ষড়ঋতুর দেশে হেমন্ত মানেই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। তাই সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশির কণা। ভোরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা শীতল পরশ বুলিয়ে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃদু কুয়াশার সঙ্গে শিশিরও ঝরেছে। কুয়াশার সঙ্গে শিশির বিন্দু পাতায় পাতায় বাঁধছে জমাট। সব মিলিয়ে শীতের পরশ একটু একটু লাগতে শুরু করেছে। সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হালকা হিমেল বাতাস।
অক্টোবর মাসের কয়েক দিনে আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য দেখে শীতের আগমনী বার্তাই পাওয়া যাচ্ছে। কারণ, মৌসুমি বায়ু এ মাসের প্রথমার্ধে বিদায় নিয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ১৯ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত টানা তিন দিনের বৃষ্টি। এরপরই যেন প্রকৃতির আচরণ বদলে যেতে থাকে। কমে আসে বৃষ্টির দাপট। ছিটেফোঁটা, কোথাওবা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির দেখা মিললেও কয়েক দিন ধরে শুষ্কই রয়েছে দেশের বেশিরভাগ এলাকা। এর সঙ্গে আবার তাপমাত্রাও কমছে অল্প অল্প করে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এসব এলাকায় দৃষ্টিসীমা গড়ে ৮০০ মিটার থেকে এক কিলোমিটার থাকে। কোথাও কোথাও এটি ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারে নেমে আসে। কুয়াশা বেশি পড়ার আশঙ্কা থাকায় ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দৃষ্টিসীমা ১০০ থেকে ২০০ মিটারে নেমে আসতে পারে। বাংলাদেশে হাড় কাঁপানো শীত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পড়ে থাকে। তবে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামার রেকর্ড আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে নেই।
প্রতিবছর মধ্য আশ্বিনের আগে ও কার্তিকের শুরুতেই টানা ঝড়-বৃষ্টি হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শীতের আগমনী বার্তা। এবারও গত কয়েক দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে এই অঞ্চলে বাতাসের সঙ্গে থেমে থেমে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে দ্রুত নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে টানা হালকা ও ভারী বর্ষণের পর কয়েকটি জেলায় শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে, কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।