অসহায়দের পাশে এমপি ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী নূরে আলম
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়, গাজিপুর ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ এর নির্দেশে দিন রাত অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শ্রীপুর পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক নূরে আলম মোল্লা। তিনি নিজে রাজপথে থেকে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদহ্মেপ নিয়েও দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরেকটি বিশেষ কাজ নিরবে করে যাচ্ছেন তা হলো নিজের কষ্টের উপার্জনের টাকায় সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিন্ম মধ্যবিত্ত যারা লজ্জায় কাউকে বলতে পারে না তাদের জন্য সহায়তা করা। এই সমাজে তাদের সংখ্যাও কম নয় । তিনি তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ঘরে ঘরে গিয়ে নিরবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যা এই সমাজে মানবতার একটি বিরাট উদাহরন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ও অনেক অসহায় কর্মী আছেন যারাও নিন্ম মধ্যবিত্ত পর্যায়ের আয়ে চলে। তিনি তাদের ও নিজের উপার্জনের টাকায় নিরবে সহোযোগিতা করে যাচ্ছেন।
|
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায়, গাজিপুর ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ এর নির্দেশে দিন রাত অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শ্রীপুর পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক নূরে আলম মোল্লা। তিনি নিজে রাজপথে থেকে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদহ্মেপ নিয়েও দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরেকটি বিশেষ কাজ নিরবে করে যাচ্ছেন তা হলো নিজের কষ্টের উপার্জনের টাকায় সমাজে অনেক লোক আছে যারা নিন্ম মধ্যবিত্ত যারা লজ্জায় কাউকে বলতে পারে না তাদের জন্য সহায়তা করা। এই সমাজে তাদের সংখ্যাও কম নয় । তিনি তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে ঘরে ঘরে গিয়ে নিরবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যা এই সমাজে মানবতার একটি বিরাট উদাহরন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ও অনেক অসহায় কর্মী আছেন যারাও নিন্ম মধ্যবিত্ত পর্যায়ের আয়ে চলে। তিনি তাদের ও নিজের উপার্জনের টাকায় নিরবে সহোযোগিতা করে যাচ্ছেন।
|
|
|
|
আমতলী প্রতিনিধি। শাহনাজ পারভীন লিপি আমতলি উপজেলার আমতলি পৌরসভার ৪ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সিকদার এর স্ত্রী। শিশু বয়সে মা মারা যান। বাবা বৃদ্ভ অসুস্থ্য। একমাত্র মেয়ে মারজানা আমতলী একে স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ে। অর্থাভাবে তিনজনার সংসার চলে খুব কষ্টে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে লিপি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আমতলি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করাতে গিয়ে দেখে তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে। ডাক্তার এফ এম আতিকুর রহমান এর তত্বাবধায়নে চিকিৎসা চালান। অবস্থা গুরুতর হলে ডাক্তার তাকে ঢাকা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থাভাবে তারা কোন ভাবেই চিকিৎসা করাতে পারছে না। ঢাকা নেওয়া এবং কিডনি ট্রান্সফার করার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।এত টাকা সংগ্রহ করা তার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।। কোন ধরনের চিকিৎসা চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।একদিকে মেয়ের লেখাপড়া অনিশ্চিত অন্যদিকে লিপি আক্তার বিছানায় শুয়ে কাতড়াচ্ছে। অসহায় মনিরুল ইসলাম সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। আসুন যার যার সাধ্যমত শাহনাজ পারভীন লিপির পাশে দাঁড়াই। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ মনিরুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কলাকোপা শাখা ঢাকা। ব্যাংক হিসাব নম্বর , ৫৫১৪৫০১০০৬৩৭৭ বিকাশ নাম্বার,:- ০১৭১৮৩৭১৮৪৬
|
|
|
|
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার সকাল দশটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেয়া হয়।
