বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
   * পাহাড়ে বৈষম্য দূর করার দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের   * রাজনৈতিক পটপরিবর্তনেই পাল্টে যায় আমিরাতে সাজাপ্রাপ্তদের ভাগ্য   * নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত   * রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে ইরান   * ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন নেদারল্যান্ডসের   * বৃহত্তর চট্টগ্রামে ফের অতিভারী বৃষ্টির আভাস   * ৬৯ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু, ৮ বছরেই ১২ হাজার কোটি রুপির মালিক   * আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫   * চলে গেছে ভারতীয়রা, চার লেন সড়ক নির্মাণে অনিশ্চয়তা   * আশুলিয়ায় টেক্সটাইল টুডের তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা  

   দেশজুড়ে -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মিরান শেখ (৩০) ও জিয়াউর শেখ (৪০) নামে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চরমল্লিকপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মিরান ও জিয়াউর উপজেলার চরনল্লিকপুর গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চরমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাহমুদ গ্রুপ ও ফেরদৌস গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে ফেরদৌস গ্রুপের মিরান ও জিয়াউর মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আয়য়ুবের দোকানের সামনে পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জেরে মাহমুদ গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের ঠেকাতে গিয়ে ফেরদৌস গ্রুপের আরও পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান ও জিয়াউর শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় মিরান শেখ (৩০) ও জিয়াউর শেখ (৪০) নামে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চরমল্লিকপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মিরান ও জিয়াউর উপজেলার চরনল্লিকপুর গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চরমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাহমুদ গ্রুপ ও ফেরদৌস গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে ফেরদৌস গ্রুপের মিরান ও জিয়াউর মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আয়য়ুবের দোকানের সামনে পৌঁছালে পূর্ব বিরোধের জেরে মাহমুদ গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাদের ঠেকাতে গিয়ে ফেরদৌস গ্রুপের আরও পাঁচজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান ও জিয়াউর শেখকে মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ১৪টি দোকান ও চারটি বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার যদুনন্দী বাজারে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যার সঙ্গে প্রতিপক্ষ মো. কাইয়ুম মোল্যার বিরোধ চলছিল। এরমধ্যে সম্প্রতি যদুনন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগে বাধ্য করান কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকরা। পরে শিক্ষার্থীরা ফুলের মালা দিয়ে অধ্যক্ষকে কলেজে নিয়ে আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি সমর্থন দেন আব্দুর রব মোল্যার সমর্থকরা।

সোমবার রাতে কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকরা যদুনন্দী বাজারে এসে আব্দুর রব মোল্যার সমর্থক ফিরোজ মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্যা নামে দুই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় তাদের তিনটি দোকান ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আব্দুর বর মোল্যার দুই থেকে আড়াই শতাধিক সমর্থক কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকদের ধাওয়া দিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

একপর্যায় প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকরা বাজার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে কাইয়ুম মোল্যার সমর্থকদের অন্তত ১১টি বিভিন্ন পণ্যের দোকান ও চারটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে রব মোল্যার সমর্থকরা। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ফিরোজ মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্যাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যা বলেন, ১০-১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে কাইয়ুম মোল্যা ও তার সমর্থকরা অতর্কিতভাবে আমার তিন সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা ওদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে দেয়। এ সময় কাইয়ুমের কয়েকজন সমর্থকের দোকানে হামলা করা হয়েছে। তবে ওরা আগে হামলা না করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম মোল্যা বলেন, আব্দুর রব মোল্যার সমর্থকদের একটা দোকানও ভাঙচুর করা হয়নি। এমনকি কাউকে মারধরও করা হয়নি। এটা তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে। বরং অতর্কিতভাবে রব মোল্যা ও সাজ্জাদ খন্দকারের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ১১টি দোকান ও চারটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যদুনন্দী বাজারে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে ওই বাজারে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনী দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

চলে গেছে ভারতীয়রা, চার লেন সড়ক নির্মাণে অনিশ্চয়তা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলমান আশুগঞ্জ-আগরতলা চার লেন সড়ক প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভারতীয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রকল্পে নিয়োজিত ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ দেশে চলে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে চার লেন মহাসড়কের কাজ। কবে নাগাদ কাজ পুনরায় শুরু হবে তা অজানা।

এদিকে, সড়কটিকে জায়গায় জায়গায় খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় দিন দিন তা হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটি চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালে। তবে ভূমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বিলম্বিত হয় প্রকল্পের কাজ। প্রায় ৫১ কিলোমিটারের এ মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। যা বাস্তবায়ন হচ্ছে ভারতের ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে।

তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে করা প্রকল্পের প্রথমটি আশুগঞ্জ থেকে সরাইল, দ্বিতীয়টি সরাইল থেকে আখাউড়ার তন্তরবাজার এবং তৃতীয় প্যাকেজটি তন্তরবাজার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত। সবকটির কাজই দেওয়া হয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে। এরমধ্যে তৃতীয় প্যাকেজের কাজ এখনো শুরুই করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তিন দফায় বাড়ানো প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের জুনে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ভারতে চলে যান। ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে সেতু, বিরাসার থেকে পুনিয়াউট পর্যন্ত ফ্লাইওভার ও কালভার্ট নির্মাণ অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে নির্মাণসামগ্রী ও দামি যন্ত্রাংশ। প্রতিদিন চুরি হচ্ছে সড়ক ও নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের মালামাল।

এদিকে, নির্মাণাধীন এই মহাসড়কের কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কিছু অংশ খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় যানচলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। আশপাশের বাসা-বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে অনেকটাই লাটে উঠেছে।

সড়কের পাশের পীরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মাসুদুর রহমান ওয়াসিম বলেন, ‘ভাবছিলাম সড়কটি হলে আমাদের অনেক উন্নতি হবে। কিন্তু এর কাজই শেষ হওয়ার নাম নেই। এতে ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা। ধুলাবালির কারণে চলাচল করা কষ্টকর।’

পেশায় একজন ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সড়কটির কিছু স্থানে খানাখন্দের কারণে ট্রাক নিয়ে চলা ঝুঁকিপূর্ণ। বিরাসার, রাধিকা ও উজানিসার এলাকায় অনেক সময় ট্রাকের এক্সেল ভেঙে পড়ে থাকতে হয়। ২-৩ ঘণ্টার যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। এখন শুনলাম ভারতীয়রা কাজ ফেলে চলে গেছে। তাহলে এর বাকি কাজ করবে কে?’

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, ভারতীয় শ্রমিকরা চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে। ভারতীয় হাইকমিশন থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় বাংলাদেশে এসে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে কবে নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে সেটিও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরো কাজ যেহেতু ভারতীয় ঠিকাদারের অধীনে ছিল, তাই রাস্তার মেরামতের দায়িত্বও তাদের ছিল। যেহেতু তারা নেই, তাই রাস্তা মেরামত করার মতো জনবল বা যন্ত্রপাতি আমাদের হাতে নেই। রাজস্ব খাত থেকে টাকা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা চলছে।

আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের কাজ ছিল লজ্জার
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের কাজ লজ্জার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদকে কারা গুলি করলো, কীভাবে মৃত্যু হলো, এটি প্রমাণ করার জন্য খুব বেশি সাক্ষীর প্রয়োজন হবে না। এরপরও আবু সাঈদের হত্যা পরবর্তী পুলিশ যে কাজ করলো, একটা অপ্রাপ্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে হত্যাকারী সাজানো হলো, এটিও বিশ্ববাসী দেখলো। এটি অত্যন্ত লজ্জার।

এরকম কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোনো লোকদেখানো তদন্ত নয়, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীকে বের করা হবে।

নবাগত পুলিশ কমিশনার বলেন, আবু সাঈদ যেভাবে শহীদ হয়েছেন, সেটি দেখে বিশ্বের মানুষ শিহরিত হয়েছে। দেশের মধ্যে বীর আবু সাঈদ ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছে। আবু সাঈদের দৃষ্টান্ত পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে বীর হিসেবে চিহ্নিত হবে এটি আমার বিশ্বাস। আমি যোগদানের পরই আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি এবং পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।

পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মজিদ আলী বলেন, স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে পুলিশের ভালো ভূমিকা রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিনের মধ্যে সব ভালো কাজ করেছে, সেটা যেমন নয়, তেমনি সব খারাপ কাজও করেনি। রাষ্ট্রগঠনসহ দেশের মানুষের কল্যাণমূলক কাজ করেছে এই পুলিশ। করোনা মহামারিসহ নানাবিধ কাজ করে প্রসংশিত হয়েছে। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী ও অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যের জন্য পুলিশ বাহিনীর আজকের পরিণতি। কিন্তু এটা মাথায় নিয়ে সরে থাকলে কিংবা সমাজ থেকে আলাদা থাকলে এই বাহিনীর অস্তিত্ব থাকবে না। সুতরাং আমাদের পেছনে থাকার সময় নাই, চুপ করে থাকার সময় নাই, আমাদের ফিরে আসতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, ফেসবুক পুলিশিং, ধানকাটা পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং, লোক দেখানো পুলিশিং, শো অফ করা পুলিশিং আমি করবো না, কথা দিচ্ছি। পুলিশের যা কাজ, তা করতে চাই। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আমাকে তুলে ধরার কিছু নেই। আমি এই শহরকে চিনি, এই অঞ্চলে আমার বাড়ি। এখানেই বেড়ে উঠেছি। পুলিশের যে প্রকৃত কাজ তা করতে চাই। এরমধ্য দিয়ে মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে, রাস্তায় চলাচল করতে পারে, যুবতী মহিলা শপিং করতে পারে, রাস্তায় সন্ধ্যায় হাঁটতে পারে নির্বিঘ্নে এসব নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবি প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক, ডিবি প্রধান ইবনে মিনানসহ রংপুরে কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।

