অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ
29, May, 2024, 11:35:42:AM
ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি বাংলাদেশের তথা গোটা বিশ্বের সামাজিক, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। এই সংঘাত দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাগিদ দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
এমসিসিআিই ধারণা করছে চলতি মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে। আর জুনে তা হবে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যনুযায়ী, মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এটি ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর বছরের শুরুর জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।এমসিসিআইয়ের প্রাক্যলন মে ও জুন মাসে যথাক্রমে ৪৪২০ ডলার ও ৪৮১০ ডলারের পণ্য রপ্তানি হতে পারে। আর আলোচ্য সময়ে যথাক্রমে ৫৩২৫ ডলার ও ৫৩৮০ ডলারের পণ্য আমদানি হতে পারে। একই সময়ে রেমিট্যান্স আসতে পারে ২১২০ ডলার ও ২১৯০ ডলার।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি মঙ্গলবার (২৮ মে) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে তারা বলছে, পর্যালোচনাধীন জানুয়ারি থেকে মার্চ বা কোয়ার্টার থ্রিতে অর্থনীতি উন্নতির কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, ব্যবসার খরচ কমানো, রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খোঁজার প্রচেষ্টা, প্রণোদনা কাঠামো পুনর্বিবেচনা করে অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও নিম্ন আয়ের মানুষের সুরক্ষায় সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংঘাতময় বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। আগামী তিন মাসে আমদানি ও রেমিট্যান্স বাড়তে পারে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) মার্চ-এপ্রিল সময়ের জন্য অর্থ প্রদানের কারণে এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি কয়েক মাসে বৈদেশিক চাহিদায় শ্লথগতি, রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ও সরকারি ব্যয়ের ধীরগতি, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, বেকারত্ব পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ কম ছিল।