Online desk(DTV BANGLA NEWS):কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নীলফামারীর খামারিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন পশুকে মোটাতাজাকরণের কাজে। জেলার অধিকাংশ প্রান্তিকসহ বড় খামারের পশুগুলো হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বাজারে তোলার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে অনেকে তাদের পশু বাজারে তুলেছেনও। এবার পশুর দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ কম হবে। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু না ঢুকলে বেচাকেনা ভালোই হবে বলে জানান খামারিরা।সরেজমিন দেখা গেছে, নীলফামারী সদরসহ ছয়টি উপজেলায় এবার প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারিরা কোরবানির ঈদের জন্য পোষা পশুগুলোকে শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নীলফামারীতে প্রতিবারের মতো এবারও চাহিদার চেয়ে বেশি গরু রয়েছে খামারিদের কাছে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার গরু দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।জেলা পশুপালন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় প্রায় ২ লাখ ৯৮৯টি গরু পালন করেছেন খামারিরা। এসব গরু পালনে তাদের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন।খামারিরা জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে খুদের ভাত, আলু, খেসারি, মসুর, চিটাগুড়, লবণ, খড় ও ধানের গুঁড়া খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী বলেন, ‘কোরবানির ঈদে নিরাপদ মাংস যাতে মানুষ পায়, সে জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।’নীলফামারী জেলায় প্রান্তিকসহ ছোট-বড় খামারি রয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৮ জন।