শরীর যাঁদের মোটা, ওজন যাঁদের বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ, স্তন ক্যান্সার, মলাশয়ের ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা, পিত্তপাথর, ইত্যাদি অসুখ হবার সম্ভাবনা বেশি। নিচের কয়েকটি বিষয় পরিমাপ করে শরীর কেমন মোটা তা জানার পাশাপাশি অসুখ হবার ঝুঁকি সম্পর্কেও ধারণা করা যাবে।
‘বিএমআই’ পরিমাপ করা:
শরীর কেমন মোটা, তা দেখার ভাল উপায় ‘বিএমআই’ মেপে দেখা। শরীরের ওজন আর উচ্চতার অনুপাতকে বলে ‘বিএমআই’। শরীরের ওজন যত কেজি সেই সংখ্যাকে, উচ্চতা যত মিটার, তার বর্গ দিয়ে ভাগ করতে হয়। সেই ভাগফলকে বলে ‘বিএমআই’। ধরা যাক, কোন ব্যক্তির ওজন ৬২ কেজি এবং উচ্চতা ১৬৪ সেন্টিমিটার (অর্থাৎ ১.৬৪ মিটার)। তাহলে তার ‘বিএমআই’ হবে, ৬২ কেজি ভাগ (১.৬৪ গুণ ১.৬৪) মিটার= ২৩.০৫ কেজি/মিটার২। সংক্ষেপে, ২৩.০৫। ‘বিএমআই’ ১৮.৫ এর নিচে হলে শরীরটা শুকনা পাতলা। ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে হলে ভাল; শরীরটা মোটা নয়, স্বাভাবিক। ‘বিএমআই’ ২৫ এর উপরে হলে বুঝতে হবে শরীরটা মোটা। আর ৩০ এর উপরে হলে, অতিশয় মোটা। এ দু’ক্ষেত্রেই অসুখ হবার ঝুঁকি বেশি।
কোমরের বেড় পরিমাপ করা:
‘বিএমআই’ মেপে অনেক সময় শরীরের চর্বির সঠিক পরিমাপ হয় না। সমান উচ্চতার একজন ক্রীড়াবিদ এবং শারীরিক পরিশ্রম না করে দিন কাটানো একজন মানুষের ‘বিএমআই’ সমান হলেও দু’জনের শরীরের চর্বির পরিমাণ সমান নয়। শারীরিক পরিশ্রম না করে দিন কাটানো মানুষের শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি। এবং সেটাই উদ্বেগের কারণ। এক্ষেত্রে কোমরের বেড় মেপে শরীরের চর্বির পরিমাণ সম্পর্কে আন্দাজ করা যায়। কোমরের মাপ নিতে হবে মোটামুটি নাভি বরাবর। কোমরের কাপড় সরিয়ে মাপের ফিতাটাকে ত্বকের সঙ্গে হালকা করে লাগিয়ে মেপে নিতে হবে কোমরের বেড়। পুরুষের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৯০ সেন্টিমিটারের কম এবং মহিলার ক্ষেত্রে ৮০ সেন্টিমিটার এর কম হলেই ভাল। বেশি হলে অসুখ হবার ঝুঁকি বেশি।