‘৭ দিনের মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো’ প্রশ্ন মাসুদের স্ত্রীর
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। অঝরে কাঁদছেন মা তাসেনুর বেগম (৫৫)। পাশে ৭ দিনের শিশু সন্তান কোলে নিস্তব্ধ বসে আছেন স্ত্রী বিউটিয়ারা খাতুন (৩১)।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের খাষেরহাট এলাকায় আল মাসুদের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এলাকাবাসী বলছেন, ছেলে হিসেবে খুবই ভালো ছিলেন মাসুদ। বাড়িতে এলে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। কিন্তু ২০১৪ সালে দুর্বৃত্তদের হামলায় পা হারানোর পর তেমন বাড়িতে আসতেন না তিনি। কারণ মাসুদ অনেকটা পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন।

মাসুদের ভাই আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সকালে ক্লাসে যাওয়ার পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের সামনে হামলার শিকার হন আবদুল্লাহ আল মাসুদ। এ সময় মাসুদের ডান পায়ের নিচের অংশ গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বাঁ পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেটে দেওয়া হয়েছিল তার হাতের রগ। ওই হামলায় পা হারিয়ে মাসুদ একটি প্লাস্টিকের পা লাগিয়ে চলাচল করতেন। সে সময় থেকে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন আমার ভাই।

পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের স্টোর কিপারের চাকরি হয় মাসুদের। ২০২৩ সালে বিয়েও করেছেন। হামলার মাত্র ৫ দিন আগে একটি মেয়ে সন্তান হয়েছে ভাইয়ের। ৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন মাসুদ। এ সময় বিনোদপুরে তার অন্য পা ভেঙে দেয় দুর্বৃত্তরা।

তিনি আরও বলেন, আমার পঙ্গু ভাইকে অমানবিকভাবে মারা হয়েছে। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এক গ্লাস পানি চেয়েছিলেন আমার ভাই। কিন্তু তাও দেওয়া হয়নি তাকে। এ কেমন অমানবিকতা। একটি ভিডিওতে আমরা দেখলাম আমার ভাই বলছেন, ‘আমার পা ২০১৪ সালে কেটেছে ভাই। রগটগ সব কাটা ভাই। আমি তো অনেক দিন আগে থেকেই ছাত্রলীগ করা বাদ দিয়েছি।’

মাসুদের স্ত্রী বিউটিয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী ২০১৪ সালের আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতেন না। কারণ সে এক কথায় বলা যায় অচল মানুষ। নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি তার প্যান্টের জিপার আমাকে লাগিয়ে দিতে হয়। এমন পঙ্গু মানুষকে যারা হত্যা করেছে, আমাকে যারা নিঃস্ব করেছে আমি তাদের বিচার চাই।’

কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘৭ দিন আগেই আমার মেয়ের জন্ম হয়েছে। আমার স্বামী নাম পছন্দ করে রেখে গেছেন মাসুমা। এই ৭ দিনের মেয়েকে নিয়ে এখন আমি কোথায় যাবো? কী খাবো, কোথায় থাকবো? আমার শেষ সম্বলটুকু আর থাকলো না।’

মাসুদের মা তাসেনুর বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১০ বছর আগে। আমার সংসারে একমাত্র আয়ের উৎস ছিল ছেলে মাসুদ। কিন্তু সে আর পৃথিবীতে নেই। এটা বিশ্বাস করতে পারছি না না। এখন আমার পরিবারের কী হবে? আমার পঙ্গু ছেলেকে কেন এভাবে মারতে হলো?

৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় মারা যান মাসুদ। ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মাসুদের মরদেহ নিয়ে এসে পৌঁছালে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাসুদকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। একজন পঙ্গু মানুষের এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। তার পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।

বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবকয়টি ইউনিটের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে তিন নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৩টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ থাকলেও সচল ছিল তৃতীয় ইউনিটটি। যা থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিল। সেটিও সোমবার সন্ধ্যায় বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক। এর আগে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল ৩ নম্বর ইউনিটে।

বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল।

পাঁচ বছরের চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক, এ সময় উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেনি চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার কারণেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বার বার ত্রুটি দেখা দিলেও সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে প্রয়োজন হয় দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প। যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তৃতীয় ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করলে তারা অজ্ঞাত কারণে তা আমলে নেয়নি। সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর মেরামতের মাধ্যমে ইউনিটটি চালু করা হলে দুই দিনের মাথায় আবারো সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় সকল কার্যক্রম।

সূত্র মতে তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদিত ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এটি সচল রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।

সূত্রটি আরও জানায়, ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ আছে। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট।

একইসঙ্গে শুক্রবার (৬ সেপ্টম্বর) রাত ৯টার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাভিত্তিক ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটি সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট। একসঙ্গে তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হবে বলে ধারণা করছে সূত্রটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে তিনটি ইউনিট একসঙ্গে কখনোই চালানো হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মুঠোফোনে জানান, প্রতিটি ইউনিটের জন্য দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প থাকে। যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তৃতীয় ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন।

তিনি আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে, তারা দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছে। চিন থেকে মেশিন এলেই উৎপাদন শুরু করা যাবে।

মৃত ভেবে ভবনের গেটে নবী হোসেনকে ফেলে রাখে পুলিশ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সেদিন গাজীপুর শহরের বাইপাস এলাকায় বড় ভাই জামাল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন নবী হোসেন (২৩)। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনে বেপরোয়াভাবে গুলি ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বেধড়ক পেটাতে থাকে আন্দোলনকারীদের।

সড়কের মাঝখানে থাকায় পাঁচ শতাধিক ছররা গুলি লাগে নবী হোসেনের শরীরে। মুহূর্তেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। অন্য আন্দোলনকারীরাও টিকতে না পেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে রাস্তায় পড়ে থাকা নবী হোসেনকে পুলিশ বুট জুতা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আর ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮-৯ জন মিলে লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকে তাকে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে নবী হোসেনকে রাস্তার পাশে থাকা একটি ভবনের বাউন্ডারি গেটের ভেতর নিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়। সেখানে ওইদিন এমন আরও অনেককে রাখা হয়। যাদের বেশিরভাগই ছিল মৃত।

ঘণ্টা দুয়েক পর জ্ঞান ফিরলে নিজেকে কম্বলে আবৃত অবস্থায় দেখতে পান নবী হোসেন। কোনোরকম মুখ বের করে সেই ভবনের লোকজনের কাছে সহায়তা চেয়ে বলেন, ‘আমি জীবিত আছি, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’ পরে তারা গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান নবী হোসেনকে। রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে বড় ভাই জামাল মিয়া হাসপাতালে গিয়ে নবী হোসেনের সন্ধান পান।

তারপর থেকেই ধার করে আনা টাকায় চলছে নবী হেসেনের চিকিৎসা। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন নবী হোসেন। তবে এখনো ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না তিনি।

নবী হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের নসর জমার ছেলে। সাত ভাই ও এক বোনে মধ্যে পঞ্চম তিনি।

গ্রামের স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন নবী হোসেন। অভাবের কারণে আর এগোয়নি পড়াশোনা। ৩-৪ বছর আগে গাজীপুরে গিয়ে একটি সোয়েটার কারখানায় কাজ শুরু করেন নবী হোসেন। বাবা নসর জমা পেশায় কৃষক। বাড়ির জায়গাটুকু ছাড়া আর কোনো জমিজমাও নেই তাদের।

নবী হেসেনের বড় ভাই জামাল মিয়া নেত্রকোনা এন আকন্দ মাদরাসায় ফাজিল পড়ছেন। অন্য ভাইয়েরা কৃষি কাজ করেন। জুলাই মাসের শেষের দিকে ছোট ভাইকে দেখতে গাজীপুরে গিয়েছিলেন জামাল মিয়া।

সেদিনের সেই ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মো. জামাল মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ দেখে আর থাকতে পারিনি। দুই ভাই মিলে যোগ দিই আন্দোলনে। ৪ আগস্ট সকাল থেকে দুজন একসঙ্গেই ছিলাম। বিকেল ৪টার দিকে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যায়। পুলিশ ব্যাপকভাবে গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। এক পর্যায়ে অগণিত ছররা গুলি নবী হোসেনের শরীরে বিদ্ধ হলে সে রাস্তায় পড়ে যায়। ধাওয়া খেয়ে আমরা তখন অন্য গলিতে গিয়ে আশ্রয় নিই। তারপর থেকে তাকে আর পাচ্ছিলাম না।

