টাকা না দিলে ঋণ পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার অগ্রণী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তার অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার পর মিলে লাখ লাখ টাকার ঋণ। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
অগ্রণী ব্যাংকের সুন্দরগঞ্জ শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে গৃহঋণের জন্য গাইবান্ধা আঞ্চলিক কার্যালয়ে আবেদন করি। কিন্তু আবেদনের পর মাসের পর মাস ব্যাংকের বারান্দায় ঘুরতে হয় আমাকে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের গাইবান্ধা আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ মন্ডলকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দু’দফায় টাকা দেয়ার পর ডিসেম্বরে ১০ লাখ টাকা ঋণ পায় আমি।
অভিযুক্ত আবু সাইদের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেখা যায়, আব্দুল মান্নানের মতো অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারাও টাকা দিয়েছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এমন অনিয়মের প্রতিবাদ করলে কর্মকর্তাদের দূর-দূরান্তে বদলি করে দেন অফিসার সমিতির এই নেতা। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা নাই বলে দাবি অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্য ব্যাংক কর্মকর্তারও।
অগ্রণী ব্যাংকের গাইবান্ধা আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবু সাইদ মন্ডল বলেন, আমার অ্যাকাউন্টে যেসব টাকা এসেছে তা ব্যক্তিগত লেনদেনের কারণেই এসেছে। আমি উৎকোচ হিসেবে কোনো টাকা গ্রহণ করিনি।
সুন্দরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, আমরা ছোট চাকরি করি। কারও ওপর কিছু বলতে পারি না।
পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি অগ্রণী ব্যাংক গাইবান্ধা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিম। অভিযুক্ত আবু সাইদ মন্ডল কর্মচারী হিসেবে যোগ দেয়ার পর ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক গাইবান্ধা আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগদান করেন।