গত সোমবার সকালে উত্তরার বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিএনপি মহাসচিবকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন উজ্জামানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসকরা তার হার্টে সমস্যা আছে কি না সেটা পরীক্ষার জন্য এনজিওগ্রাম করালেও তাতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাওয়াজ শুভ আজ সকালে বলেন, মহাসচিব স্যার পুরোপুরি সুস্থ আছেন। সকালে তাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
অসুস্থ অবস্থায় ফখরুলের পাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও মির্জা ফখরুলকে হাসপাতালে দেখতে যান গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকে।
|
|
|
|
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে আগামী ২৩ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের ভেতর সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ প্রত্যুষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ স্মৃতিসৌধ ত্যাগ না করা পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এক তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরও বলা হয়, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে যেকোন ধরনের তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, এবং পোস্টার লাগানো থেকে বিরত থাকতে সর্বসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তার দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধের ফুলের বাগানের যাতে কোনরূপ ক্ষতি সাধিত না হয় সে বিষয়ে সর্বসাধারণকে সচেতন থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
রাজধানীর গাবতলীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাদশা মিয়া (৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত তিনটার দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এতে আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
র্যাব-১০-এর বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ‘ডাকাত’ বাদশা ও হানিফকে ঢামেকে নিয়ে আসা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
|
|
|
|
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষণা দিয়েছেন, বাসা-বাড়িতে এডিস মশা ‘প্রজননের ক্ষেত্র’ থাকলে জেল-জরিমানা হবে বাড়ির মালিকের।এডিস মশার বিস্তার রোধে প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট করতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনে বিশেষ বৈঠকে মেয়র সাঈদ খোকন এ কথা বলেন। বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের নানা মতামত উঠে আসে।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নগরবাসীর উদ্দেশ্যে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এতে রাজধানীর বাসিন্দাদের নিজ বাসা বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হবে। পরিত্যক্ত পানির পাত্র, যাতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারে, এ রকম পাত্র বাড়ির আঙ্গিনায় রাখা যাবে না।
মেয়র আরও জানান, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে মশার ‘প্রজননক্ষেত্রের’ সন্ধানে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যদি কারও বাড়ির সীমানার ভেতরে এমন কিছু পাওয়া যায়, তবে সেই বাড়ি বা হোল্ডিংয়ের মালিককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল ও জরিমান করা হবে।
মেয়র দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, নগরবাসী কোন বিব্রত অবস্থায় পড়ুক, এটা কারোরই কাম্য নয়। তবে মশার বিস্তার রোধে এই কার্যক্রম শক্ত হাতে পরিচালনা করা হবে।
|
|
|
|
নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী সামন্তলাল সেনকে প্রধান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বোর্ড গঠন করেছে।
আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভাকক্ষে মেডিকেল বোর্ডটি গঠন করা হয়। এর পর সাংবাদিকদের বোর্ড গঠনের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আহতরা এখন শারীরিকভাবে আশঙ্কামুক্ত। তবে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই মেডিকেল বোর্ডে মানসিক চিকিৎসকও রাখা হয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সামন্তলাল সেন বলেন, বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কাল রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল বোর্ড আহতদের নিয়ে কাজ শুরু করবে।
গত ১২ মার্চ সোমবার ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান। এ ঘটনায় ৫১ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ আহতদের মধ্যে প্রথম দেশে আনা হয় শেহরিন আহমেদ নামের এক যাত্রীকে।