তিনি বলেন, পুলিশ রাস্তায় ফেলে নবী হোসেনকে বুট জুতা দিয়ে আঘাত করেছে। আর ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে। জ্ঞান হারানো নবীকে তারা মৃত ভেবে পাশের একটি ভবনের বাউন্ডারি গেটের ভেতরে নিয়ে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে। সেখানে আরও অনেককে এভাবে রেখেছিল। পরে জ্ঞান ফেরার পর সেখানকার লোকজনকে ডাক দিলে তারা তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে তাজউদ্দিন মেডিকেলে গিয়ে নবী হোসেনকে পাই। তার শরীরে পাঁচ শতাধিক ছররা গুলি দেখতে পাই। এছাড়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের রডের আঘাতে তার শরীরে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে।

জামাল মিয়া আরও বলেন, ভয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সামান্য চিকিৎসা দিয়ে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে রেফার করে দেন নবী হোসেনকে। রাস্তায় তখন পুলিশ আর ছাত্রলীগের লোকজন ভর্তি। নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। কোনো অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছিল না। সবার মাঝেই আতঙ্ক। শেষে গাজীপুর থেকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই ১৩ হাজার টাকায়। বেসরকারি হাসপাতালে দুদিন আইসিইউতে রাখা হয়। এ দুদিনে বিল আসে ১ লাখ টাকা। গ্রামের বাড়ি থেকে ধার করে টাকা এনে বিল পরিশোধ করে ৮ আগস্ট নিয়ে আসি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে।

এদিকে ঋণের টাকাও শেষ, তাই সেখানে দুই-তিন দিন চিকিৎসা শেষে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাই। কিন্তু ৩-৪ দিন পর ব্যথা শুরু হলে বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তাতে কোনো উন্নতি হয়নি, ব্যথা আরও বেড়ে চলে। পরে গত ২২ আগস্ট ফের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।

পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে শেষে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত সেখানেই রয়েছে নবী হোসেন। তবে ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না সে। এখন পর্যন্ত নবী হোসেনের চিকিৎসায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি বলেও জানান তিনি।

জামাল মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়েছিলেন। এছাড়া আর কেউ এখনো কোনো সহযোগিতা করেননি। আমরা গরিব মানুষ। নবী হোসেন আহত হয়ে থাকায় আয়ের পথ বন্ধ। উল্টো তার পেছনে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সব টাকাই সুদের ওপর ধার করে আনা। আর কতদিন যে লাগে তার সুস্থ হতে একমাত্র আল্লাহই জানেন।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. রিফাত রেজুয়ান জয় বলেন, আন্দোলনে জেলার যারা আহত বা নিহত হয়েছেন, তাদের তালিকা করছি আমরা। কেন্দ্র থেকে নেতারা আসবেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত নবী হোসেনসহ আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

আশুলিয়ায় আজও ৯০ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

আবারও অস্থিরতা বিরাজ করছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে। পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে আজ আশুলিয়ার অন্তত ৯০টি কারখানার বন্ধ রয়েছে। বাকি কারখানাগুলোতে উৎপাদন চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে বেশ কয়েকটি পোশাককারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আজ বন্ধ রয়েছে অন্তত ৯০টি কারখানা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতা ঠেকাতে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পুরাতন জোনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে লেনি ফ্যাশন নামের একটি পোশাককারখানার সাবেক শ্রমিকরা। বকেয়া পাওনার দাবিতে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, চার বছর আগে কারখানাটি বন্ধ করে দিলেও এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি তাদের পাওনা। যতক্ষণ না তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে কর্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বিক্ষোভের মুখে শিল্পাঞ্চলটিতে আজ বন্ধ রয়েছে ৮০-৯০টি কারখানা। অন্যান্য কারখানাগুলোতে উৎপাদন চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করছেন বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল করে নাম বদলে দিলেন বিএনপি নেতারা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ দখল করে নাম বদলে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুরোনো সাইনবোর্ডের সামনে দুদিন আগে নতুন নামের একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ নাম থাকা এই আড়তের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’। তবে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান নামকরণের উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, গত দেড় যুগ ধরে এর দখল ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতারা আড়ত দখলে নিয়ে নাম বদলে দিয়েছেন।

