শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক শুষ্ক হয়ে রুক্ষ-খসখসে হয়ে যায় এবং মোলায়েম ভাব নষ্ট হয়ে যায়। ত্বক শুষ্কতার এ প্রবণতা শীতকালে বেশি দেখা যায়। শুষ্কতার কারণে ত্বক ফেটে যায় ও আঁশের মতো উঠতে থাকে। বেশি শুকনো হলে ত্বক লালচে হয়। অনেক সময় ত্বক ফেটে রক্ত বের হয়।
আবার কখনো কখনো এর থেকে চুলকানি, ত্বকের প্রদাহও হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গেলে সবার ত্বকই কমবেশি শুকনো হয়। তবে অনেকেই আছেন, যারা জন্মসূত্রে শুকনো ত্বক লাভ করেন। ইকথায়োসিসের ফলে ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। মাছের আঁশের মতো বড় বড় ত্বকের টুকরো ওঠে। বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকেরই এ রোগ অনেকাংশে কমে যায়।
ত্বক শুষ্কতার কারণ :
► বহিঃত্বকের একবারে বাইরের স্তর বা কেরাটিন স্তরের অভ্যন্তরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ত্বক শুকনো হয়ে যায়।
► বেশি বেশি সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের ওপরের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার আবরণ নষ্ট হয়ে যায় এবং ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
► ডিটারজেন্ট বা সমজাতীয় কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে বহিঃত্বকের কোষের মধ্যকার লিপিড স্তর বা চর্বিস্তর গলে যায়। ফলে কোষ আলগা হয়ে পড়ে।
► কোনো কারণে কেউ বেশি দিন অপুষ্টিতে ভুগলেও ত্বক শুকনো হতে পারে। অপুষ্টি হলে ত্বকের ফ্যাট অংশে টান পড়ে। বিশেষ করে লাইনোলেইক অ্যাসিড, নামের ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে কমে গেলে ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়। খাবারে লাইনোলেইক অ্যাসিড না থাকলে ত্বক শুকনো হওয়ার আশঙ্কা থাকে।