ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফা অবরোধের শেষ দিন আজ। এরই মধ্যে গতকাল জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। অবরোধ আর তফসিল মিলিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সদরঘাটে। যাত্রী সংকটে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ছাড়ছে লঞ্চ। সকাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ভোলার দিকে ছেড়ে গেছে দুটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর ও ভোলাগামী লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় নেই। যাত্রী না থাকায় হাঁকডাক করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ফলে নির্দিষ্ট সময়সূচি ভেঙে করে লঞ্চ চালাতে হচ্ছে মালিকদের। সকাল থেকে যে কয়টি লঞ্চ ছেড়েছে সেগুলো অর্ধেক যাত্রীবোঝাই করে গেছে।

ইমাম হাসান-৫ লঞ্চের কেবিনবয় শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অবরোধ থাকলেও এই কয়েকদিন মোটামুটি যাত্রী ছিল। লঞ্চের ডেক ভরে যেতো। গতকাল তফসিলের পর থেকে যাত্রী একদম কম। তাই সময় অনুযায়ী লঞ্চ ছাড়ছে না।

তিনি জানান, সকাল ৬টায় একটি ও ৮টায় একটি লঞ্চ চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এখন ঘাটে যেটি অবস্থান করছে সেটি বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে। এরপর যাত্রী থাকা সাপেক্ষ আবার হয়তো ২টায় লঞ্চ চলবে।

ইমাম হাসান লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের জামিল হোসেন বলেন, সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ছিল। যাত্রী নেই বললেই চলে। চাঁদপুর দিয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনীর যাত্রী ছিল। জেলা শহরগুলো থেকে মানুষ কীভাবে বাড়ি পৌঁছাবে সেই আতঙ্ক রয়েছে সবার মাঝে।

সদরঘাটের হকাররা জানিয়েছেন, যাত্রী সংকটে তাদের বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। ফল বিক্রেতা কবির বলেন, প্রতিদিন যে ফল নিয়ে আসতাম বিক্রি করে চলে যেতাম। এখন আর তা সম্ভব হয় না। সকাল-দুপুর-রাত সদরঘাটের যাত্রীর অবস্থা একই রকম।

লঞ্চমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রী না থাকলে আমরা তো আগের মতো আধাঘন্টা-একঘণ্টা পর লঞ্চ চালাতে পারি না। যাত্রী সংকটের কারনে শিডিউল ভাঙতে হয়েছে। কিছু করার নেই।