বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেই এমা জন্ম নিলেন। এমা যে সে মেয়ে নয়। ১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর তার ভ্রুণ সংরক্ষণ করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি ল্যাবরেটরিতে। ৬ পাউন্ড ৮ আউন্সের এমাকে জন্ম দিয়ে তার মা টিনা গিবসন বলছেন, বিশ্বরেকর্ড হোক আর যাই হোক ওকে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। বাবা বেঞ্জামিন গিবসন বলেছেন, এমা এক অলৌকিক শিশু। টিএনএন
এ বছরের ১৩ মার্চ ল্যাব থেকে শীতনিদ্রা ভেঙ্গে এমার ভ্রুণ তরল হয়ে তার মায়ের ডিম্বাশয়ে এ ধরায় নেমে আসার জন্যে থিতু হয়। সেদিক থেকে মায়ের চেয়ে মেয়ের বয়স মাত্র দেড় বছরের ছোট। যুক্তরাষ্ট্রের এনইডিসি ল্যাব ডিরেক্টর ক্যারল সমারফেল্ট টিনার কাছে এমার ভ্রুণটি হস্তগত করেন। ল্যাবে এত দীর্ঘ সময় কোনো ভ্রুণের সংরক্ষণের পর মায়ের পেট থেকে পুনরায় সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এই প্রথম।
তবে এমার জন্মের পরও এত দীর্ঘ সময় ভ্রুণ সংরক্ষণ থাকার পর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না কোনো কোনো বিজ্ঞানী। নিউ হোপ ফার্টিলিটি সেন্টারের গবেষক ড. জাহের মেহরি বলেন, এটা একেবারেই অসম্ভব। এর আগে এধরনের কোনো রেকর্ড নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রুণের বয়স জানানোর কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।