আর মাত্র এক সপ্তাহ পর ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এ ধর্মীয় উৎসবে একে-অন্যের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে সবাই। যে কোনো উৎসবে নতুন পোশাকের চাহিদা থাকে সবারই। তবে ঈদ ঘনিয়ে এলেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানী বাড্ডার শপিংমল ও মার্কেটগুলো। ঈদের দুই-তিনদিন আগে ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সুবাস্তু নজর ভ্যালি, হল্যান্ড সেন্টার সহ আশপাশের মার্কেট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
সুবাস্তু নজর ভ্যালির নিচতলায় নারীদের থান কাপড়ের দোকান ও দ্বিতীয় তলায় পাওয়া যায় কসমেটিকস। শনিবার কসমেটিকসের দোকানে কিছু ক্রেতার দেখা মিললেও কাপড়ের দোকানে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। এ শপিং মলের জুতার দোকানগুলোতে তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।
কথা হয় জুতার দোকানি মো. সামির সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে বিক্রি সাধারণত কমই হয়। এরপরও ঈদের আগের তিনদিন কিছুটা ভালো বিক্রি হয়ে থাকে।’
বিক্রি কম হওয়ার কারণ হিসেবে সামি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে তেমন নতুন কোনো পণ্য আসে না। এসময় বিদেশি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিও কম হয়। এছাড়া রোজার ঈদে নতুন পোশাক কেনার পর কোরবানির ঈদে তেমন চাহিদা থাকে না। ফলে বিক্রিও কম হয়।’
বছরের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় বিয়ের আয়োজন হয়ে থাকে বেশি। ফলে এ সময়ে বাড়ে সোনার গয়নার চাহিদা। তবে এখন পর্যন্ত জুয়েলারিতে ওভাবে বিক্রি বাড়েনি।
এমএল জুয়ালার্সের বিক্রেতা সোহান জানান, বর্তমানে সোনার দাম অনেক চড়া। দাম বেশি থানায় সোনার গয়নার চাহিদা কমে গেছে। ফলে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না।
সুবাস্তু নজর ভ্যালিতে কেনাকাটার জন্য আসেন সাইফ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফ তার তিন বছরের মেয়ের জন্য জামা কিনতে আসেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদে সবার জন্য কিনেছি। এখন তো আবার সবার জন্য বাজেট করা যাবে না। সংসারের খরচ যেভাবে বেড়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম অবস্থা। ঈদে যে বোনাস পেয়েছি তা কোরবানি দিতে আর বাড়িতে যাওয়া-আসায় শেষ হয়ে যাবে।’
হল্যান্ড সেন্টারে জেন্টস নামের এক দোকানের কর্মচারী আহমেদ বলেন, ‘এই মার্কেটে বেচা-বিক্রি তেমন নেই। একসময় খুব ভালো বিক্রি হলেও এখন তেমন একটা হয় না। তাছাড়া এমনিতেও কোরবানির ঈদে রোজার ঈদের মতো বিক্রি হয় না।’