তিন কন্যার রূপে আচ্ছন্ন করে রাখে পার্বত্য এলাকায় আসা পর্যটকদের
1, December, 2022, 1:25:15:PM
DTV BANGLA NEWS: পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বছর হতে চলল। ভয় আর আতঙ্ক ছিল যে পাহড়ের পরিচয় তা আজ সমতলের সঙ্গে একইভাবে এগিয়ে চলেছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও কৃষিতে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। সহজ যোগাযোগ, বিদ্যুতের আলো আর আধুনিকতার মিশেলে তিন পার্বত্য অঞ্চল যেন সমৃদ্ধি আর উন্নয়নের মডেল। পার্বত্য অঞ্চল সবুজের পাহাড়ে সাদা মেঘের ভেলার দেখা মিলবে। চুলের সিঁথির মতো এঁকেবেঁকে চেলেছে সড়কপথ। তিন কন্যার রূপ যেন আচ্ছন্ন করে রাখে পার্বত্য এলাকায় আসা পর্যটকদের। তবে আগের অবস্থা এমন ছিল না, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতেই সময় লাগত ৭ দিনের মতো। আর বর্তমানে ২ ঘণ্টার দূরুত্ব। দুর্গম অন্ধকার পাহাড় আলোকিত হওয়ার কথা একসময় যেন ছিল অসম্ভব কল্পনা এখন তা বাস্তব। আর তাইতো হাজারো ফুট উচ্চতার পাহাড়ের টানে ছুটে যান পর্যটকরা। তাদের কাছে আতঙ্কের পাহাড় আজ এক বিনোদনের নাম হয়ে উঠেছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর, আওয়ামী লীগ সরকার ও জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। এরপর পাহাড়ে শুরু হয় উন্নয়নমূলক কাজ। বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে ১৫৩৭টি। পাড়াকেন্দ্র করেও শিক্ষা ও চিকিৎসায় দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। চুক্তির আগে সড়ক ছিল ২ হাজার ৮০৩ কিলোমিটার আর বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৪৯ কিলোমিটারে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক মিলে ছিল মাত্র ২৪টি আর বর্তমানে ২৭০টি। পড়ে থাকা পাহাড়ি জমিতেও বিপ্লব এসেছে কৃষিতেও। খাগড়াছড়ি-২৫৮ এর সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, যে শান্তিচুক্তি হয়েছিল তার মধ্যে ৪৮টি ধারা তারও অধিক ৬০ থেকে ৭০টার মতো বোধ হয় আমরা বাস্তবায়ন করেছি, যেটা হস্তান্তর হয়েছে। আর যেগুলো হয়নি সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর পাহাড়ে ঘুরতে আগতরা জানান, একসময়ের অবহেলিত থাকা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এখন এক বিস্ময়। উন্নয়ন স্পর্শে তা আজ অপার সম্ভাবনার।