বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
   * আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী   * ইসরায়েলি বোমা হামলায় একই পরিবারের ৭ জন নিহত   * কেন্দ্রের সামনে টাকা বিতরণ, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আটক   * মুনাফা বেড়েছে তিন ব্যাংকের, কমেছে একটির   * সাবেক ছাত্রদল নেতা হিরুকে জনসম্মুখে হাজিরের দাবি রিজভীর   * ছয় মাস বন্ধ থাকবে কমলাপুর-টিটিপাড়া সড়কের একাংশ   * কারাদণ্ড হতে পারে ট্রাম্পের: বিচারকের সতর্কবাণী   * একদিন আগে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত   * পুলিৎজার পেলো রয়টার্স-নিউইয়র্ক টাইমস-ওয়াশিংটন পোস্ট   * ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি  

   অন্যান্য খবর -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
কর্নিয়া দানে এখনো কুসংস্কার কাজ করে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দেশে এখনো মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচি গতিশীল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বছরে এক থেকে দেড় হাজার কর্নিয়া আসে মরণোত্তর দান থেকে। তবে ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করে মানুষ নিরুৎসাহিত হয়ে থাকে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তারা।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, দেশের মানুষের চোখের কর্নিয়া দান করার ব্যাপারে কুসংস্কার কাজ করে। মানুষ মনে করে পুরো চোখ উঠিয়ে ফেলবে, চেহারা বিকৃত হবে, যা আত্মীয়-স্বজনরা মেনে নিতে পারে না। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করতে চেহারা বিকৃত হয় না। মাত্র ১০ মিনিট সময়ে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়। তবে মানুষ এখন আস্তে আস্তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, শিব নারায়ণ দাশ কর্নিয়া দান করে গেছেন। তার দেহও দান করে গেছেন। এক চোখের কর্নিয়া চাঁদপুরের মশিউর রহমানের চোখে প্রতিস্থাপন করেছি। অন্য চোখের কর্নিয়া রংপুরের আবুল কালামের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শিব নারায়ণকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন তিনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন। আমরা সেবা দিয়েছি। এই ফাঁকে ওনাকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যায়ে আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। মৃত্যুর পর আমরা চোখের কর্নিয়া গ্রহণ করি। এমনকি তার দেহটাও।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে শ্রীলঙ্কা, নেপাল থেকে কর্নিয়া আসে। তবে অনেক সময় কর্নিয়া পাওয়া যায় না। তাই আমাদের জন্য একটা শক্তিশালী ব্যাংক প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সন্ধানী খুবই ভালো কাজ করছে।

এসময় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ অসংখ্য বড় বড় মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন। এটা আমাদের জন্য সম্মানের। এতে করে অসংখ্য মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানে উৎসাহিত হবেন। এমনকি কর্নিয়া দান কার্যক্রমও এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অনেকেই শুরুতে চোখ দানে আগ্রহী হোন, পরে যখন আমরা চক্ষু সংগ্রহ করতে যাই, তখন আর তাদের পরিবার দিতে চান না। কিন্তু শিব নারায়ণ দাশের ছেলে নিজ থেকে আমাদের কাছে এসেছেন এবং চক্ষুদানে সহযোগিতা করেছেন। শিব নারায়ণ দাশের মতো এমন ক্ষণজন্মা মানুষের আরও অনেক জন্ম হোক।

দানকৃত চোখ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করেছেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসক রাজশ্রী দাশ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিব নারায়ণ দেশকে একটি লাল-সবুজের পতাকা দিয়েছেন। মৃত্যুর পর দেহ ও চোখ দুটোও দান করেছেন। মরণোত্তর চক্ষু দানে মহত্ত্ব আছে। ১৯ এপ্রিল মারা যান তিনি। তার কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয় ১৯ এপ্রিল। পরের দিন ২০ এপ্রিল আমরা দুটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করি। মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহ করতে হয়। কর্নিয়া সংগ্রহ করতে ১০-১৫ মিনিট লাগে।

রাজশ্রী দাশ আরও বলেন, দেশে কর্নিয়া দান নিয়ে এখনো ধর্মীয় একটা প্রতিবন্ধকতা আছে। ইরান- সৌদি আরবে ৫-৬ হাজার কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ১ থেকে দেড় হাজার পর্যন্ত কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়। এই সংখ্যাটা খুবই কম।