তবে এ নামকরণের বিষয়ে কিছু জানে না বাজারটির ইজারাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এমনকি নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১০ সালের দিকে এর নিয়ন্ত্রণ নেন মৎস্যজীবী লীগের নেতা খান হাবিব। তিনি ছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের অনুসারী। তিনি তার বাহিনী দিয়ে মোকামের পাশাপাশি রাস্তার ওপর বাজার বসিয়ে চাঁদা তুলতেন। এরপর ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ‘প্রধান খলিফা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৩ সালে সাদিক নগরে একক আধিপত্য হারালে মোকাম আবারো খান হাবিবের নিয়ন্ত্রণে যায়। তিনি চলতি অর্থবছরে তার স্ত্রীর নামে এটি ইজারা নেন।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর খান হাবিব আত্মগোপন করেন। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বিএনপি নেতা মৎস্য আড়তটিতে হানা দেন। ওই ওয়ার্ডেই ব্যবসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। ফলে ৭ ও ৮ আগস্ট সেখানে খাজনা আদায় বন্ধ ছিল। এ খবর জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা গিয়ে প্রকৃত ইজারাদারের প্রতিনিধির খাজনা আদায় নিশ্চিত করেন। তবে খান হাবিবসহ তার অনুসারীরা আত্মগোপনে থাকায় মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেন বিএনপিপন্থীরা। এখন তাদের নিয়ন্ত্রণেই চলছে মোকাম।

নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে রয়েছেন মৎস্যজীবী দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব আনিচুর রহমান মিলন, ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান মো. কামাল ও সদর উপজেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহির সিকদার। এর মধ্যে খান কামাল হলেন খান হাবিবের আপন ভাই।

এ ব্যাপারে খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল না করলেও নাম বদল করেছেন, কিন্তু তা অফিসিয়ালি হয়নি। তাছাড়া এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি পূর্বে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করেছিল। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এ নিয়ে কথা হলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম শহীদ জিয়ার নামে রাখার বিষয়টি তারা জানেন না। তাদের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

আর আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তাদের জানা নেই। সরকারিভাবে নাম পরিবর্তনের কোনো অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।

বিটিএস ফ্যান ক্লাবে আসক্ত হয়ে ঘর ছাড়লো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

মানবপাচার চক্রের ফেসবুক পেজ ‘বিটিএস ফ্যান ক্লাবে’ আসক্ত হয়ে কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১২) উদ্ধার করেছে মাদারীপুর র‌্যাব-৮।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার আজিমপুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে শরীয়তপুর সদর থেকে ওই ছাত্রী বাড়ি ছাড়ে।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি জানান, রোববার সকালে মাদরাসার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। দুপুরে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর বিছানায় পড়ে থাকা একটি চিরকুটের মাধ্যমে পরিবার জানতে পারে সে কোরিয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। এরপর মেয়েটির পরিবার থেকে শরীয়তপুরের পালং থানায় নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়রি করা হয়।

বিষয়টি র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পে জানানো হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার আজিমপুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

র‌্যাব-৮ আরও জানায়, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকের অনলাইন পেজ ‘বিটিএস ফ্যান ক্লাবে’ যুক্ত হয় ওই মাদরাসা ছাত্রী। পরে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সে। তাকে কোরিয়ায় নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল চক্রটির। তাই যোগাযোগ করে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে চক্রটি। র‌্যাবের হস্তক্ষেপে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, এই চক্রের মূলহোতাসহ বাকিদের ধরতে কাজ চলছে।

দিনাজপুরে আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো জেলা ইজতেমা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপাী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা।

মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের মুরুব্বি ও তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) মো. ওয়াসিকুল ইসলাম। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১১টা ৫৪ মিনিটে মোনাজাত শেষ হয়। ৫ মিনিটের মোনাজাতে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সকল মুসলমানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা কামনা করা হয়। এ সময় সর্বস্তরের মুসল্লির ঢল নামে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে (বড়মাঠ) ইজতেমা মাঠে সমবেত হন লক্ষাধিক মানুষ। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশের এলাকা মুসল্লির আগমনে ভরে ওঠে। ইজতেমা মাঠ পরিণত হয় বিশাল জনসমুদ্রে। দক্ষিণ পাশে শিশুপার্কে অবস্থান নেন হাজার হাজার নারী ও শিশু।

মোনাজাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেছে বলে ইজতেমার আয়োজক ও সাধারণ মুসল্লিরা দাবি করেছেন।

শহরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও দোকানী দোকানপাট বন্ধ করে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আগত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

শেষ দিনে শনিবার ইজতেমায় বাদ ফজর বয়ান করেন ঢাকার কাকরাইলের মুরুব্বি হাফেজ ওয়াজিবুল্লাহ। এরপর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন মো. হারুনুর রশিদ ও শিহাব উদ্দীন।

এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ইজতেমা মাঠের চারপাশে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা মোতায়েন ছিল।

২০১৭ সালের ৩১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথমবারের মতো, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো এবং ২০২৩ সালের ২ মার্চ থেকে ৪ মার্চ দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী তাবলীগ জামাতের জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।

নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

সড়কে বসেই ‘প্রতীকী পরীক্ষা’ ও ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচি পালন করছিলেন বৈষম্যবিরোধী নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ সময় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে ৯ মাস পিছিয়ে আছি। কবে নাগাদ আমাদের পরীক্ষা হবে কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে চরম অনিশ্চয়তায় ২৩টি কলেজের প্রায় ৩ হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।

এদিন বিএসসি চতুর্থ বর্ষের রিসার্চ-ইন-নার্সিংয়ের প্রতীকী পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকেই চারজনকে উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শক (এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল) করা হয়। এ সময় হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারী সিংহভাগ পরীক্ষার্থীকে ফেল দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হতাশ হয়ে প্রতীকী বিষপান করেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্তত ১৫ জনকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় ১১ জনকে। এদের মধ্যে ২ জন রাজশাহী নার্সিং কলেজের, একজন উদয়ন নার্সিং কলেজের ও বাকিরা রংপুর এবং লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী।

প্রতীকী পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ফেল করানো হয়। আন্দোলনে দাবি আদায় হলেও ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। অসুস্থ হয়ে অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, যে সময় পড়ার টেবিলে বই-খাতা নিয়ে থাকতাম, হাসপাতালে ইন্টার্নশিপে গিয়ে রোগীদের সেবা করতাম; সেই সময় রোদ-বৃষ্টি ও অসংখ্য বাধা মোকাবিলা করে আন্দোলন করতে হচ্ছে আমাদের। দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে এসে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছি। বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দাবি না মানলে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। ১১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। আশা করি, সুস্থ হবেন তারা।

নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক-যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ৭
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার ও পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে রূপগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদের লোকজন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাবুলের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। পরে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদের একটি বাইকে আগুন দেয় এবং তার মালিকানাধীন একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালায়।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে হয়। এসময় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসানের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট চালায়।

রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়। কিন্তু রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদের লোকজন ইছাখালী এলাকায় বাজারে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে আমার তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।

তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী আহমেদ বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাবুল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল নাসেরের নেতৃত্বে আমার মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। তারা আমার একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। আমার লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্যই এ হামলা চালিয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ ও আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডে কুমিরা সোনাইছড়ি এলাকার এস এন করপোরেশন ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, এস এন করপোরেশন ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে। এস এন করপোরেশন ইয়ার্ডে পুরাতন জাহাজ কিনে কাটা হতো।

এস এন করপোরেশন ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা জানান, গুরুতর দগ্ধ ছয়জনকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, দুপুর ১২টায় উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকায় এস এন শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিম্ফরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে আরেও কয়েকজন। এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছি। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়ায় আল মারকাজুল ইসলামী আস সালাফি মাদরাসা পরিদর্শন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা একটি বিতর্কিত ইস্যু। এটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছুতে আমার হাত দেবো না।

তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে যুক্ত নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে যা প্রমাণিত। বরং তারা জাতীর দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে আসে। জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের এখন বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মসজিদ, মন্দির এবং মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনায়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য দেশে বিক্ষিপ্তভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় উপাসনালয় হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি বিএনপির কর্মকাণ্ডে শুনতে পাচ্ছি
                                  

ডিটিভি অনলাইন ডেস্ক:

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপিসহ ৪২টি দল আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ক্ষমতায় যেতে না যেতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের চেহারার বদল আমরা দেখতে পাচ্ছি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি আমরা তাদের কর্মকাণ্ডে শুনতে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি এটা উপলব্ধি করে, যারা গত দেড় দশক আন্দোলন করেছে, রক্ত দিয়েছে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার করবে, তাদের মূল্যায়ন করবে। তবেই বিএনপির সঙ্গে জোট হবে, রাজনৈতিক সমঝোতা হবে। অন্যথায় বিএনপির বাইরে বিকল্প জোট হবে, বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি নিয়ে এককভাবে নির্বাচন করা হবে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালী শহীদ মিনার চত্বরে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ভিপি নুরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নুর আরও বলেন, সংসদ কার্যকর করা এবং জনগণের প্রতিটি ভোটকে মূল্যায়ন করতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল যে অনুপাতে ভোট পাবে সে অনুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। এককভাবে কোনো দল ক্ষমতায় গেলে কিভাবে স্বৈরাচার হয় তা আমরা গত ৫৩ বছরে দেখেছি। আর কোনো দলকে এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ হতে দেওয়া হবে না।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ পটুয়াখালী জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


