দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বৈরাগীর ভিটায় খননের সময় এবার পাওয়া গেছে বিভিন্ন আমলে ইটের তৈরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া মন্দিরসহ নানা ধরনের প্রাচীন অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, খ্রিষ্ট পরবর্তী অষ্টম থেকে দশম শতকের মধ্যে একটি মন্দিরকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয় বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো। ইটের তৈরি অবকাঠামোগুলো পাল আমলের শেষের দিকে নির্মিত হলেও অন্তত হাজার বছরের পুরোনো। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
গত ১৩ ডিসেম্বর ৬ সদস্যের একটি খনন দল ওই এলাকায় খনন শুরু করলে বর্তমান সমতলে ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার গভীরে পাওয়া যায় সোয়া মিটার থেকে দেড় মিটারেরও বেশি প্রস্থে ইটের তৈরি বিভিন্ন ধরনের দেয়াল।
মহাস্থানগড় জাদুঘর খনন দল প্রধান কাস্টোডিয়ান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, কিছু ইটের নিদের্শন দেখা যাচ্ছে। তবে ধারণা করা যাচ্ছে গুপ্ত যুগের ইটগুলো পাল আমলের দেয়ালে ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রায় ৯০ বছর পর গত নভেম্বরে লাইয়ের ভিটায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স দলের যৌথ খননে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এ কারণে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন, খনন চালিয়ে গেলে পাওয়া যাবে আরো নিদর্শন।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিন পর আবারো খনন কাজ শুরু হয়েছে। খনন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আমাদের আশা আরো প্রাচীন কিছু নিদর্শন খননের মাধ্যমে খোঁজে পাবো।
মহাস্থানগড়ে বিভিন্ন সময় খননে পাওয়া গেছে মৌর্যপূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন আমলের নানা ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।