চোখের আলো ফিরে পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন মশিউর রহমান ও আবুল কালাম। মশিউর রহমান বলেন, আগের থেকে ভালো দেখতে পাচ্ছি। আমার চোখে সমস্যা ছিল জন্ম থেকেই। শিব নারায়ণ দাশের পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ফিরে পেলে দেশের এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো।

আবুল কালাম বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে বাম চোখে দেখতাম না। কর্নিয়া লাগানোর পর এখন দেখতে পাই। আমার ভালো লাগছে খুব। অপারেশনের আগে চোখে নানান সমস্যা ছিল। এখন নেই। সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে আমার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিব নারায়ণ দাশের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী ও তার ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছায়েফ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান।

কর্নিয়া দানে এখনো কুসংস্কার কাজ করে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দেশে এখনো মরণোত্তর চক্ষুদান কর্মসূচি গতিশীল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বছরে এক থেকে দেড় হাজার কর্নিয়া আসে মরণোত্তর দান থেকে। তবে ধর্মীয় বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করে মানুষ নিরুৎসাহিত হয়ে থাকে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তারা।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিল্টন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, দেশের মানুষের চোখের কর্নিয়া দান করার ব্যাপারে কুসংস্কার কাজ করে। মানুষ মনে করে পুরো চোখ উঠিয়ে ফেলবে, চেহারা বিকৃত হবে, যা আত্মীয়-স্বজনরা মেনে নিতে পারে না। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করতে চেহারা বিকৃত হয় না। মাত্র ১০ মিনিট সময়ে কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়। তবে মানুষ এখন আস্তে আস্তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, শিব নারায়ণ দাশ কর্নিয়া দান করে গেছেন। তার দেহও দান করে গেছেন। এক চোখের কর্নিয়া চাঁদপুরের মশিউর রহমানের চোখে প্রতিস্থাপন করেছি। অন্য চোখের কর্নিয়া রংপুরের আবুল কালামের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শিব নারায়ণকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন তিনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন। আমরা সেবা দিয়েছি। এই ফাঁকে ওনাকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যায়ে আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। মৃত্যুর পর আমরা চোখের কর্নিয়া গ্রহণ করি। এমনকি তার দেহটাও।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে শ্রীলঙ্কা, নেপাল থেকে কর্নিয়া আসে। তবে অনেক সময় কর্নিয়া পাওয়া যায় না। তাই আমাদের জন্য একটা শক্তিশালী ব্যাংক প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সন্ধানী খুবই ভালো কাজ করছে।

এসময় সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ অসংখ্য বড় বড় মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন। এটা আমাদের জন্য সম্মানের। এতে করে অসংখ্য মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদানে উৎসাহিত হবেন। এমনকি কর্নিয়া দান কার্যক্রমও এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অনেকেই শুরুতে চোখ দানে আগ্রহী হোন, পরে যখন আমরা চক্ষু সংগ্রহ করতে যাই, তখন আর তাদের পরিবার দিতে চান না। কিন্তু শিব নারায়ণ দাশের ছেলে নিজ থেকে আমাদের কাছে এসেছেন এবং চক্ষুদানে সহযোগিতা করেছেন। শিব নারায়ণ দাশের মতো এমন ক্ষণজন্মা মানুষের আরও অনেক জন্ম হোক।

দানকৃত চোখ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপন করেছেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসক রাজশ্রী দাশ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শিব নারায়ণ দেশকে একটি লাল-সবুজের পতাকা দিয়েছেন। মৃত্যুর পর দেহ ও চোখ দুটোও দান করেছেন। মরণোত্তর চক্ষু দানে মহত্ত্ব আছে। ১৯ এপ্রিল মারা যান তিনি। তার কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয় ১৯ এপ্রিল। পরের দিন ২০ এপ্রিল আমরা দুটি কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করি। মৃত্যুর ৬ ঘণ্টার মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহ করতে হয়। কর্নিয়া সংগ্রহ করতে ১০-১৫ মিনিট লাগে।

রাজশ্রী দাশ আরও বলেন, দেশে কর্নিয়া দান নিয়ে এখনো ধর্মীয় একটা প্রতিবন্ধকতা আছে। ইরান- সৌদি আরবে ৫-৬ হাজার কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ১ থেকে দেড় হাজার পর্যন্ত কর্নিয়া প্রতিস্থাপন হয়। এই সংখ্যাটা খুবই কম।

