|
3, November, 2016, 11:57:34:AM |
|
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক:
বয়স ৬০ বছর পেরিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থের এক চিড়িয়াখানার বাসিন্দা সে। সবাই ডাকে পুয়ান নামে। সুমাত্রান ওরাংউটাংদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি বয়সী আর কেউ নেই। ‘প্রবীণতম’ খেতাব পেয়ে পুয়ান যে খুব আনন্দিত, তা নয়। চিড়িয়াখানাটির কর্মীরা বলেছেন, পুয়ানের স্বাস্থ্য খুব ভালো আছে। এত বেশি বয়সে ব্যাপারটা বিস্ময়কর তো বটেই। তবে ইদানীং পুয়ানের মেজাজ কিছুটা খিটখিটে হয়েছে। মাঝেমধ্যে সে অধৈর্য হয়, পা দিয়ে মাটিতে সজোরে আঘাত করে অসন্তোষ জানায়। অন্যের কাছ থেকে মনোযোগ ও গুরুত্ব চায় পুয়ান। নিঃসন্দেহে সে তার যোগ্য। তার বয়স ঠিক কত, সেটা জানতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বহু বছর লেগেছে। সম্ভবত তার জন্ম ১৬৫৬ সালে। প্রবীণতম সুমাত্রান ওরাংউটাং হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পেয়েছে পুয়ান। মালয়েশিয়ার সুলতান জহুর ১৯৬৮ সালে পার্থ চিড়িয়াখানায় পুয়ানকে দিয়ে দেন। বিনিময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় কিছু প্রাণী নিয়ে যান। এসবের মধ্যে ছিল কয়েকটি ক্যাঙারু, এক জোড়া এমু ও অন্যান্য পাখি। পার্থ চিড়িয়াখানার ওরাংউটাং কলোনিতে পুয়ানের ১১ সন্তান আছে এখন। আর সে ইতিমধ্যে দাদি ও পরদাদি হওয়ার গৌরবও অর্জন করেছে। সুমাত্রান ওরাংউটাংয়ের গড় আয়ু ৫০ বছর। সেই হিসাবে পুয়ান অনেক দূর বেশি এগিয়েছে। পার্থ চিড়িয়াখানায় তার দেখভাল করেন মার্টিনা হার্ট। তিনি বলেন, পুয়ানকে এখন প্রতি রাতে আর্থ্রাইটিসের কিছু ওষুধ নিতে হয়। শীতের সকালে সে ভেষজ চা পান করে দিন শুরু করে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে সে ভালো আছে। গাছে চড়তে ইদানীং তার সময় একটু বেশি লাগে। তাই সাধারণত নিচেই অন্যদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পুয়ানকে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ খাবার দিয়েছে। ৬০তম জন্মদিনে গিনেস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির জন্যই এই উপহার। তবে লোকজনের এত মনোযোগ দেখে সে প্রভাবিত হয়নি। খাবারগুলো একটা চটের থলের নিচে লুকিয়ে রাখে।
|
|
|
|
|