পতন থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। ঈদের পর প্রথম দুই কার্যদিবস বড় উত্থানের পর রোববার (২৩ জুন) লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় একশ কোটি টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে প্রায় আড়াইশ প্রতিষ্ঠান।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় রয়েছে। তবে এ বাজারটিতে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। সেই সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়তে থাকে। এতে আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৮ মিনিটে ডিএসইতে ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ২০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টির।