আবুবক্কর সিদ্দিক মানিকগঞ্জ থেকে: মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া উপজেলায় ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সরকারের খাসজমি বন্টন কর্মসূচীর আওতায় সাটুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় থেকে ২০১৪ সালে সাটুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাউন্নারা মৌজায় ভূমিহীন ২০ পরিবারের মাঝে খাসজমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কার্যত কবিলত নামা দলিল মূলে এ সকল ভূমিহীন পরিবারকে খাসজমি বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবতা হচ্ছে ভিন্ন। বরাদ্দকৃত ভূমির সিংহভাগ জায়গা চন্দ্রখালি খালে। ভূমিহীন পরিবারগুলোর সাথে আলাপ করে ও সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা যায় সে সময়ে দায়িত্বে থাকা সাটুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার এর সহযোগিতায় ঐতিয্যবাহী চন্দ্রখালি খালের কোল ঘেষে বরাদ্দকৃত ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যার বেশির ভাগ অংশ খালের ৩০ ফুট গভীরে যা ভরাট করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি ভূমিহীন পরিবারগুলোর। বরাদ্দ পাওয়া ভূমিহীন পরিবারের প্রধান ইব্রাহীম জানায় আমরা গরিব বইলা, আমগরে দেহার কেউ নাই। আমাগো কতা কেউ হুনতে পা না। কত অপিসে স্যারগো ঠান গেলাম দলিল ছাড়া কিছুই পাইলাম না। ভূমিহীন পরিবারের সদস্য মনোরা বেগম দু:খ করে সাংবাদিকদের জানায়, স্থানীয় সরকারি অফিসে একাধিকবার ধন্যা দিয়েও বরাদ্দকৃত জমি বুঝে না পেয়ে একাধিক ভূমিহীন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মানিকগঞ্জ বরাবর গত ০৩ মে ২০১৬ সালে আবেদন করা হয়। যা আজও সুরাহা হয়নি। এ সব ভূমিহীন পরিবার সরকার থেকে পাওয়া দলিল নিয়ে অনিশ্চতার দিন গুনছে তারা জানে না কবে তাদের সমস্যা সমাধানের মধ্যে দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এদিকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের আওতায় সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক এ সকল দরিদ্র পরিবারের নামে গৃহ নির্মাণ তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। বরাদ্দকৃত জমি না থাকার ফলে সরকারের দেওয়া ঘর বাদ পড়ার সম্ভাবনায় হতাশাগ্রস্থ এ সব ভূমিহীন পরিবার। সমস্যা সমাধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।