   Page 1 of 34
     দেশজুড়ে
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত
.............................................................................................
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
.............................................................................................
চলে গেছে ভারতীয়রা, চার লেন সড়ক নির্মাণে অনিশ্চয়তা
.............................................................................................
আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের কাজ ছিল লজ্জার
.............................................................................................
‘৭ দিনের মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো’ প্রশ্ন মাসুদের স্ত্রীর
.............................................................................................
বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন
.............................................................................................
মৃত ভেবে ভবনের গেটে নবী হোসেনকে ফেলে রাখে পুলিশ
.............................................................................................
আশুলিয়ায় আজও ৯০ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
.............................................................................................
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল করে নাম বদলে দিলেন বিএনপি নেতারা
.............................................................................................
বিটিএস ফ্যান ক্লাবে আসক্ত হয়ে ঘর ছাড়লো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
.............................................................................................
দিনাজপুরে আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো জেলা ইজতেমা
.............................................................................................
নার্সিং শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচিতে অসুস্থ ১৫
.............................................................................................
নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক-যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ৭
.............................................................................................
শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
.............................................................................................
বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করা হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
.............................................................................................
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি বিএনপির কর্মকাণ্ডে শুনতে পাচ্ছি
.............................................................................................
‘অস্ত্র উদ্ধারে’ সাবেক এমপির বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান
.............................................................................................
শরীয়তপুরে যুবদলের নেতার উপর হামলা
.............................................................................................
পাঁচ লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসা দিচ্ছেন চার চিকিৎসক
.............................................................................................
একযুগ পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি মামলা
.............................................................................................
আশুলিয়ায় কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা, নিরাপত্তা জোরদার
.............................................................................................
ঢাকার মামলায় আসামি পটুয়াখালীর মেয়র ও ফরিদপুরের ৫৯ জন!
.............................................................................................
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত
.............................................................................................
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৭ জন, আসলে যা জানা গেলো
.............................................................................................
আজও আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ, অর্ধশত কারখানায় ছুটি ঘোষণা
.............................................................................................
চুরির অভিযোগে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
.............................................................................................
না চিনেই আসামি, নাম বাদ দিতে এসে আদালতে ৫ ঘণ্টা আটক বাদী
.............................................................................................
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
.............................................................................................
মানবপাচার চক্রের সদস্যদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
.............................................................................................
ঝালকাঠির ৯ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ
.............................................................................................
শরীরে বিদ্ধ ৭৬টি ছররা গুলি, ঠিকমতো ঘুমাতেও পারেন না ইমন
.............................................................................................
নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে যমুনা সেতুতে সাশ্রয় ১৫ কোটি টাকা
.............................................................................................
আন্দোলনের ধোঁয়া তুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা
.............................................................................................
কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু, চাঁদা না দিলে বাধার অভিযোগ
.............................................................................................
স্বস্তি ফেরেনি কুষ্টিয়ার চালের বাজারে
.............................................................................................
৩ দিন ধরে অনশনে প্রেমিকা, পলাতক প্রেমিক ও পরিবার
.............................................................................................
মাথাভাঙা নদীতে বাড়ছে পানি, চুয়াডাঙ্গায় নেই বন্যার শঙ্কা
.............................................................................................
চাঁদপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি দুই লাখ মানুষ
.............................................................................................
দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
.............................................................................................
পানিবন্দিদের ঠিকানা এখন আশ্রয়কেন্দ্র-স্বজনের বাড়ি
.............................................................................................
ফারাক্কার সব গেট খোলার পর যে তথ্য দিলো পাউবো
.............................................................................................
ফারাক্কার গেট খোলায় নাটোরে পানি বাড়ছে পদ্মায়
.............................................................................................
গাজী টায়ার কারখানায় আগুন, ১৭৩ জন নিখোঁজের দাবি স্বজনদের
.............................................................................................
কিশোরগঞ্জে ৬ নিহতের পরিবারকে দুই লাখ করে টাকা দিলো জামায়াত
.............................................................................................
পানি কমলেও বিপদ কাটেনি গোমতী নদীর
.............................................................................................
কাপ্তাই হ্রদের পানিবৃদ্ধি, ফের খোলা হলো বাঁধের গেট
.............................................................................................
পদ্মা-মেঘনার পানি বাড়ছে, রেকর্ড বৃষ্টিপাত
.............................................................................................
নওগাঁয় মা-ছেলে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
.............................................................................................
আ’লীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন
.............................................................................................
মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই পর্যটকের মৃত্যু
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
চেয়ারম্যান: এস.এইচ. শিবলী ।
সম্পাদক, প্রকাশক: জাকির এইচ. তালুকদার ।
হেড অফিস: ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ ।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বাড়ি নং ২, রোড নং ৩, সাদেক হোসেন খোকা রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ১০০০ ।
ফোন: 01558011275, 02-৪৭১২২৮২৯, ই-মেইল: dtvbanglahr@gmail.com
   All Right Reserved By www.dtvbangla.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale