা, রাজীবের নামে নামকরণ এবং বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রাজীবের খালা খাদিজা বেগম লিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুই দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে রাজীবকে সমাহিত করে তার পরিবার। এর আগে ঢাকায় হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান মাওলানা মো. রুহুল আমিন সিরাজি। সেখানে রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহ, চিফ হুইপ ও স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাসুমুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাঈনুল হাসনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজার আগে চীফ হুইপ সাংবাদিকদের জানান, রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো জাতি মর্মাহত। সরকার রাজীবের পাশে ছিলো, ভবিষ্যতেও তার পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবে। রাজীবের দুই ভাইকে সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জানান, রাজীবের নামে বাউফল দাসপাড়ায় একটি স্কুল তৈরীর কথা ভাবছেন তিনি।
এরপর সকাল ১০টায় দাসপাড়া গ্রামে রাজীবের নানা বাড়িতে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজীবের তৃতীয় জানাজার নামাজ পড়ান তার ছোট ভাই হাফেজ মো. মেহেদি হাসান এবং মোনাজাত করান আরেক ছোট ভাই মো. আব্দুল্লাহ। এরপর রাজীবের নানা-নানীর কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় জানাজা শেষে বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোষণা দেন রাজীবের নানা বাড়িরর সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়কটির নাম রাজীবের নামে হবে। এছাড়া তার নানাবাড়িতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
৩ এপ্রিল রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে মাঝে পড়ে হাত হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব। ১৬ এপ্রিল সোমবার মাঝরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
|
|
|
|
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে সুন্দরবনের হারবাড়িয়ায় এলাকায় কয়লাবোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। রোববার ভোরে বন্দর চ্যানেলে ৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি নিলয়-২ নামে ওই লাইটার কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। দুপুর পর্যন্ত এটি উদ্ধারের কোনো অভিযান শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মাস্টার আনিছুল হক জানিয়েছেন, সুন্দরবনের হারবাড়িয়া এলাকায় পশুর চ্যানেলে ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী এমভি গ্লাস বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে তারা রোববার ভোরে যশোরের নোয়াপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
লাইটারটি কিছুদূর আসার পর ডুবোচরে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ সময় নৌযানে থাকা কর্মচারীরা নিরাপদে তীরে উঠে আসতে সক্ষম হন। এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চ্যানেলে কয়লা নিয়ে লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় বন্দরের কার্যক্রম ও চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে ।
এর আগে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ওটি সাউদার্ন স্টার নামে একটি জাহাজ ডুবে যায়। এতে শ্যালা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় মারাত্মক দূষণের কবলে পড়ে সুন্দরবন। এছাড়া ২০১৬ সালেও শ্যালা নদীতে কয়লাবোঝাই জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে।
|
|
|
|
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় যৌতুকের টাকা না দেয়ায় গৃহবধুর মাথা ন্যাড়া করে দেবার অভিযোগ উঠেছে এক পাষণ্ড স্বামী, ভাসুর ও তার দুই বোনের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের উত্তর হলদীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শাহানারা বেগম তার স্বামীসহ ৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
আটককৃতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে (স্বামী) বাবলু মিয়া ও তার বড় বোন মহুরন নেছা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত ঝুল্লুর রহমানে ছোট মেয়ে শাহানারা বেগমের সহিত ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয় সিন্দুর্না ইউনিয়নের উত্তর হলদীবাড়ি এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে বাবলু মিয়ার। শাহানারা বেগম ও বাবুলের দাম্পত্য জীবনে ৪ জন সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময়ে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন বাবুলের পরিবার। অসহায় ওই জননী স্বামী ব্যবসা বাণিজ্য করবে বলে বাবার বাড়ি থেকে ১লাখ টাকা এনে স্বামীর হাতে তুলে দেন। এরপর আরো টাকার জন্য শাহানারা বেগমকে চাপ দিতে থাকেন বাবুল। টাকা এনে দিতে না পারায় বুধবার সকাল ১০টায় বাবুল তাকে মারধর করেন। শাহানারা বেগম এর প্রতিবাদ করলে তার স্বামী বাবুলসহ ভাসুর ও তার দুই বোন তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে স্বামী বাবুল ব্লেড দিয়ে তার মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে তাকে ঘরের ভিতরে আটকে রাখে।