চোখের আলো ফিরে পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন মশিউর রহমান ও আবুল কালাম। মশিউর রহমান বলেন, আগের থেকে ভালো দেখতে পাচ্ছি। আমার চোখে সমস্যা ছিল জন্ম থেকেই। শিব নারায়ণ দাশের পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে। দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ফিরে পেলে দেশের এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো।

আবুল কালাম বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে বাম চোখে দেখতাম না। কর্নিয়া লাগানোর পর এখন দেখতে পাই। আমার ভালো লাগছে খুব। অপারেশনের আগে চোখে নানান সমস্যা ছিল। এখন নেই। সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন হয়েছে আমার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিব নারায়ণ দাশের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী ও তার ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছায়েফ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান।

ঢাবিতে বুধবার থেকে সশরীরে ক্লাস
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

তাপপ্রবাহ কমে আসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পুনরায় সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম আগামী বুধবার (৮ মে) থেকে শুরু হবে।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়

সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় আগামী ৮ মে, বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল হিট ওয়েভের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে এবং পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতি প্রয়োজনে গাছ কাটার অনুমতি প্রদানে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।

রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।

সংগঠনের সভাপতি ও রিটকারী সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রিটে বিবাদীরা হলেন- কেবিনেট বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি), ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই।

রিটের বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এইচআরপিবি এ রিট পিটিশন দায়ের করে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট পিটিশনটি সোমবার (৬ মে) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

রিটে এইচআরপিবি’র পক্ষে দাবি করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে, যা বন্ধ না হলে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যেন কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এবার মানবপাচার মামলায় রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

মানবপাচার আইনে করা মামলায় ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ (রোববার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার (২ মে) মিরপুর মডেল থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলায় মিল্টনের সহযোগী কিশোর বালা নামে একজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বৃহস্পতিবার (২ মে) মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই কামাল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মানবপাচারের অভিযাগে বুধবার (১ মে) রাতে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব (৩৫)।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি শেরে বাংলানগর থানার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এ ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে নিয়ে যান। তখন বাদী নিজেও তাদের সঙ্গে যান। মিল্টন সমাদ্দার তাকে (বাদী) অজ্ঞাতনামা শিশুর অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে’ ভর্তি করা হয়। এরপর মিল্টন সমাদ্দার জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে।

ভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ফোন করে মিল্টন সমাদ্দার আমাকে গালিগালাজ করেন এবং বলেন আমি যেন তার প্রতিষ্ঠানে আর না যাই, শিশুটির খোঁজ-খবর না নেই। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে আমাকে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে আমি আর সেখানে যাইনি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও সদুত্তর মেলেনি। বাদীর অভিযোগ, শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় জাতীয় নীতিমালা বা গাইডলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে এমন উদ্যোগ। এতে সহায়তা করছে ইউনিসেফ।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ শিশুদের নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২১ সালে চালু হওয়া ইউনিসেফের ‘সুস্থ শিশুর জন্য সুস্থ পরিবেশ’ শীর্ষক বৈশ্বিক কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিএইচএসের তৈরি এ জাতীয় নীতিমালা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল তাতে জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। তাপপ্রবাহ যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে তখনই আমরা এই নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। এটি সময় উপযোগী একটি নির্দেশিকা যা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের এই নীতিমালার আলোকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে, তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বাড়ে এবং তাপপ্রবাহ না থাকা সময়ের তুলনায় তাপপ্রবাহের সময়ে এই হার ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর মানে হলো, তাপপ্রবাহের সময়ে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকি অনেক বেশি। অর্থাৎ তাপপ্রবাহ যত বেশি এবং যত তীব্র হবে ঝুঁকি তত বাড়বে। বাংলাদেশে অপরিণত শিশু জন্মের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১৬.২%) এবং তাপপ্রবাহে এটি আরও বাড়ে।

এ ছাড়াও ইউনিসেফের হিট ফ্রেমওয়ার্ক এই নীতিমালা বা গাইডলাইনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো হলো:

