রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের অনিয়ম ঠেকাতে ব্যবস্থা নেবে এনজিও ব্যুরো
15, February, 2018, 1:09:27:AM
রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণের অনিয়মে জড়িয়ে পড়া ৮টি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এনজিও ব্যুরো। বৈদেশিক অনুদান সম্পর্কিত নানা আইন লঙ্ঘনের দায়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এরই মধ্যে কক্সবাজারে একটি এনজিওর কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনগ্রসর মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এনজিওর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অপ্রত্যাশিত। সূত্র: যমুনা টিভি
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
১০৫টি বেসরকারি সংস্থা এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষের ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছে কয়েকটি এনজিও।
চাল ও ডাল বিতরণে আর্থিক অনিয়ম করেছে অগ্রযাত্রা নামের এনজিও। এছাড়া ২৮ হাজার টাকায় ১ হাজার তাবু কেনার জন্য বরাদ্দ থাকলেও ২৪ হাজার টাকায় কিনেছে এনজিও কাতার চ্যারিটি। সেভ দি চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছে জেলা প্রশাসন। অনুমতি না নিয়েই চিলড্রেন সেন্টার নির্মাণ করেছে সেভ দি চিলড্রেন এনজিওটি। এছাড়া অনিয়ম করেছে আরো ৫টি বেসরকারি এনজিও সংস্থা।
সেভ দি চিলড্রেনের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর অলি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে দ্বীধাদ্বন্দ্বে আছি তার অবসান ঘটবে আশা করছি। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্নিতভাবে কাজ করা হয়েছে তা চালিয়ে যাবার কথা জানান তিনি।
রোহিঙ্গা ট্রার্নজিট ক্যাম্পে ফিল্ড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহে অসহযোগীতা করেছে রেডক্রিসেন্ট। এ বিষয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছে স্থানীয় পরিষদ।
গ্রিগ ট্রাস্টেও নির্বাহী পরিচালক এ্যারোমা দত্ত বলেছেন, আমাদের এনজিওতে যে সুনাম ছিলো তা নষ্ট হতে বসেছে তা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। দু-একটি এনজিও যদি অনিয়ম করে থাকে সেখানে ঢালাউভাবে দোষ দেওয়া উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন।
কোস্টে এর সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে যে চাহিদার পরিমাপ করা হয়, সেই চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ করা হয়। কয়েকটি স্তর আছে যার কারণে সবাই ত্রাণ বিতরনে অনিয়মের সাথে জড়িত আছে বলে তিনি মনে করেন না।
এনজিও ব্যুরোর উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ত্রাণ দেবার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের অনিয়ম ও আত্মসাতের ঘটনা না ঘটে। অনুন্নত মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে যে অর্থটি কাজে লাগে সে জন্য মনিটরিং কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য এপর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকার অর্থ ছাড় করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো।