বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে যুবলীগ নেতার স্ত্রী
21, February, 2018, 11:00:53:PM
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে যুবলীগ নেতার স্ত্রী অবস্থান নিয়েছেন। ছাত্রলীগের ওই সভাপতির নাম সায়েম হোসেন সুজন এবং যুবলীগ নেতার স্ত্রী জুয়েনা হোসেন লিমা। বুধবার সন্ধ্যায় শহরের চুনিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সুজনের পরিবারের সদস্যরা আগে থেকে সংবাদ পেয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু ওবাইদা সাফির সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে জুয়েনা হোসেন লিমার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে লাব্বিব মাহমুদ লিপু (১০) নামে একটি ছেলেসন্তানও আছে।
গত দেড় বছর আগে সাফি জেলে থাকাবস্থায় তার স্ত্রী লিমার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সায়েম হোসেন সুজনের পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে। নিজ দলের নেতার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কটি জানাজানি হলে গত জানুয়ারি মাসে আবু ওবাইদা সাফি তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেন। এর পর লিমা ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে চলে যান।
সংসার ভাঙার পর সুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন লিমা। কিন্তু সুজন বিয়ে না করে নানা তালবাহানা করেন। গত সপ্তাহে সুজন বিয়ে করতে পারবে না বলে লিমাকে জানিয়ে দেন। কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় লিমা চুনিয়াপাড়ায় সুজনের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু সুজনের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যান। পরে তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করেন লিমা। বর্তমানে বাড়িতে লিমা একাই অবস্থান করছেন।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আগামী শনিবার সালিশি-বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে অনশন অবস্থান থেকে সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আগামী শনিবার বেলা ১১টায় বিষয়টি নিয়ে সালিশ-বৈঠক করা হবে। সালিশ-বৈঠকে অভিযোগকারী নারীসহ পাঁচজন এবং অভিযুক্ত যুবকসহ পাঁচজন অভিভাবকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টির সমাধান করা হবে।
জুয়েনা হোসেন লিমা জানান, সুজনের সঙ্গে দুই বছর ধরে তার সম্পর্ক চলে আসছে। এই সম্পর্কের কারণেই আগের সংসার ভেঙে গেছে। এখন সুজন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই সুজনের বাড়িতে এই অবস্থায় আসতে হয়েছে।
লিমার সাবেক স্বামী যুবলীগ নেতা আবু ওবাইদা সাফি জানান, দেড় বছর আগে আমি জেলে থাকার সুযোগ নিয়ে সুজন আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছু দিন আগে ওদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে আমি সুজনের হাত ধরে অনেক অনুরোধ করেছি। ওকে বারবার বলেছি, আমাদের সুখের সংসার ভাঙার দরকার নেই। কিন্তু দুজনই আমার কথা শুনেনি। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ওরা যা খুশি করুক, আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।