হারলেই সবার আগে বিদায় নিশ্চিত, জিতলে ক্ষীণ সম্ভাবনা টিকে থাকবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। এ পরিস্থিতিতে জয়ের জন্য লক্ষ্য পেয়েছিলো মাত্র ১৭৪ রান। রান বন্যার আইপিএলে এবার ১৭৪ রান তাড়া খুবই মামুলি ব্যাপার।
কিন্তু বাঁচা-মরার এই ম্যাচেও শুরুতে একের পর এক উইকে হারাতে থাকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটাররা। ৩১ রানে ৩ টপ অর্ডারকে হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক ভার্মা। এ দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ১৪৩ রানের জুটি ১৬ বল বাকি থাকতেই জয় উপহার দেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে।
এই জয়ের ফলে ১২ ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১২ পয়েন্ট। লিগে এখনও তাদের ২টি ম্যাচ বাকি। এই দুই ম্যাচ যদি জিততে পারে এবং হায়দরাবাদ ও লখনৌয়ের মত দলগুলো যদি আর কোনো ম্যাচ জিততে না পারে, তাহলে হয়তো প্লে-অফ খেললেও খেলতে পারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ।
১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইশান কিশান এবং রোহিত শর্মা মিলে ২৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই মার্কো ইয়ানসেনের বলে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ইশান। রোহিত শর্মা ৪ রান করে আউট হয়ে যান প্যাট কামিন্সের বলে। ওয়ান ডাউনে মাঠে নামা নামান ধির আউট হয়ে যান কোনো রান না করেই।
এরপরই জুটি বাধেন সূর্যকুমার এবং তিলক ভার্মা। ৫১ বলে ১২ বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার। ৩২ বলে ৩৭ রান করেন তিলক ভার্মা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭৩ রান করতে সক্ষম হয়। ৩০ বলে ৪৮ রান করেন ট্রাভিস হেড। ১৫ বলে ২০ রান করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। শেষ মুহূর্তে প্যাট কামিন্স ১৭ বলে ৩৫ রান করেন।