বিকাল বেলা বাবলু মিয়া বাজারে গেলে ওই সুযোগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহানারা বেগম ঘরের বেড়ার বাঁধন কেটে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পালিয়ে এসে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হন।
এরপর রাত ১০টার দিকে এ বিষয়ে শাহানারা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামীসহ ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাতেই বাবলু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার বড় বোন মহুরন নেছাকে গ্রেফতার করেন।
খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শাহানারা বেগম তার ৪ সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার মাথার চুল সমস্ত ন্যাড়া করা আছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে।
শাহানারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী, ভাশুর ও তাদের দুবোন যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতেন। বিশেষ করে এর মাত্রা বেড়ে যায় তার বাবার মৃত্যুর পরে। তার কোলের ৪ সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি শত অত্যাচার, নির্যাতন নিরবে সহ্য করে গেছেন। ওই নরপশু বাবলু মিয়ার শাস্তি দাবি করছি।
এবিষয়ে সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি উমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বাবলু মিয়া ও তার বড় বোন মহুরন নেছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। প্রধানমন্ত্রীর গাল ছুঁয়ে নিজের হাতে চুমো খান তিনি। উপস্থিত অতিথিরা করতালির মাধ্যমে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণকে অভিনন্দিত করেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নাম স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে উন্নীত হওয়ায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় ‘সোনার বাংলা গড়ার সোপান’ অনুষ্ঠান এবং এসময় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায় রওশন এরশাদ।
এছাড়া এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের সুপারিশপত্র। রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
|
|
|
|
দেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে ক্ষমতাশালী মনে করে সমীহ করে, কিন্তু এবার আইনি প্রতিকার চেয়ে নিজের থানাতেই সাধারণ ডায়েরি করেছে পুলিশ। তাও আবার একটি থানার ওসি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আইনি প্রতিকার চেয়ে নিজের থানাতেই সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কেন তাকে জিডি করতে হলো?
এ প্রশ্নের জবাবে, মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তিনি বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে যোগদান করেছেন। কিন্তু আগে থেকে চলা চাঁদাবাজির একটি মামলায় গত সপ্তাহে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই জামিনে থাকা অভিযুক্ত আসামিরা তাকে ফোনে হুমকি দিতে থাকে।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, তারা সরাসরি আমাকে বদলি করে দেয়া হবে এমন হুমকি দেয়। সেই সাথে তারা মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করবে—এমন আরো অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলে।
বাউফল থানার ওসি বলেন, তখন আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য সাধারণ ডায়েরি করি। আর ঘটনাটা তো আমার নিজের কর্মক্ষেত্রের মধ্যেই হয়েছে, সেজন্য নিজের থানাতেই জিডি করেছি।
কোন নাগরিক সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে সেটি করতে হয় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর। এরপর অভিযোগ তদন্তে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন উপ-পরিদর্শক বা পরিদর্শককে দায়িত্ব দেন ঘটনা খতিয়ে দেখতে।
এক্ষেত্রে মনিরুল ইসলামকে নিজের বরাবরেই জিডি করতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। তবে তদন্তের বিস্তারিত জানাতে চাননি তিনি।
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ পুলিশকে বেশ ক্ষমতাশালী মনে করে সমীহ করে। এজন্য অনেক সময় পুলিশের মাধ্যমে হয়রানির স্বীকার হলেও সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করে না। সেই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা ধরণের অভিযোগ।
বাংলাদেশ পুলিশের দেয়া এক হিসাবে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রায় ৩০ হাজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ জমা পড়েছিল।
এমন প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবেই, আইনি প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাধারণ ডায়েরি করার কথা তেমন শোনা যায় না। কিন্তু মনিরুল ইসলাম বলেন, যেকোনো সাধারণ নাগরিকের মতই পুলিশও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য চেয়ে ডায়েরি করতে পারে।
