কিডনি মানুষের শরীরের অন্যতম একটি ভাইটাল অরগান। মানবদেহে কোমরের দু’পাশে আছে দুটি কিডনি। নানা কারণে আমাদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকল পর্যন্ত হতে পারে। Reader’s Digest-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয় অন্তত ৭টি নীরব উপসর্গ দেখে বলা যায়, কিডনি কতটা অসুস্থ।
কিডনি ভাল আছে কিনা জেনে নিতে পারবেন যে সাতটি লক্ষণ দেখে
১. শরীরের ত্বকে র্যাশ বা দানা ওঠা ও তীব্র চুলকানি হওয়া। সাধারণত কিডনির সমস্যাজনিত ত্বকের র্যাশ হলে চিকিৎসায় এ ধরনের সমস্যার খুব কমই লাঘব হয়।
২. কিডনি সমস্যা কারণে রক্ত সংবহনতন্ত্রে এক ধরনের Toxin বা ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়। যার ফলশ্রুতিতে মুখের টেস্ট হ্রাসপায় এবং মেটালিক টেস্ট ও মুখের তীব্র গন্ধ অনুভূত হয়। অর্থাৎ যাকে বলা হয় ব্যাড ব্রেথ। অনেকে বলেন, খাবার আহার করলেই এক ধরনের মেটালিক গন্ধ অনুভূত হয়।
৩. প্রায়শই বমি অথবা বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। ক্ষুধা বা আহারের ইচ্ছে হ্রাস পায় এমনকি দ্রুত ওজন হ্রাস পেতে থাকে।
৪. সময় অসময় প্রস্রাবের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। অনেকের আবার প্রস্রাব করতে ইচ্ছে করে অথচ ইউরিনেশন হয় না। আবার অনেকের ইউরিনেশনের পরিমাণ বেশি হয়। আবার অনেকের ডায়াবেটিস না থাকা সত্ত্বেও রাতে উঠতে হয় ইউরিনেশনের জন্য।
৫. শুধু প্রস্রাবের তীব্রতা কম বেশি নয়, অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে ব্লাড যাওয়া, প্রস্রাবের রং ডার্কার অথবা লাইটার হওয়া অথবা ফোমি ইউরিন হওয়া। অর্থাৎ প্রস্রাবের পর মনে হয় ফেনা তৈরি হয়েছে।
৬. কিডনির আর একটি কাজ হচ্ছে শরীর থেকে অতিরিক্ত জলীয় উপাদান বা ফ্লুইড বের করে দেয়া। কিন্তু কিডনি ফাংশন যথাযথ না থাকলে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ফ্লুইড বের হয় না। ফলে এসব ফ্লুইড হাঁটু, পা, পায়ের পাতা, মুখ ও হাতে জমা হয়। যাকে আমরা বলি হাত, পা, মুখ ফুলে যাওয়া।
৭. কিডনি যদি স্বাভাবিক না থাকে তবে আক্রান্ত ব্যক্তির Anemia বা রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ফলে শরীর হয়ে উঠে দুর্বল ও অলস। এছাড়া বারবার ঠাণ্ডা লাগা।