তথ্য চুরি নিয়ে আঙুল ফেসবুকের দিকে উঠলেও ছাড় পাচ্ছে না গুগল, টুইটারও। মার্কিন প্রতিনিধিসভার একটি শক্তিশালী কমিটি সমন জারি করেছে এই তিনটি সংস্থার প্রধানের উদ্দেশে।
ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, গুগলের সুন্দর পিচাই ও টুইটারের জ্যাক ডরসিকে আগামী মাসে ওই কমিটিতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে। তথ্য সুরক্ষার নীতি ও এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে তাদের কাছ থেকে। জাকারবার্গ তাতে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছেন। -খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মার্কিন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য কমিশন (এফটিসি) জানিয়েছে, বিষয়টি খুবই গুরুতর। তথ্য-সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এটি প্রকাশ্য তদন্ত নয়। এফটিসি দেখবে, ফেসবুক ২০১১ সালে অনুমতির নিয়ম ভেঙেছিল কি না, ২০১৪ সালে মানুষের তথ্য হাতিয়ে নিতে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে কীভাবে সাহায্য করেছিল তারা।
অন্যান্যভাবেও ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নিশানা করা তথা ‘মাইক্রো-টার্গেটিং’-এর কাজে ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর নিত্য-নতুন ভূমিকার কথা উঠে আসছে। অনলাইন সংবাদমাধ্যম দাবি, আমেরিকায় অভিবাসীরা কে কোথায় রয়েছেন, কী করছেন— এসবের উপরে নজর রাখতে ফেসবুকের পেছন দরজা দিয়ে নিয়ে থাকে সে দেশের অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তরও।
তথ্য-কেলেঙ্কারি সামনে আসায় দশ দিনে ফেসবুকের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ হাজার কোটি ডলার।