|
|
|
|
ফেনী পৌর শহরের বারাহীপুর এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া একটি কভার্ডভ্যানে ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুইজন।
আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফেনী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আবদুল আলিম জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন তূর্ণা নিশিথা ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের কাছে বারাহীপুর ক্রসিংয়ে রেললাইনে উঠে পড়া একটি একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের ধাক্কায় কাভার্ডভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে। এতে কভার্ডভ্যানের চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তাদের একজন পরে কুমিল্লা নেয়ার পথে মারা যান।
|
|
|
|
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ফটোগ্রাফার এফএইচ প্রিয়ক ও তার শিশুকন্যা তামারা প্রিয়ন্ময়ীর নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মাঠ এবং ১১টায় মাদবরবাড়ি মাঠে নামাজে জানাজা শেষে নগরহাওলা গ্রামের বাড়িতে তাদের সমাহিত করা হয়।
এরআগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আব্দুল আউয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজের শহীদ মিনারের পাদদেশে তাদের মরদেহ রাখা হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এ সময় প্রিয়কের সহপাঠী, বন্ধু, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

এফএইচ প্রিয়ক ও তার শিশু মেয়ে তামারা প্রিয়ন্ময়ীর কবর
শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা আকতার ও উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) মো. সোহেল রানা মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
|
|
|
|
ফরিদপুরে সরকার অনুমোদিত যৌনপল্লীতে নতুন আসা যৌনকর্মীদের স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনে বাধ্য করা হয়। এসব ট্যাবলেট সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়। গরুর স্বাস্থ্য বাড়াতে ব্যবহার করা এই ট্যাবলেট মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
জানা গেছে, ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে বা বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেক মেয়েকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন যৌনপল্লীগুলোতে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতিদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা কখনও কখনও অর্থের লোভে মেয়েদের বিক্রি করে দেন। সেখানে এসব অসহায় মেয়েকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। যৌনকর্মে বাধ্য করতে খাওয়ানো হচ্ছে গরু ট্যাবলেট।
একাধিক যৌনপল্লীর মালিক নাবালিকাদের, বিশেষ করে ১২-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের স্বাস্থ্য ভালো করতে বিশেষ ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার করেন।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সমীক্ষায় জানা গেছে, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ যৌনকর্মী ওরাডেক্সন বা অন্যান্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট নিয়মিত গ্রহণ করেন। তাদের গড় বয়স ১৫-৩৫ বছর। দেশে আনুমানিক দুই লাখ যৌনকর্মী রয়েছেন।
জানা গেছে, ওরাডেক্সন গ্রহণ করার পর শুরুতে মেয়েদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু এটি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, চামড়ায় ক্ষতের মতো মারাত্মক বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
|
|
|
|
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে বীর ও শহীদদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাজীপুরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টায় গাজীপুর জেলা শহরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
গাজীপুরের এনডিসি বি এম কুদরত-এ-খুদা জানান, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন ১৯ মার্চ। ওইদিন প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়ে কয়েকজন শহীদ হন। এতে আহত হন আরো কয়েকজন। ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর ও শহীদদের নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গাজীপুরে আসবেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি এদিন রাতে গাজীপুর সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করবেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে তিনি কাশিমপুর করাগারে কারা সপ্তাহ-২০১৮ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি এদিন বিকেলে গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে যোগ দেবেন।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই গাজীপুরের সংগ্রামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে। ওইদিন পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে গাজীপুরের মনু খলিফা ও কিশোর নেয়ামত মারা যান। আহত হন ডা. উসুফ, সন্তোষ কুমার, শাহজাহানসহ অনেকে। ১৯ মার্চের বীরত্বকে অমর করে রাখতে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।
