নাজনীন নিজাম নীলা চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজব্রেনে। তার মা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা নীলা গানের প্রতি ছোটবেলা থেকেই বেশ উৎসাহী।
গানে তার হাতেখড়ি হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গজেন্দ্র লাল রায়ের কাছে। এরপর তিনি ওস্তাদ শামসুল হুদা, ওস্তাদ বশির আহমেদ, কলকাতার পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত, নজরুলসংগীত ও আধুনিক গানের তালিম নিয়েছেন।
নজরুল একাডেমি থেকে ৫ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে ওস্তাদ সুধীন দাশ, ওস্তাদ আখতার সাদমানী, ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ আবদুল লতিফ, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের মতো গুণীদের সান্নিধ্য পেয়েছেন।
সেই শিক্ষাকে পাথেয় করে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করে যাচ্ছেন নীলা। ২০১১ সালে প্রকাশ হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘স্বপ্নহারা’। সেই অ্যালবামের গানগুলো তখন বেশ সাড়া ফেলেছিল।
এবার নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন নীলা। ‘তুমি ভালোবাসার কথা বললে, স্বপ্ন মনে জাগে/তুমি পথের সাথি হয়ে চললে ভীষণ ভালো লাগে’ এমন কথায় রোমান্টিক গানটি লিখেছেন কবির বকুল। এ গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন রাজা বশির। গানটিতে মিক্স ও মাস্টারিং করেছেন গণেশ সুরভি।
এ গানে নীলার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীত তারকা শান্তনু মুখোপাধ্যায়। হিন্দি ও বাংলা ভাষার গানে অবশ্য শান নামেই তার যত শানশওকত।
গানটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশি গায়িকা নীলা। তিনি বলেন, ‘শানের সঙ্গে গান করাটা স্বপ্নের মতো। তিনি এত জনপ্রিয় একজন গায়ক, যার ভক্ত উপমহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে। আমি নিজেও তার ভক্ত। খুব ভালো লাগছে তার সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠ দিতে পেরে। কবির বকুল ভাই খুবই চমৎকার রোমান্টিক কথায় গানটি লিখেছেন। এর সুর ও সংগীতও হয়েছে মিষ্টি। আমার বিশ্বাস, এ গান বাংলা ভাষার শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।’
নীলার জন্য ভালোবাসা জানিয়ে শান বলেন, ‘নীলার গলা খুব মিষ্টি। ওর সঙ্গে দারুণ রোমান্টিক গানটি করে আরাম পেয়েছি। আমি আশাবাদী স্বপ্ন মনে জাগে গানটি শ্রোতাদের মন জয় করবে।’
নীলা জানান, শান মিউজিকের ব্যানারে গানটি প্রকাশ হয়েছে ভিডিওতে। ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ড প্রডাকশন থেকে ব্যয়বহুল ভিডিওটি পরিচালনা করেছেনে উপহার বিশ্বাস।
এর নয়নাভিরাম দৃশ্যায়ন করেছেন তুহিন। শান মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হওয়া গানচিত্রটিতে দুই শিল্পী শান ও নীলাকে দেখা যাবে। তাদের সঙ্গে মডেল হিসেবে আছেন কলকাতার জনপ্রিয় দুই তারকা ঋষভ বসু ও উষশী।