সব মানুষের ত্বকেই একটা সময় বার্ধক্যের ছাপ পড়বে, এটা নিশ্চিত। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কতোই না চেষ্টা করি আমরা, এর পেছনে কতো অর্থ খরচ করি। কিন্তু তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এমন একটি কাজ আপনি করতে পারেন, যার জন্য কোনো খরচ করার প্রয়োজন হবে না। আর এই কাজটি আপনি আমি সবাই করতে পারবো।
কিন্তু কী সেই কাজ? সেই কাজটি হলো, নিয়ম করে ঘুমানো। ইংরেজিতে বলে ‘বিউটি স্লিপ’, কারণ ঘুমের সাথে আসলেও সৌন্দর্যের সম্পর্ক আছে। ত্বক, শরীর এবং মন তরুণ রাখতে আসলেই ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। আর নিয়ম মাফিক ঘুমকে তারুণ্য ধরে রাখার সেরা পথ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
সুতরাং আপনার জীবনের কথা চিন্তা করুন। যেদিন রাত্রে ঘুম ঠিকমতো হয় না, পরদিন সকালে ত্বক দেখেই বোঝা যায় তা। চোখের নিচে পড়ে ক্লান্তির কালি, ত্বক হয়ে ওঠে নিষ্প্রাণ। দেখে নিন কী কী উপায়ে ঘুম থেকে উপকার পায় আপনার শরীর ও ত্বক।
দ্রুত নিরাময় : জীবন যাপনের সাথে সাথে ত্বকের ক্ষতি হয় ঠিক। কিন্তু যারা নিয়মিত ভালো ঘুমান, তাদের শরীর এই ক্ষতি দ্রুত নিরাময় করে ফেলে। শুধু তাই না, নিজেদেরকে সুন্দর ভাবতেও এই ব্যাপারটি কার্জকরী।
ত্বকের সজীবতা : ঘুম ঠিকমতো না হলে চেহারায় দৃশ্যত পরিবর্তন আসে। ত্বকের সজীবতা হারিয়ে যায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখেও মনে হয় দুঃখী। এ কারণে অন্যের কাছেও আপনার সৌন্দর্য কম মনে হয়। শুধু তাই না, অনেকটা সময় টানা ঘুমানোর পর মানুষের মুখে ছড়িয়ে থাকে তারুণ্যের দীপ্তি।
ওজন ঠিক রাখে : অতিরিক্ত ওজনের মানুষের ত্বকেও এর প্রভাব বোঝা যায়। ঘুম নিয়মিত হলে ওজন বাড়তে পারে না সহজে, তাই ওজন ঠিক রাখতে ঘুমান পর্যাপ্ত।
ডিএনএ নিরাপদ রাখে : শরীরের কোষের ক্ষতি এবং ডিএনএ এর ক্ষতি হয় যখন ঘুম হয় না পর্যাপ্ত। মাত্র এক রাত্রের ঘুম কম হবার কারণে কোষের ক্ষতি এবং বার্ধক্যের চিহ্ন দেখা যায়। ঘুম কম হলে ৭০০ জিন প্রভাবিত হয়। আর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হলে যে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে তা বলাই বাহুল্য।