|
|
|
|
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার আমির আলীসহ চারজনের মামলায় রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে মর্মে রায় অপেক্ষমান রাখে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার আসামিরা হলেন- আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক।
মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নোয়াখালীর সুধারামে ১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
|
|
|
|
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মোহাম্মদ আলী (৩২) ও রবিন (২২) নামে দুই যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শনিবার ভোরে একলাশপুর ইউনিয়নের ভিআইপি সড়কের আব্দুল চৌকিদার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। প্রাথমিক ধারণা, মাদক সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
|
|
|
হুমায়ুন কবির: কুমারখালী আগুনে পোড়া নিয়ামত বাড়িয়ার আব্দুল বারেক মৃধার বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেন। এখনও বরিক মৃধার পরিবার খোলা আকাশের নিচে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামত বাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল বারিক মৃধার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নীকান্ডে তার শিশু কন্যা নুসরাত (৪) সহ ৬ টি ঘর পুড়ে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার আগেই ত্রান সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীনুজ্জামান। হৃদয় বিদারক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষণিক বাড়ি নির্মানে ৪ বান্ডিল টিন, নগদ ৬ হাজার টাকা, শুকনা খাবার ও অন্যান্য উপকরণ তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীনুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল সলাম, চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুজ্জামান তুষার সাংবাদিক সমাজকর্মকার দীপু মালিক ও সাংবাদিক আঃ সালাম অন্তর প্রমুখও।
|
|
|
|
‘পতাকা একাত্তর’ নামে মুন্সিগঞ্জে উদ্বোধন হয়েছে দেশের প্রথম পতাকা ভাস্কর্য। শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের কাচারী চত্বরে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন জেলার ৭১ জন মুক্তিযোদ্ধা। ঐতিহাসিক ছয় দফায় উজ্জীবিত হয়ে, ছয়টি হাতের ওপর বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকার আদলে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্যটি
১৯৭১ সালের ২ মার্চ বাংলাদেশর আকাশে প্রথম উত্তোলিত হয় স্বাধীন দেশের পতাকা। সেই স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মুন্সিগঞ্জ শররের কাচারী চত্বরে নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম পতাকা ভাস্কর্যটি।
স্বাধীন বাংলাদেশের মূল আন্দোলন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা থেকে। আর সে কারণেই ৬টি হাতের ওপরে নির্মিত বাংলাদেশের মানচিত্র খোচিত ভাস্কর্যটি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উদ্বোধন করেন জেলার ৭১ জন মুক্তিযোদ্ধা। এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজনকরা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রশাসক সায়লা ফারজানা বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে দেশাত্ববোধ জাগ্রত করবে পতাকা ভাস্কর্যটি।
তরুণ ভাস্কর রুপম রায় টানা তিন মাস পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন দৃষ্টিনন্দন পতাকার ভাস্করটি। সহায়তা করেছেন ভাস্কর ইমরান হোসেন টিপলু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন টুলু।
ভাস্কর্যটি নির্মাণে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন সমাজের নানা পেশার মানুষও
|
|
|
|
পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগে ঘুষ ঠেকাতে জেলায় জেলায় তদারক দল পাঠাবে পুলিশ সদর দপ্তর। এই দলের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে গত রোববার পুলিশের অপরাধবিষয়ক সভায় আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, জেলায় জেলায় কনস্টেবল নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। এই দুর্নীতিতে পুলিশের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারাও জড়িত। পুলিশ বাহিনীর কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে সব সময়ই অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কিছু নেতার কাছে চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা দিতে শুরু করেন।
এর আগে এ বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা স্থগিত করা হয়। রোববারের অপরাধবিষয়ক সভায় কনস্টেবল নিয়োগপ্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী।
সদর দপ্তরের সংস্থাপন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর সাড়ে আট হাজার পুরুষ, দেড় হাজার নারীসহ মোট ১০ হাজার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই নিয়োগ চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় ৬৪ জেলায় নিয়োগ দেওয়া হবে। এত দিন পুলিশ সুপাররা তাদের নিজের মতো করে নিয়োগ দিতেন।
এবার সেই প্রক্রিয়া তদারক করতে প্রতি জেলায় দুজন করে কর্মকর্তা যাবেন। তাদের একজন পুলিশ সুপার ও অন্যজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদের হবেন। তারা প্রশ্ন তৈরি করা, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা কোডিং করা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সবকিছু তদারক করবেন। এই দলের উপস্থিতিতেই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এতে কনস্টেবল নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ কমে যাবে।
|
|
|
|
লালমনিরহাট: ফাস্টফুড বা চাইনিজ হোটেলে এক বেলার খাবার খেতে অনেকেই লক্ষ টাকা খরচ করেন। অনেকেই শত শত কোটি টাকা খরচ করে বিলাস বহুল গাড়ি, আলিসান বাড়ি নির্মাণ করছেন। অনেকেই কঠিন রোগ তো দূরের কথা তাদের সামান্য মাথা গরম বা আঙুলে ব্যথা হলে বিদেশ গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসায় বিলাসিতা করেন। অথচ চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, অর্থাভাবে দীর্ঘদিন যাবত কঠিন রোগে আক্রান্ত একই পরিবারের ৩ জনকে ডাক্তার দেখানো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এই পরিবারটির খোঁজ খবর রাখার যেন কেউ নেই। অসহায় এই পরিবারটির সন্ধান মিলেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডে।
সরেজমিনে, হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন (মিলন বাজারের পাশে) পূর্ব সাড়ডুবি এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঐ এলাকার মৃত আমানতুল্লাহর ছেলে আজিমউদ্দিন (৭৫)। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আগে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে কোন রকম সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু বয়স বেশি হওয়ায় এখন আর কেউ তাকে কাজে নেন না। এখন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বড় ছেলে আবদুর রাজ্জাক মিন্টু (৪০)।
সে ঢাকায় ভাড়ায় রিক্সা চালিয়ে সংসার চালায়। ছোট ছেলে আশরাফুল আলম (৩৩) দীর্ঘদিন যাবত মাথার সমস্যায় ভুগছে। বড় ছেলে রিক্সাচালক আবদুর রাজ্জাক মিন্টুর দুই ছেলে সাইফুর রহমান (১৩) জন্ম থেকে সব সময় চিৎকার করে, ঘাড় নারে, মাটিতে গড়াগড়ি করে, কিছুই খেতে চায়না। আর এক ছেলে রহমত (৫) চোখের সমস্যায় এক দিকে তাকিয়ে থাকে। ৩ শতক জমির উপর জীর্ণশীর্ণ ভাঙা চালায় পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে তাদের বসবাস। পায়নি কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা। ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানও রাখেনা তাদের কোন খোঁজ খবর।
অসুস্থ ঐ ৩ জনের রোগ ও চিকিৎসার বিষয় জানতে চাইলে বৃদ্ধ আজিমউদ্দিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘বাবারে আমাদের বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই। এতো কষ্টের চাইতে মরে যাওয়াই অনেক ভালো। অসুস্থ এই ৩ সন্তানের চিকিৎসা করা তো দূরের কথা, ডাক্তারকে ভিজিট দিব সে টাকাই তো আমার নেই। বড় ছেলে মিন্টু অন্যের রিক্সা ভাড়ায় চালিয়ে সামান্য যে টাকা আয় করে তা দিয়ে সংসারই চলেনা। পড়নের কাপড় নেই। এরপরেও আমি তাদের চিকিৎসা করব কিভাবে ?’
বৃদ্ধ আজিমউদ্দিন সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুল আবেদন করে জানান, ‘অসুস্থ এই ৩ সন্তানের চিকিৎসায় কেউ এগিয়ে আসলে তার পরিবার হয়ত একটু আশার আলো দেখতে পেত।’
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাসুম আলী জানান, ওই পরিবারটিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু পারিবারের ৩ সন্তান শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছে ফলে তাদের চিকৎসার জন্য সরকার বা বিত্তবানদের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন।
যোগাযোগ-০১৭৮৮-১৩৩৬২৩ (আজিম উদ্দিন), প্রতিবেশী মিজানুর-০১৭৩৭-৬৮২৫৬০ অথবা নুরনবী সরকার, ০১৭৩৭-৩২১৮০১
|
|
|
|
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় লতিফুর রহমান পলাশ (৪৭) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি লোহাগড়া উপজেলার ৮ নম্বর দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কুমড়ি গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে। লতিফুল লোহাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লতিফুর রহমান পলাশ দুপুরে লোহাগড়া নির্বাচন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় মোটরসাইকেল করে ২ জন এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
|
|
|
|
|
|
|