এরপর গতকাল শুক্রবার দেশে ফিরে আসেন আহত তিন যাত্রী গাজীপুরের শ্রীপুরের বাসিন্দা সৈয়দ কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি ও মেহেদি হাসান। তাঁদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ দেশে আসবেন দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী রাশেদ রুবায়েত। অপর আহত ইমরানা কবির হাসির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের প্রধান পাইলট আবিদ সুলতান মারা গেছেন।
কাঠমান্ডুর নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবিদ মারা যান বলে মঙ্গলবার ভোররাতে তার উত্তরার বাসায় ইউএস-বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ফলে বিমানটিতে থাকা দুই পাইলট ও দুই ক্রুর মধ্যে শুধু ক্রু কে এইচ এম শাফি বেঁচে আছেন।
সোমবার দুর্ঘটনার পর পরই বিমানটির কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ ও ক্রু খাজা হোসেন মারা যান। প্রধান পাইলট আবিদ সুলতানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো গেল না তাকে।
সোমবার বেলা ১২টা ৫১মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬৭জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিমানটি দুপুর ২টা ২০মিনিটে বিধ্বস্ত হয়।
বিমান বিধ্বস্তে ৪৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে বার্তা সংস্থাটি নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৫০ বলে উল্লেখ করেছিল। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছে। বিমানে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন।
জানা গেছে, ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম (এটিসি) থেকে পাইলট আবিদকে অবতরণের ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়।
কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথোপকথনের অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, কন্ট্রোলরুম থেকে বিমানের পাইলটকে বিমানবন্দরের ডানদিকের দুই নাম্বার রানওয়েতে অবতরণের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরে আবিদ বলেন, ঠিক আছে স্যার।
নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনি বিমানটি বিমানবন্দরের ডানদিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কন্ট্রোলরুমে। কিন্তু ডানদিকে রানওয়ে ফ্রি না থাকায় তিনি আবারও কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাকে ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়। এবারে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বর্তমান অবস্থানে থাকতে পারবেন? এ সময় পাইলট আবিদ দুই নাম্বার রানওয়ে ফ্রি করার জন্য কন্ট্রোলরুমের কাছে অনুরোধ জানান। কিন্তু তাকে আবারও ভিন্ন বার্তা দেয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পর পাইলট আবিদ বলেন, স্যার আমি আবারও অনুরোধ করছি রানওয়ে ফ্রি করুন। এর পর পরই বিমানটি বিকট শব্দ করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ২টা ১৮ মিনিটে বিমানটি ত্রিভুবন বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে পাইলট আবিদসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ বাংলাদেশি যাত্রী।
উল্লেখ্য, ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন। তিনি বিমানবাহিনীর মিগ-২১ চালানোর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ছিলেন।
|
|
|
|
পরিবারে কেউ একজন অসুস্থ, সে ওষুধ ঠিক সময়ে খেলো কিনা, শরীরে রক্তচাপ কম না বেশি, তাপমাত্রা সবকিছুই জানা যাবে একটি যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি বার্ষিক সম্মেলনে অভিনব পদ্ধতির এ যন্ত্র আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।
মজার বিষয় হলো এতধরণের কাজ কিন্তু করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তা ঠিক মিলিমিটার ঘণত্বের একটির রাবার শিট। অতি পাতলা ইলাস্টিক দিয়ে তৈরি এ যন্ত্র যার কাজ মূলত চামড়ার উপর। অর্থাৎ চামড়ায় বসিয়ে দিলে সেই ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক সবধরণের সমস্যাই নির্ধারণ করতে পারবে এ যন্ত্র।
এ যন্ত্র প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী তাকাও সোমেয়া বলেন, ঘরের মাঝে এ যন্ত্রটি ডাক্তারের সহায়তা ছাড়াও মেডিকাল সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। এমনকি ডাক্তারের অনুপস্থিতিতেও রোগীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে এ পাতলা আবরণির মধ্য দিয়ে। এরজন্য কোনো অস্বস্তির মুখেও পড়তে হবেনা হবেনা রোগীদের। আগামী তিনবছরের মধ্যেই এ যন্ত্র আসছে বলেও জানিয়েছে তারা।