১. গরমজনিত চাপ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
২. গরমজনিত চাপের লক্ষণগুলো সহজেই শনাক্ত করুন।
৩. নিজেকে ও অন্যদের সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন।
৪. কারো মধ্যে গুরুতর লক্ষণ দেখা গেলে তাকে অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।

এই নির্দেশাবলীর লক্ষ্য হলো, জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো এবং গরমজনিত স্বাস্থ্য উদ্যোগে মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা। বৃহত্তর কমিউনিটি ও জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম ও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনের মাধ্যমে এই নীতামালা বা গাইডলাইন সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে।

ইউনিসেফের হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মোট শিশুর ৯৯ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫৫ লাখ প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি। ২০২০ সালে মাত্র ২৬ লাখ শিশু, যা দেশের মোট শিশুর ৫ শতাংশ, এই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি তিন শিশুর একজন বা প্রায় ২ কোটি শিশু প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ, বন্যা, নদী ভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত অভিঘাতের মতো বিরূপ আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে শিশুরা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত মানুষের জন্য অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। ইউনিসেফ জলবায়ু-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং প্রতিটি শিশুর জন্য একটি সহনশীল ও টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে ডিজিএইচএস, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রাখে।

স্বাভাবিক প্রসবের ৭৮ শতাংশই হয় মিডওয়াইফদের মাধ্যমে
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমলেও প্রতি ১ লাখ শিশু জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছে ১৫৬ জন মা। প্রতিবছর গর্ভাবস্থা এবং প্রসবজনিত জটিলতায় ৪ হাজারের বেশি মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় এটি ৭০ এ নামিয়ে আনার চেষ্টা হলেও, অর্জনে এখনও বাংলাদেশ অনেক দূরে। তাছাড়া দেশে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক প্রসবের ৭৮ শতাংশই হচ্ছে মিডওয়াইফদের হাতে।

ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব মিডওয়াইফ’স (আইসিএম) বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। দিন যত যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব তাপপ্রবাহ, বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। যা উল্লেখযোগ্যভাবে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

এমন পরিস্থিতিতে ‘মিডওয়াইফ, জলবায়ু সংকটে অপরিহার্য জনশক্তি’ এই প্রতিপাদ্যে সারাবিশ্বের মতো রোববার বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস-২০২৪।

চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মায়েদের গর্ভাবস্থা, প্রসববেদনা ও প্রসবের শুরুর অবস্থায় পরামর্শ ও নবজাতকের যত্ন নিতে সহায়তা করেন একজন মিডওয়াইফ। প্রসূতির স্বাস্থ্য ও শিশুর পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ দেন। মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য মিডওয়াইফ ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকেন। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে মিডওয়াইফরা বড় ভূমিকা রাখেন। তাই সরকারি-বেসরকারিভাবে মিডওয়াইফদের ওপরে বিনিয়োগ করা, স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের পূর্ণ পরিসরে অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া জরুরি। এতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির সভাপতি আসমা খাতুন বলেন, দেশে ২০২০ সালে প্রসবকালে প্রতি লাখে মাতৃ মৃত্যু ছিল ১৬৩ জন। কিন্তু জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল-মৃত্যুহার প্রতি লাখে ১২১ জনে নামিয়ে আনা। এভাবে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি লাখে ৮৫ জনে নামিয়ে আনা। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এই হার ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে।

প্রসূতি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের’ (ওজিএসবি) চিকিৎসকরা জানান, মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনও অনেক কাজ বাকি। কারণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় মিডওয়াইফের সংখ্যা কম। সব হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজের উপযুক্ত পরিবেশও নেই। তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এখন্র মিডওয়াইফদের অনেকে নার্স ভাবেন। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও মিডওয়াইফদের কার্যপরিধি সম্পর্কে খুবই কম জানেন।

বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, দেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে নিবন্ধন করা মিডওয়াইফের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে তিন হাজার মিডওয়াইফ পদ থাকলেও প্রায় ২ হাজার ৫৫৭ জন মিডওয়াইফ কাজ করছেন। সেবাগ্রহীতার তুলনায় মিডওয়াইফদের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সেবাদান ব্যহত হচ্ছে। টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দ্রুত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া জরুরি। গত বছর চারটি কলেজে মাত্র ২০টি করে মোট ৮০টি সিটে মিডওয়াইফরা বিএসসি-ইন-মিডওয়াইফারির সুযোগ পেয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আড়াই হাজারের কিছু বেশি মিডওয়াইফ রয়েছে। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। ঘাটতি পূরণে ৫ হাজার পদ সৃষ্টির আবেদন করা হয়েছিল। নানা জটিলতার কারণে ৪০১ জনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তবে এরই মধ্যে ৩ হাজার নার্স নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৫ হাজার পদ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হবে। তখন সংকট কমে যাবে।

