মানিকগঞ্জে অসাবধানতার কারণে স্বামী ও স্ত্রী তিতাস গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার গঙ্গাধর পট্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ হামিদুল ইসলাম (৪০) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৫) স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠনো হয়। তবে সাবিনা ইয়াসমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
আগুনে দগ্ধ যুগলের ছেলে সামিউল আলম জানান, তার বাবা ঢাকার আল নাহিয়ান উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা পেশায় গৃহিনী। ভোরে রান্না করার জন্য তিতাস গ্যাসের সুইচ অন করেন সাবিনা। ঐ সময় লাইনে গ্যাস না থাকার ফলে অসাবধানতাবশত চূলাটি আর বন্ধ করা হয়নি। ৩০ মিনিট পরে পুনরায় রান্না করার জন্য আমার মা গ্যাসের চূলায় দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরাতে গেলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো রান্না ঘরসহ পাশের ঘরেও আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় আমার মা অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়। মায়ের চিৎকারে বাবা এগিয়ে আসলে বাবাও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, আমরা বিষটি জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক (আর .এম. ও) ডা. লুৎফর রহমান জানান, সকালে আমাদের কাছে দগ্ধ অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী এসেছিলো। আমাদের বার্ন ইউনিট না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন প্রায় ৭০ ভাগ এবং স্বামীর হামিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ শরীরের অংশ পুড়ে গেছে।