ভূয়া দলিলের মাধ্যমে মাদ্রাসার জমি দখল করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ।
14, December, 2017, 4:55:50:AM
ফরিদপুর জেলার ভাংগা উপজেলায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে দাড়িয়ার মাঠ মাদ্রাসার অবস্থান। মাদ্রাসাটি ১৯৬২ইং সালে স্থাপিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই মাদ্রাসার একজন সদস্য জনাব মোঃ বক্কার মাতুব্বর বলেন,উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক জুবায়ের শিকারী, পিতা- আব্দুর রশিদ শিকারী, গ্রাম- সোনাখোলা, ভাংগা, ফরিদপুর তিনি এবং তাহার সহদর ভাই ভূমি দস্যু নজরুল শিকারীর ছেলে আব্দুল আহাদ শিকারী বিভিন্ন জঙ্গী কর্ম-কান্ডের সাথে জড়িত তাহারা গত ২০১৩ইং সালের ৫ই মে ঢাকা শাপলা চত্ত¦রে হেফাজতে ইসলামী সম্মেলনে অবস্থান নেন। সেখানে পুলিশের টিয়ার শেল ও গরম পানি নিক্ষেপের কারণে দেয়াল ডিঙ্গিয়ে পালিয়ে আসার সময় পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এলাকায় এসে তাকে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। ব্যাপারটি অনেকটা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল কিন্তু নাটকীয়ভাবে ঘটনাটি আবার উঠে আসে। সরজমিনে তদন্ত কালীন সময়ে মোঃ কামরুল মাতুব্বর বলেন উক্ত মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মরহুম জনাব দেলোয়ার হোসেন মওলানা সাহেব মৃত্যুর আগে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মৌখিকভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ওয়াজ মাহফিলে হাজার হাজার মানুষের সম্মুখে একটি জায়গা যাহার দাগ নম্বর- এস এ খতিয়ান- ১৬৮, আর এস- ৩৩১৭, হালে ৫৪৬৮ নং দাগে ১০ শতাংশ জমি মাদ্রাসায় দান করিয়াছিলেন। মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাহেবের মৃত্যুর পর তাহার ওয়ারীসগণ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চুড়ান্তভাবে মাদ্রাসায় দান করেন। তখন জমিটিতে একটি পুকুর ছিল। বর্তমানে উক্ত জমিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদের জন্য একটি চারতলা ফাউন্ডেশনের তিনতলা ভবন নির্মিত হয়েছে। উক্ত দানকৃত জায়গাটি গত ২৮/১১/২০১৭ইং তারিখে ভূমি দস্যু নজরুল শিকারী ভূয়া জাল দলিল করেন। উল্লেখিত জঙ্গীদ্বয় জুবায়ের শিকারী এবং আহাদ শিকারীর জঙ্গী কর্মকান্ডের খবর তখনই এলাকায় প্রকাশ পায় যখন উক্ত ভূয়া জাল দলিল সাথে নিয়ে গত শনিবার ০৯/১২/২০১৭ইং তারিখে জঙ্গী আব্দুল আহাদ শিকারীর পিতা নজরুল শিকারী যিনি এলাকায় ভূমি দস্যু নামে খ্যাত তাহার সহদর জঙ্গী শিক্ষক জুবায়ের শিকারী, পুত্র জঙ্গী আব্দুল আহাদ শিকারী নিজেদের বাহিনীসহ জাল দলিলের মাধ্যমে জবর দখল করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাৎক্ষনিকভাবে এলাকার লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ভূমি দস্যু নজরুল শিকারী, সহদর জঙ্গী শিক্ষক জুবায়ের শিকারী ও তাহার পুত্র জঙ্গী আব্দুল আহাদ শিকারী তাদের লোকজন সাথে করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর উপর চড়াও হয়। এব্যাপারে নজরুল শিকারীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এব্যাপারে আবুল বশার তালুকদার বলেন আমরা সাবরেজিস্টার অফিস থেকে সকল জাল দলিল উঠিয়েছি। এতে এলাকাবাসীর বেশ কয়েকজন আহত হয়। এতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে ভূমি দস্যু নজরুল শিকারী, সহদর জঙ্গী ভাই ও জঙ্গী পুত্র একত্রে বাহিনী নিয়ে এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও প্রাণ নাশের হুমকী-ধামকী দিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি আলহাজ হাবিবুর রহমান সাহেব বলেন এদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে এলাকার লোকজন ভীত-সন্ত্র¯্র এবং আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। উক্ত ভূমি দস্যু নজরুল শিকারী বাহিনী নিয়ে এলাকায় একাধিক জায়গা-জমি ও বাড়ি-ঘর জবর-দখল করে বেশ কিছু মানুষকে নিঃস্ব ও এলাকা ছাড়া করেছে।