শামীমের বিরুদ্ধে এবার চেম্বারে যাবেন এ কে আজাদ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।

এ কে আজাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় নির্বাচন কমিশন এ কে আজাদের আপিলের ভিত্তিতে শামীম হকের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে শামীম হক রি-পিটিশন করেন। সেখানেও তিনি সফলকাম হননি। হাইকোর্ট ডিভিশন তার রি-পিটিশন রিজেক্ট করেন এবং নির্বাচন কমিশনের আদেশ বহাল রাখেন।

‘তবে এর বিরুদ্ধে শামিম হক আপিল বিভাগে সিএমপি ফাইল করেন এবং সিএমপিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, সেটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং প্রথম অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন, সেটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ এ আদেশের ফলে শামীম হক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে চেম্বার আদালতের সে আদেশ ভ্যাকেট করার জন্য একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করেছি। এটি দ্রুতই চেম্বার আদালতে পেশ করবো এবং চেম্বার আদালতের পরে আমরা চেষ্টা করবো যাতে পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগের সামনে শুনানি করতে পারি।’

শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক, এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তার পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন। অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকে।

শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জি কে শামীমের জামিন স্থগিত
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম. কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বি.এম. ইলিয়াস কচি, অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এস.এম. আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। জি কে শামীমের দেহরক্ষীরা হলেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

চলতি বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। তার সাত দেহরক্ষীরও চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

ফখরুলের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল শুনানি ১৭ ডিসেম্বর
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে করা রুল শুনানির জন্য রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে সরকারকে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানির ধার্য দিনে ওইদিন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গ্রেফতার না দেখালেও মির্জা ফখরুলের ১০ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পৃথক ১০ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ আবেদন করেন। পল্টন থানার সাত মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

এদিকে আদালতে সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল ১০ মামলার এজাহারনামীয় আসামি হলেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, তাকে গ্রেফতার না দেখানো না হলেও আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করেছি।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদাল জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর গত ২ নভেম্বর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। আবেদনের পর আদালতে জামিন শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ জামিন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিন শুনানি পিছিয়ে ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন শুনানি শেষে জজকোর্ট তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে গত ৫ ডিসেম্বর উভয় আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ইংরেজিতে বেশি ফেল করায় যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে যশোর। এ বোর্ডে পাস করেছে মাত্র ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। অথচ গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের চেয়ে এবার যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।

ফলাফলে যশোর বোর্ডের তলানিতে অবস্থানের কারণও জানিয়েছেন বোর্ডটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবিব। তিনি জানান, এবার তার বোর্ডের ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নপত্র কিছুটা কঠিন হয়েছিল। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা ফেল বেশি করায় পাসের হার কমেছে। একই সঙ্গে ইংরেজিতে খারাপ করায় অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি।

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এসময় সাংবাদিকরা যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চান। মন্ত্রী তখন বোর্ড চেয়ারম্যানকে কারণ জানাতে বলেন। সংবাদ সম্মেলনে থাকা যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবিব তখন ইংরেজির প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়াকে ফল বিপর্যয়ের কারণ বলে জানান।

এদিকে, ২০২২ সালের এইচএসসির ফলাফলের চেয়ে এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হারও কিছুটা কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এবার এইচএসসি ও সমমানে সব বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

বাকি ৮টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডের ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডের ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

ডেপুটি ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেবে আকিজ বেকারস
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক :

শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ বেকারস লিমিটেডে ‘ডেপুটি ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ বেকারস লিমিটেড
বিভাগের নাম: সেলস অপারেশন্স

পদের নাম: ডেপুটি ম্যানেজার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ০৮ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ৩০ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা (তেজগাঁও শি/এ)

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা https://jobs.bdjobs.com এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২০ অক্টোবর ২০২৩

কাজী জাহান আরা বেগমের ১৭ তম মৃত্য বার্ষিকী আজ
                                  

ডেস্ক রিপোর্ট:

আরমানিটোলা নিউ গভর্মেন্ট গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা, সমাজসেবিকা ও প্রখ্যাত ন্যাপ নেতা এডভোকেট মরহুম কাজী জহিরুল হক এর সহধর্মিনী কাজী জাহান আরা বেগম এর ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ২৯শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে বকশি বাজার চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে বিশেষ দোঁয়া ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট মহুমার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোঁয়া চাওয়া হয়েছে ।
বালুর নিচ থেকে ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার
                                  

Online desk (DTV BANGLA NEWS): শেরপুরে বালুর স্তূপের নিচ থেকে ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি ৫০ কেজি ওজনের ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। এসব বস্তায় মোট ২ হাজার ৬০০ কেজি চিনি আছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মঙ্গলবার রাতে শেরপুর পৌরসভার দমদমা কালীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চিনি উদ্ধার করে সদর থানা-পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।শেরপুর সদর থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দমদমা কালীগঞ্জ এলাকায় অজ্ঞাতনামা কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিনি মজুত করে রেখেছেন-এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ৯টার দিকে সদর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চিনি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। চিনির মূল্য বৃদ্ধির কথা শুনে কোনো ব্যবসায়ী এখানে মজুদ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দ চিনির বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তীব্র গরমে ভারতের দুই রাজ্যে তিন দিনে ৯৮ জনের মৃত্যু
                                  

তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে ভারতের দুই রাজ্যে গত তিন দিন ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই রাজ্য হল- উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মৃতের সংখ্যা ৫৪। আর বিহারে ৪৪। স্থানীয় গণমাধ্যমে এই খবর উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুন যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ওই তিন দিন চারশ’রও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন বালিয়া জেলা হাসপাতালে। বালিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সিএমও) জয়ন্ত কুমার জানিয়েছেন, যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। সিএমও’র দাবি, জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা প্রতি দিন বাড়ছে। তার কথায়, “তাপপ্রবাহের কারণে রোগীরা কোনও না কোনও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।” তিনি জানান, বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ব্রেন স্ট্রোক এবং ডায়েরিয়ার কারণে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন, গত ১৫ জুন মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। ১৬ জুন ২০ জনের এবং ১৭ জুন স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বালিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া ভবনের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার বালিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে, বিহারের পরিস্থিতিও একই রকম। তীব্র গরমে পুড়ছে পূর্ব ভারতের এই রাজ্য।  এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাপপ্রবাহে। রাজ্যের ১৮টি জায়গায় চরম তাপপ্রবাহ বইছে। ৪৪ জনের মধ্যে শুধুমাত্র পাটনাতেই মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। তাদের মধ্যে নালন্দা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে ১৯ জন এবং পাটনা মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। বাকি ন’জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে। বিহার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার ১১টি জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। পাটনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শেখপুরায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায় শনিবার। তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত পাটনাসহ রাজ্যের সমস্ত জেলায় স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর ১৮ এবং ১৯ জুন চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আওরাঙ্গাবাদ, রোহতাস, ভোজপুর, বক্সার, কাইমুর এবং আরওয়াল জেলায়। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই সব জেলায়। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পাটনা, বেগুসরাই, খাগারিয়া, নালন্দা, বাঁকা, শেখপুরা, জামুই এবং লাখিসরাইয়ে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব চম্পারণ, গায়া, ভাগলপুর, জেহানাবাদে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

রায়পুরায় নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা
                                  

Online desk (DTV BANGLA NEWS):নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরায় আব্দুল করিম (৪৫) নামে এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১১ জুন)দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আতসআলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল করিম একই ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে।নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিদ্দিক জানান, করিম ও আসাদ নামে দুইজন নৈশপ্রহরী আতসআলী বাজার পাহারা দিতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও তারা বাজারের দুই মাথায় দুজনে পাহারায় বসেছিলেন। আসাদ পাহারা দেওয়ার সময় করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে তিনি করিম সেখানে পাহারা দিচ্ছিলেন সেই স্থানে যান। সেখানে গিয়ে তিনি করিমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাটিতে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে স্থানীয়রা এসে দেখে করিম মারা গেছেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বিট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) সালাম বলেন, রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে কোনো এক সময় কে বা কারা বাজারের নৈশপ্রহরী আব্দুল করিমকে হত্যা করে মাটিতে ফেলে রেখে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


