ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ কে আজাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় নির্বাচন কমিশন এ কে আজাদের আপিলের ভিত্তিতে শামীম হকের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে শামীম হক রি-পিটিশন করেন। সেখানেও তিনি সফলকাম হননি। হাইকোর্ট ডিভিশন তার রি-পিটিশন রিজেক্ট করেন এবং নির্বাচন কমিশনের আদেশ বহাল রাখেন।
‘তবে এর বিরুদ্ধে শামিম হক আপিল বিভাগে সিএমপি ফাইল করেন এবং সিএমপিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, সেটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং প্রথম অবস্থায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন, সেটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ এ আদেশের ফলে শামীম হক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে চেম্বার আদালতের সে আদেশ ভ্যাকেট করার জন্য একটি দরখাস্ত প্রস্তুত করেছি। এটি দ্রুতই চেম্বার আদালতে পেশ করবো এবং চেম্বার আদালতের পরে আমরা চেষ্টা করবো যাতে পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগের সামনে শুনানি করতে পারি।’
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক, এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তার পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন। অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।