জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। যা বলেছি তা তথ্যভিত্তিক। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। তিনিই এটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সংলাপ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, জিয়াউর রহমান যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তার ভিত্তিতেই দেশে নির্বাচন হয়েছিল এবং ওই নির্বাচনে অনেক দল অংশগ্রহণ করে। তিনি বলেন, যে কথা বলেছি সেটি কাউকে খুশি করার জন্য বলিনি। যেটা বলেছি সেটা তথ্যভিত্তিক। আমি নিজেও এটা ওন (ধারণ) করি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের দিন নেতারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা চাননি। তবে আমার বক্তব্যে তারা হয়তো ব্যাখ্যা পেয়েছিলেন। সিইসি বলেন, সংলাপে আসা চার শতাধিক সুপারিশ এসেছে। এসবের কিছু সাংবিধানিক, কিছু আইনসংক্রান্ত আর কিছু নির্বাচন কমিশনের করণীয়। এর মধ্যে যেসব সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের নিজের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো ইসি বাস্তবায়ন করবে। যেগুলো সুপারিশের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে, সেগুলো সরকারের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। আর যেগুলো সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়, সেগুলো সরকারের কাছে পাঠানো হবে। নুরুল হুদা বলেন, সরকার যদি এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের ওপর চাপ দেওয়ার বা বাধ্য করার সুযোগ নেই।