   Page 1 of 80
     অন্যান্য খবর
কর্নিয়া দানে এখনো কুসংস্কার কাজ করে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
.............................................................................................
ঢাবিতে বুধবার থেকে সশরীরে ক্লাস
.............................................................................................
সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
.............................................................................................
এবার মানবপাচার মামলায় রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
.............................................................................................
তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ
.............................................................................................
স্বাভাবিক প্রসবের ৭৮ শতাংশই হয় মিডওয়াইফদের মাধ্যমে
.............................................................................................
শামীমের বিরুদ্ধে এবার চেম্বারে যাবেন এ কে আজাদ
.............................................................................................
অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জি কে শামীমের জামিন স্থগিত
.............................................................................................
ফখরুলের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল শুনানি ১৭ ডিসেম্বর
.............................................................................................
গ্রেফতার না দেখালেও মির্জা ফখরুলের ১০ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন
.............................................................................................
ইংরেজিতে বেশি ফেল করায় যশোর বোর্ডে ফল বিপর্যয়
.............................................................................................
ডেপুটি ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেবে আকিজ বেকারস
.............................................................................................
কাজী জাহান আরা বেগমের ১৭ তম মৃত্য বার্ষিকী আজ
.............................................................................................
বালুর নিচ থেকে ৫২ বস্তা চিনি উদ্ধার
.............................................................................................
তীব্র গরমে ভারতের দুই রাজ্যে তিন দিনে ৯৮ জনের মৃত্যু
.............................................................................................
রায়পুরায় নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা
.............................................................................................
‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
.............................................................................................
বিপর্যয়’ এখন ‘অতি শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড়, ১৫ জুন আঘাত হানতে পারে
.............................................................................................
বিপর্যয়’ এখন ‘অতি শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড়, ১৫ জুন আঘাত হানতে পারে
.............................................................................................
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি বেড়ে দূর হতে পারে তাপপ্রবাহ
.............................................................................................
৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
.............................................................................................
২৪ ঘণ্টার মধ্যে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বিপর্যয়: আইএমডি
.............................................................................................
সিলেটে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪
.............................................................................................
কোরবানি ঈদ ঘিরে লাভের স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা
.............................................................................................
কোরবানি ঈদ ঘিরে লাভের স্বপ্ন দেখছেন খামারিরা
.............................................................................................
আবহাওয়া অফিস নতুন যে তথ্য দিলো
.............................................................................................
এবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিকের ক্লাস বন্ধ
.............................................................................................
শনির আখড়ায় ভবন থেকে পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
.............................................................................................
যানজটের সঙ্গে তাপদাহ, অতিষ্ঠ নগরজীবন
.............................................................................................
কেএনএফ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান মরণকামড় দিলে আমরাও প্রতিহত করবো
.............................................................................................
কেএনএফ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান মরণকামড় দিলে আমরাও প্রতিহত করবো
.............................................................................................
চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন
.............................................................................................
চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন
.............................................................................................
চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন
.............................................................................................
ধানমন্ডি লেকে ভাসছিল কিশোরের মরদেহ
.............................................................................................
ধানমন্ডি লেকে ভাসছিল কিশোরের মরদেহ
.............................................................................................
তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
.............................................................................................
তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
.............................................................................................
তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিয়ে যে পূর্বাভাস দিলো আবহাওয়া অফিস
.............................................................................................
ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এবার ৫ গুণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
লক্ষ্মীপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেলো নারীর
.............................................................................................
লক্ষ্মীপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেলো নারীর
.............................................................................................
ঝড়-বৃষ্টি কমে ফের আসছে তাপপ্রবাহ
.............................................................................................
ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
.............................................................................................
ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
.............................................................................................
ভারতীয় পাসপোর্টে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা, মুম্বাইয়ে বাংলাদেশি গ্রেফতার
.............................................................................................
দুপুরেই ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব জেলায়
.............................................................................................
হবিগঞ্জে মাজারে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় ৩ নারী নিহত
.............................................................................................
একদিনে ৫২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
   All Right Reserved By www.dtvbangla.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale