এবার আমরণ অনশনে বসলেন ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়করণের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
অনশনের বিষয়ে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মখলেছুর রহমান বলেন, অামরা বিগত ৮ দিন ধরে এখানে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অাশ্বাস পাইনি। তাই অামরা এখন থেকে অামরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করলাম। জাতীয়করণের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো।
তিনি অারও বলেন, অামাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। অামরা অাপনাদের সমালোচনা করতে অাসিনি। এই শীতে শিক্ষকরা অার কত রাস্তায় বসে থাকবে। অামরাও অামাদের স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে চাই। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুহুল অামিন বলেন, অামরা শিক্ষামন্ত্রীর কোনো কথায় অার অাশ্বস্ত না। অামরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঘোষণা শুনতে চাই। অন্যথায় অামরা অনশন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, একই পরিপত্রে ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫০০ টাকা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ৫ম শ্রেণির কার্যক্রম একই হলেও ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে সরকার।
এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি মাসে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন হলেও ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারের থেকে কোনো বেতন পান না। ‘বেতন দাও নইলে ভাতদে, মোগো বেতন নইলে বিষ,’ ‘বেতন বঞ্চিত ৩২ বছর, হামরাখুব কষ্টে আছি’, ‘চাকরি আছে বেতন নাই, এমন কোনো দেশ নাই’—এ ধরনের নানা স্লোগানের প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি পূরণের পক্ষে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন সারাদেশ থেকে আসা মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা।