নির্বিচারে মানুষ হত্যার চিত্র প্রতি মুহূর্তে উন্মোচিত হচ্ছে। এত লাশ জাতি বহন করতে পারবে না। এই হত্যাকাণ্ডের খতিয়ান প্রকাশে জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ ‘তদন্ত কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সবার আগে প্রয়োজন কতজন ছাত্র, শিশু-কিশোর, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে তা নিশ্চিত করা।
এখন যা জরুরি প্রয়োজন—
১. কতজন ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে এবং সারাদেশে কতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তার বিবরণ প্রকাশ করা। ২. বাসাবাড়িতে কতজন শিশু-কিশোর গুলিতে নিহত হয়েছে তা সুনির্দিষ্টকরণ। ৩. হাসপাতালগুলোতে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কতজন চিকিৎসাধীন তা নিশ্চিত করা। শটগান বা রাবার বুলেটে কতজনের চোখ বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে তার সংখ্যা প্রকাশ করা। ৪. বরিশালসহ সারাদেশে কতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, কতজন আহত হয়েছেন তা স্পষ্ট করা। ৫. কতজনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত হলো তা নির্ধারণ করা। হাসপাতাল মর্গে কত লাশ সংরক্ষিত আছে, তা প্রকাশ করা। ৬. প্রতিটি হত্যার দায় চিহ্নিত করা।
সারাদেশে আন্দোলনে জড়িতদের গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে হবে। পরিবারের অনুসন্ধান না করে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা থেকে সরকারকে বিরত থাকতে হবে। তদন্তসম্পন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি বা জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।