পটুয়াখালীর বাউফলে রাজীব হোসেনের নামে একটি স্কুল নির্মাণ করবেন বলে চ্যানেল জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ বাউফল আসনের এমপি আ স ম ফিরোজ।
অপরদিকে তার বাড়ির সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা, রাজীবের নামে নামকরণ এবং বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রাজীবের খালা খাদিজা বেগম লিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুই দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে রাজীবকে সমাহিত করে তার পরিবার। এর আগে ঢাকায় হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ৯টায় বাউফল সদরের পাবলিক মাঠে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান মাওলানা মো. রুহুল আমিন সিরাজি। সেখানে রাজীবের ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহ, চিফ হুইপ ও স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাসুমুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মাঈনুল হাসনসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজার আগে চীফ হুইপ সাংবাদিকদের জানান, রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো জাতি মর্মাহত। সরকার রাজীবের পাশে ছিলো, ভবিষ্যতেও তার পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবে। রাজীবের দুই ভাইকে সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ জানান, রাজীবের নামে বাউফল দাসপাড়ায় একটি স্কুল তৈরীর কথা ভাবছেন তিনি।
এরপর সকাল ১০টায় দাসপাড়া গ্রামে রাজীবের নানা বাড়িতে তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাজীবের তৃতীয় জানাজার নামাজ পড়ান তার ছোট ভাই হাফেজ মো. মেহেদি হাসান এবং মোনাজাত করান আরেক ছোট ভাই মো. আব্দুল্লাহ। এরপর রাজীবের নানা-নানীর কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
তৃতীয় জানাজা শেষে বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমান এবং দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোষণা দেন রাজীবের নানা বাড়িরর সামনের আধাপাকা সড়ক পুরো পাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়কটির নাম রাজীবের নামে হবে। এছাড়া তার নানাবাড়িতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
৩ এপ্রিল রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে মাঝে পড়ে হাত হারান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব। ১৬ এপ্রিল সোমবার মাঝরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।