যেভাবে বানানো হবে বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান-চলমান শহর
21, June, 2023, 6:20:36:PM
Online desk (DTV BANGLA NEWS): কচ্ছপ আকৃতির একটি ভাসমান শহর বানানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। শহরটির প্রস্তাবিত লোকেশন সৌদি আরব। আর বাস্তরূপ পেলে এটিই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান শহর। জানা যায়, আজ থেকে কয়েক কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্যানজিয়া নামের একটি বিশাল আকৃতির মহাদেশ ছিল। কোনো এক রহস্যময় কারণে এটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়। এবার সেই মহাদেশ বিলুপ্তর ২০ থেকে ৩৩ কোটি বছর পর প্রায় একই নামে একটি ভাসমান ও চলমান শহর তৈরি করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হলে প্যানজিওস হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান কাঠামো। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। শহরটির নকশা করেছে প্রখ্যাত নকশাকার ল্যাজারিনি। ল্যাজারিনির নকশায় তৈরি হতে যাওয়া এই প্রমোদতরীর দৈর্ঘ্য হবে ৫৫০ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৬১০ মিটার। ল্যাজারিনি জানিয়েছে, এই বিশালাকৃতির প্রমোদতরীতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের হোটেল, মোটেল, আবাসিক ভবন, শপিং মল এবং পার্কসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা। এ ছাড়া ছোট ছোট বিভিন্ন জাহাজ ভেড়ানোর জন্য থাকবে ছোট আকারের বন্দর সুবিধাও। থাকবে বিমান এবং হেলিকপ্টার অবতরণের সুবিধাও। কচ্ছপ আকৃতির এই প্রমোদতরী তৈরির জন্য দরকার একটি বিশেষ জায়গার। সম্ভাব্য নির্মাণস্থল হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নেওয়ার কথা জানাচ্ছে ল্যাজারিনি। তিনি আরও জানান, প্রমোদতরী নির্মাণের জন্য প্রায় এক বর্গকিলোমিটার সমুদ্র ড্রেজিং করতে হবে এবং নির্মাণ শুরু করার আগে সেখানে একটি বৃত্তাকার বাঁধ তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ল্যাজারিনি সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বন্দরের একটি জায়গাক প্যানজিওস নামে এই ভাসমান ও চলমান শহরটি বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত থাকবে। নকশাকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শহরটির কাঠামোর নিচের দিকে সবমিলিয়ে বিভিন্ন আকৃতির ৩০ হাজার সেল থাকবে যা শহরটিকে ভাসমান রাখতে সহায়তা করবে। যে অংশটুকু পানির নিচে থাকবে তার উচ্চতা হবে ৩০ মিটার। এ ছাড়া শহরটি সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৫ নট বেগে চলতে পারবে।পুরো শহরটির জ্বালানি বা বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে এর দুটি ডানা। এই ডানাগুলো সমুদ্রের ঢেউ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ইঞ্জিনকে চলতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া অতিকায় এর ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল যা পুরো শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে। ল্যাজারিনি আশা প্রকাশ করেছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রমোদতরীটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে সময় লাগবে আট বছর। তবে প্রমোদতরীটি নির্মাণে কারা অর্থবিনিয়োগ করবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ল্যাজারিনি।