বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের জনপ্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ টেকনিশিয়ান নেইল প্যাপওয়ার্থ তার সহকর্মী রিচার্ড জারভিসকে একটি এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তা পাঠান। তখন নেইল প্যাপওয়ার্থের বয়স ছিল ২২ বছর। এখনকার মতো মোবাইলে ম্যাসেজটি পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয়েছিলো কম্পিউটার থেকে।
পৃথিবীর প্রথম এ বার্তায় ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলে শুভেচ্ছা জানানো হয়। নেইল প্যাপওয়ার্থ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৯২ সালে যখন এসএমএস তৈরি করি তখন আমার ধারণা ছিল না- বার্তা প্রেরণ এতো জনপ্রিয় হবে।এখন আমি আমার ছেলেদের সঙ্গে গল্প করে বলি পৃথিবীতে আমি প্রথম ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরের কিউরেটর এলিজাবেথ ব্রুটন বলেন, এসএমএসকে আধুনিক স্মার্টফোনের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
নেইল প্যাপওয়ার্থ একজন ডেভেলপার ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ভোডাফোনে কাজ করতেন। তখন তিনি এই ম্যাসেজ সার্ভিসটি তৈরি করেন। এর একবছর পর ১৯৯৩ সালে নোকিয়া ম্যাসেজ রিসিভে ‘বিপ’ শব্দের যোগ করে। প্রথম দিকে ম্যাসেজে মাত্র ১৬০টি শব্দ ব্যবহার করা যেতো। পরে ১৯৯৯ সালে জাপানে ইমোজি আবিষ্কার হলে ম্যাসেজ পাঠানো আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শুধু ব্রিটেনেই একদিনে ৯৬ বিলিয়ন ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছিল।