প্রতিটি মা-বাবাই তাদের প্রিয় সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে সারাক্ষণ টেনশনে থাকেন। যে কোন মূল্যে শিশুকে নিরাপদ রাখা চাই। অবশ্য শিশুরা সৃষ্টিগতভাবেই খুব চঞ্চল হয়। তাদের এক জায়গায় চুপচাপ বসিয়ে রাখা খুব কঠিন। চোখের পলকেই তারা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। ফলে ব্যথা পাওয়ার আশংকা থাকে এটা-সেটার সঙ্গে লেগে। সাইকেল চালাতে গিয়ে, খেলা করতে গিয়ে আঘাত পাওয়া তো শিশুদের রোজকার কাজ। তাই খুব বেশি চোখে চোখে রাখতে হবে আপনার শিশুকে। কিছু ক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্ক থাকলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুর জন্য তার আপন ঘরটাকে কিভাবে আরও বেশি নিরাপদ রাখা যায়। প্রথমেই বলে নেয়া ভাল যে, শিশুদের খাবার পাত্র কখনোই কাচের হওয়া উচিত নয়। খেয়াল রাখুন শিশু ময়লা কিছু মুখে পুড়ে দিচ্ছে কি না। তেলাপোকা, পিঁপড়া, ইঁদুর, মশাসহ এরকম পোকা-মাকড় মারার নানারকম বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহারে খুব বেশি সতর্ক হোন। প্রয়োজনে রাতে ঘুমানোর সময় এগুলো দিয়ে রাখুন এবং খুব সকালেই তা আবার ফেলে দিন। শিশুর জন্য খেলনা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। কাচ, ধারালো কর্ণার বের করা, পাতলা টিন, সূঁচালো কিছু বের করা কোনো খেলনা শিশুদের কখনও দেয়া উচিত নয়। এসবে লেগে শিশুরা যে কোনো সময় হাতে, চোখে আঘাত পেতে পারে। মার্বেল, কয়েন কিংবা এরকম খুব ছোট কিছু শিশুদের খেলতে দেয়া কিংবা নাগলের মধ্যে রাখা উচিত নয়। এগুলো যে কোনো সময় শিশুরা মুখে পুড়ে দিতে পারে। আর তা সহজে গলায় আটকে যেতে পারে। ড্রেসিং টেবিল, খাট, টি-টেবিল, ডাইনিং টেবিল প্রভৃতির কর্ণার চোখা থাকলে সেখানে কাপড়, তুলা কিংবা অন্য নরম কিছু সেঁটে রাখুন। যাতে শিশু ব্যথা না পায়। ব্লেড, কাঁচি, চুড়ি, আলপিন, সেপ্টেপিন, সুঁই প্রভৃতি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। রান্নাঘরের দা, বঁটি কখনোই ফ্লোরে রাখা উচিত নয়। কাজ শেষ হয়ে গেলে এগুলো উপরে কোথাও তুলে রাখুন। শিশুর ঘরের আসবাবপত্র যেন খুব বেশি উঁচু না হয় সে দিকে লক্ষ রাখুন। খাট খুলে ফ্লোরিং করতে পারেন। কারণ এ সময় শিশুরা খাট থেকে পড়েই সবচেয়ে বেশি আঘাত পায়। কাচের গ্লাস, ফুলদানি কিংবা অন্য ব্যবহারের জিনিস শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। ড্রেসিং টেবিল যদি পুরাটা কাচ হয় তবে এখন তা বদলে ফেলা এবং ড্রেসিং টেবিলের ওপর থেকে লিপিস্টিক, লোশন, ক্রিম প্রভৃতি সরিয়ে ফেলাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে।