স্বাভাবিক ব্যাপারে অল্পতে চোখে পানি চলে আসা বিশেষ গুণের লক্ষণ বলছেন মনোবিদরা। মানুষের অনুভূতি ও আবেগ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এই আবেগ কারোর বেশি থাকে, কারও বা কম। কেউ আবার আবেগপ্রবণ হলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন, যাদের অন্যের দুঃখ দেখেও চোখে পানি আসে। এক কথায় এরা খুবই সংবেদনশীল এবং আবেগপ্রবণ হন। কিন্তু এদের দুর্বল বলে মনে করে সমাজের বড় একটি অংশ।
মনোবিদরা আবার অন্যরকম মনে করেন। সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে মনোবিদরা জানতে পেরেছেন, যাঁরা অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁদেন তাদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত-
১। মনের মধ্যে কোনও কষ্ট জমে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকারক। উল্টোদিকে যারা কেঁদে নিজের কষ্ট বের করে ফেলতে পারেন, তাদের পক্ষে সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসাও তুলনামূলক ভাবে সহজ। জীবনে বড় কোনও ধাক্কা খাওয়ার পরে মুহূর্তের জন্য কাঁদলেও, এরা সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসেত পারেন সহজে।
২। অনেকের ধারণা যারা কাঁদেন তারা ভীতু হন। কিন্তু মনোবিদরা উলটো মনে করেন। তাদের মতে, যারা কাঁদেন, তারা সাহসী হন। নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে তারা ভয় পান না। অনেকে কান্না চেপে রাখেন নিজেকে দুর্বল হিসেবে লোকের সামনে দেখাতে চান না তাই। কিন্তু যারা সমস্ত দুঃখ-কষ্টকে মেনে নিয়ি কাঁদতে ভয় বা লজ্জ্বা পান না, তারাই সাহসী।
৩। যারা বেশি কাদেন তারা জীবনে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হন। এরা জানেন কেঁদে মনের ভার হালকা করলে জীবনের পথে চলতে তাদের সুবিধাই হবে। উল্টোদিকে যারা না কেঁদে, কষ্ট ভেতরে আটকে রাখেন তাদের মাথায় ও জীবনে সেই কষ্ট বেশি প্রভাব ফেলে।