|
|
|
|
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশে ওষুধ প্রাপ্তি মূলত: আমদানীর ওপর নির্ভরশীল ছিল এবং অনেক উচ্চ মূল্যে জনগণকে ওষুধ ক্রয় করতে হতো। ইতোমধ্যে ওষুধ আমদানিকারী দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধ সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের ইউরোপ আমেরিকাসহ প্রায় ৯২টি দেশে ৭৩৩ কোটি টাকা, ২০১৫ সালে ১২০টি দেশে ৮১২ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ১২৭টি দেশে ২ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ও ২০১৭ সালে ১৪২টি দেশে ৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করেছে।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সহযোগিতার ফলে ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্পকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে সরকার ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য এপিআই (এ্যাকটিভ ফারমাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস) পার্ক স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাজারের উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় ওষুধ প্রশাসন থেকে রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল কর্মকাণ্ড অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
|
|
|
|
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
‘ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান--
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান--
আমার আপনহারা প্রাণ আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ॥’
প্রকৃতি প্রেমে সিদ্ধকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফাগুনবন্দনা করে লেখা বিখ্যাত গান। আজ ফাগুনের উদাস হাওয়ায় বাঁধন ছিঁড়েছে প্রাণ। বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ তাই উড়ু উড়ু। ফাগুনের অগ্নিধারায় আপনকেও হারালো মন। হারানো মন ঘুরছে ফাগুন রাঙা যেন বনে বনে।
বছর ঘুরে আবারও ফাগুন এলো। ষড়ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রঙতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতি-প্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।
আজ ১ ফাল্গুন। প্রকৃতি সাজবে তার নতুর রূপে। গাছে গাছে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজ রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে।

বাঙালির ইতিহাস আবেগের। এ আবেগ যেমন মানুষে মানুষে ভালোবাসার, তেমনি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতিরও বটে। দিন-ক্ষণ গুণে গুণে বসন্ত বরণের অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। কালের পরিক্রমায় বসন্ত বরণ আজ বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদায় আজকে মেতে উঠবে।
শীতকে বিদায় জানানোর মধ্যদিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যায় রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।
বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ বাঙালির নানা আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তী রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।
তরুণীরা বাসন্তী রঙয়ের শাড়ি পরে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চাইবে। আর বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণেরা নিজেকে প্রকাশ করবে প্রেমে প্রেমে। বসন্ত যেন মানবমন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা।
বসন্ত উৎসব বলি আর বরণই বলি, এটি মিশে আছে একেবারে আবহমান গ্রাম বাংলার মাটি-মানুষের সঙ্গে। শ্যামলী বাংলার গাছ-গাছালিতে পত্রপল্লবের নতুন কুড়ি যেন গ্রামীণ মানুষের অন্তরকে আরও শুভ্র করে, করে পবিত্রও।
তবে বসন্ত উৎসব আজ গ্রামীণ আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শহুরে মানুষের কাছেও বসন্তের আবেদন ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে শহরের তরুণ-তরুণীরা বসন্ত বরণে দিনভর ব্যস্ত থাকে। ফুলে ফুলে ভরে যাবে তরুণীর চুলের খোপা। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বসবে খাবারের মেলা।
এদিন দর্শনীয় স্থানগুলো মানুষের পদচারণায় যেন তিল ধরার ঠাঁই থাকে না। বসন্তের আগমনে নব উদ্যমে জেগে উঠুক বাঙালি, জেগে উঠুক বাঙালির প্রাণ।
|
|
|
|
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মানবন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর মৎস্যভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাকে আটক করেছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক। একই সঙ্গে শামসুজ্জামান দুদুকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।
এর আগে সোমবার বেলা ১১ দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত মানবন্ধন কর্মসূচি হিসেবে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যোগ দেন। এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার এক পাশে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত। এরপর থেকে নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
|
|
|
|
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সময়সীমা ২৫ বছরের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেশের নারী সমাজের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সিদ্ধান্তটি ‘রাজনৈতিক প্রতারণামূলক’ উল্লেখ করে তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করা ও সেসব আসনে সরাসরি নির্বাচনেরও দাবি জানানো হয়। গতকাল ৭০টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের জোট সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচার সুফিয়া কামাল ভবনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক রওশন জাহান পারভীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিএসের নাসরিন বেগম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের নুরুন নাহার বেগম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নাজরানা ইয়াসমিন হীরা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আয়েশা ইসলাম, ব্লাস্টের উপ-পরিচালক মাহবুবা আক্তার ও অ্যাডভোকেসি অফিসার সোফিয়া হাসিন, এসিড সারভাইভর্স ফাউন্ডেশনের অনিমেষ সরকার, আইইডির সহযোগী সমন্বয়ক তারিক হোসেন এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির ফেরদৌস নিগার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো গত ৩ দশক ধরে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন ও আসন সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনগুলোর নির্বাচনী এলাকা সুনির্দিষ্ট করারও দাবি রয়েছে। এ দাবির মধ্যেও গত ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সময়সীমা ২৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। যা দেশের নারী সমাজের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতারণামূলক। এটা সরকার কর্তৃক দেওয়া বিভিন্ন সময়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উচ্চারিত বক্তব্যসহ জাতিসংঘ ঘোষিত সিডও সনদ ও এসডিজির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হবে, তারা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আয়শা খানম বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের বিধি আরও ২৫ বছর বহাল রাখার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় এখন এটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি যে সম্মান, তা এই বিলে দেখানো হয়নি।
|
|
|
|
কথায় আছে, ‘ভ্রমণই মানুষকে জীবন্ত রাখে। নয়ত যান্ত্রিকতার শহরে মানব সভ্যতা কবে হারিয়ে যেতো!’ জীবনকে প্রাণবন্ত আর কর্মদক্ষতায় এগিয়ে রাখতেই যে কেউ ভ্রমণকেই বেঁছে নেয়। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছে যার ফল স্বরূপ বাঙ্গালিরাও এখন পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সকল ধরণের ভ্রমণ সুবিধা। আর এই সুবিধা আরও সহজলভ্য করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ । ভ্রমনকারীদের সর্বাত্রক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ মানসম্মত ও সুদক্ষ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ভ্রমণ বিষয়ক সকল ধরনের সুবিধা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতেকে আদর্শ শিল্পে পরিণত করার প্রয়াসেই ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ যাত্রা শুরু করেছিল। ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ এর প্রধান লক্ষ্য প্রয়োজনীয় সকল ধরণের তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও প্রসার ঘটানো। বাংলাদেশকে পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে তুলে আনার উদ্দেশ্যে ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ কাজ করে চলেছে। আর তাই বিদেশী পর্যটকদের দেশ ভ্রমণে আকর্ষিত করার সাথে সাথে অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দেশীয় পর্যটকদের গুরুত্বের কথা ভেবেই সকল ধরণের প্রচারনা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ এর চেয়ারম্যান তরুন উদ্যোক্তা মামুন হোসাইন বলেন, “ আমরা বিশ্বাস করি একেকটা ট্যুর মানে একেকটা গল্প, একেকটা স্বপ্ন। আর তার জন্যই আন্তর্জাতিক মানের সকল সুবিধা দিতে বদ্ধ পরিকর আমরা। আপনি পৃথিবীর যে দেশেই ভ্রমণে যেতে চান না কেন? আপনাকে আপনার চাহিদার সব ধরণের ভ্রমণ সুবিধা দিতে আমরা সক্ষম আর এটাই আমাদের গর্ব, এটাই আমাদের কমটিমেন্ট”। তিনি আরও বলেন, ‘এশিয়া, মিডেল ইস্ট, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা সহ আপনি বিশ্বের প্রায় সব দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ এর মাধ্যমে। ভ্রমণের সকল ব্যবস্থাপনায় আরও থাকছে ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল এয়ার টিকেটিং, ভিসা প্রোসেসিং, প্যাকেজ ট্যুর, মেডিকেল ট্যুরিজম, হোটেল রিসারভেশন সহ সকল ধরণের ট্রান্সপোর্ট সুবিধা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ তাদের সকল কর্মকাণ্ড রিসার্চ পক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে। পৃথিবী ঘুরতে আর আপনার ভ্রমণকে স্বরণীয় করে রাখতে ‘মুন ট্যাভেল এন্ড ট্যুরস’ এর ভ্রমণ প্যাকেজগুলো জানতে পারেন www.moonair.com.bd এই ওয়েব ঠিকানায় অথবা https://www.facebook.com/moontraveltourism/ এই ফেসবুক পেইজে। আরও বিস্তারিত জানতে কল করতে পারেন +৮৮ 0১৭৭১ ১৪৪ ৪১৪ এই নম্বরে অথবা যোগাযোগ করতে পারেন: ইসলাম ম্যানশন (৪র্থ তলা), বাসা নং- ৩৯, রোড নং- ১২৬, গুলশান- ১, ঢাকা- ১২১২।
|
|
|
|
রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাহিদার তুলনায় শয্যা সংখ্যা কম। আছে বিভিন্ন সমস্যা। এ কারণে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ জন রেফার হওয়া রোগী এ হাসপাতালে আসেন। এদের কেউ কেউ ১৫ দিন থেকে ১ মাস ঘুরেও শয্যা না থাকায় ভর্তি হতে পারেন না। চিকিৎকরা রোগীদের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে সাধারণ চিকিৎসা দিয়েই বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। যাদের জরুরি ভর্তি প্রয়োজন নানা অজুহাতে তাদের ভর্তির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আছে।
সরেজমিনে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড মাস্টার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন-পুরনো মিলে প্রতিদিন হাসপাতালে এক হাজার থেকে ১২০০ রোগী আসেন। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ রোগীকে কেমোথেরাপি ও ৫০০ জন রোগীকে রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। তাদের সেবা দিতে ২০০ চিকিৎসক, ৪০০ নার্সসহ কর্মরতা-কর্মচারী ও আয়া-ওয়ার্ডবয় কাজ করছেন।
বেশির ভাগ রোগী বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বজনরা। তারা চিকিৎসা শেষে আবার বাড়ি নিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় শয্যার অভাবে অতি জরুরি রোগীকেও একইভাবে চিকিৎসা নিতে হয়। ফরিদপুর থেকে একজন রোগী নিয়ে মধ্যবয়সি শিউলী নামের এক নারী এসেছেন। তিনি বলেন, ১৫ দিন ঘুরেও কোনো সিট পাইনি। বাইরে থেকেই চিকিৎসা নিতে হয়েছে। হাসপাতালের পাশে টিনশেডের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছি। প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে দিতে হয়। ময়মনসিংহ থেকে জুনায়েত তার চাচাকে নিয়ে এসেছেন। তিনি সাত দিনেও শয্যা পাননি। টাঙ্গাইলের রহিম বেশ কয়েক দিন ঘুরে সিট পাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, ‘রোগীর জন্য সিট পেয়েছি। এ হাসপাতালে আমাদের পরিচিত অনেকে চাকরি করেন।
এছাড়া সি ব্লকের চার তলার পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড দেয়াল দিয়ে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি পড়ে। এতে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন অনেকে। এ হাসপাতালে তিন বছর আগে সুবিশাল ক্যান্টিন চালু ছিল। কিছু দিন চলার পর বর্তমানে সেটি বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন রোগীর স্বজন ছাড়াও চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ওয়ার্ডবয়সহ ১২০০ থেকে ২০০০ মানুষকে খাবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠানটিতে ৫০০ শয্যার অবকাঠামো থাকলেও অনুমোদন আছে ৩০০ শয্যার। শয্যা খালি সাপেক্ষ রোগী ভর্তি করা হয়। শয্যা খালি না থাকলে তারা রোগী ভর্তি করাতে পারছেন না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া শয্যা বাড়ানো যায় না। এর জন্য জনপ্রশাসন, অর্থ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ লাগবে।
এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। পরে রোগীর চাপ বাড়ায় ১৫০ শয্যা করা হয়। বর্তমানে ৫০০ শয্যার অবকাঠামোতে ৩০০ শয্যা চালু আছে। শয্যা বাড়াতে হলে সরকারিভাবে নীতিমালা করে পাস করাতে হবে। এর জন্য সময় লাগবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির দশম তলার ভবনের দুই পাশে ৫০ শয্যা উপযোগী করে ১০০ জন রোগীর জন্য প্রস্তুতকৃত দুটি ওয়ার্ড তালাবদ্ধ। লাইট, ফ্যান ও তিনটি লিফট চালু আছে। নবম তলাতে ১০০ শয্যার অবকাঠামো থাকলেও দুটি ওয়ার্ড চালু না করে সেখানে প্রতিষ্ঠানটির লিফট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি কোম্পানির লিফট টেকনিশিয়ান এহসানুল হক ও লিফটম্যান আবুল কালাম তিন বছর ধরে পরিবারসহ বসবাস করছেন। সপ্তম ও অষ্টম তলা দুটিকে কেবিনের আদলে তৈরি করা হলেও সেখানে মাত্র ৩০টি কেবিন চালু করা আছে। আর দ্বিতীয় তলায় সব মিলিয়ে ৯০ টি কেবিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি বি ব্লকের দ্বিতীয় তলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষের বিপরীতে চিকিৎসক বসার উপযোগী ৬টি এবং ষষ্ঠ তলায় ১২টি কক্ষের সাতটিই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
১০ তলা ভবনের চারটি বিশাল তলায় মাত্র ৩০টি কেবিন ছাড়া এখনো কোনো কার্যক্রমই চালু করা হয়নি। এত জায়গা ফাঁকা থাকার পরও অবকাঠামোগত সমস্যার কথা বলে আট তলাবিশিষ্ট রেডিওথেরাপি ইউনিট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বলেছেন, রহস্যজনক কারণে প্রায় ৩০০ শয্যার জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের আটটি ওয়ার্ড দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। তাছাড়া সঠিক তদারকির অভাবে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। লোকাল ওয়ার্ড মাস্টার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের মূল ভবনের নিচ তলায় (ব্যাজমেন্ট) নির্মাণ ত্রুটির কারণে বাইরের ড্রেনের পানি ভেতরে ঢুকে পড়ে। এতে মাঝে মধ্যেই গোড়ালি পরিমাণ পচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের জন্য রান্না করা হয়। এর পাশেই প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের একটি লন্ড্রি টিট্রম্যান্ট প্লান মেশিন রয়েছে। এটি বিগত ছয় মাস ধরে নষ্ট। ইলেক্ট্রিক্যাল এই যন্ত্রটি অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে চালাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রতি সপ্তাহে টাকার বিনিময়ে বাইরের লোক দিয়ে বেড শিট-কম্বল পরিষ্কার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিল ও অকেজো মালামাল দিয়ে সি ব্লকের উপরের চারটি ফ্লোরকে পরিত্যক্ত গুদামে পরিণত করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে হাসপাতালে প্রতিটি কক্ষ ভালোভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। নায্যমূল্যে ওষুধ বিক্রির জন্য একটি ফার্মেসি চালু করার কথা থাকলেও সেটি চালু নেই।
এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকদের চেম্বার, বিভিন্ন আসবাব ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য কক্ষ ও রেডিওথেরাপি কক্ষ সংকুলান হচ্ছে না। তাই নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তারপর হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শ্রেণির জনবল কম আছে। ৭০ জন নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল। তাও আইনগত কারণে বন্ধ আছে। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় লন্ড্রি মেশিন আপাতত বন্ধ আছে। শিগগিরই চালু করা হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিনিধি :
শুক্রবার বিকালে বাসাবো সবুজবাগ এলাকায় নগদ টাকা ও কম্বল বিতরন কালে র্যাক এডুকশেন ফাউনডেশন’র চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান( মিজান)
বলেন আমি গরীব দুঃখী মানুষের ও টোকাইদের মন্ত্রী হতে চাই,এসময় তিনি শীতার্থদের মাঝে নগদ পাঁচ শত টাকা ও কম্বল বিতরন করেন, কম্বল বিতরনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব :মো : গোলাম মোস্তাফা, সদস্য মো: আবদুল কদ্দুস, মো: আতাউর রহমান,মো : এস এম আসকিুর রহমান,মোছা : সুমি বগেম,মোছা: উম্মে হানী,মোছা : নাজমা পারভীন। ও মো: শরফিুল ইসলাম প্রমুখ ।
|
|
|
|
|
|
|