আন্দোলনের ‘একদফা’ এখনও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে গত বছরের ১২ জুলাই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছিল। এরই সংক্ষিপ্তসার হিসেবে আন্দোলনের একদফা দাবিও উপস্থাপন করা হয়। বর্তমান বাস্তবতায় ৩১ দফা ও একদফা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক আরও জরুরি এবং আরও নতুন তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে। এখনও একদফা আন্দোলনের বিকল্প কিছু নেই।’
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক যোগদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাবলু। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠন থেকে নুরুজ্জামান হিরা, মো. শাহাদাত হোসেনসহ দুই ডজনের বেশি নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদে যোগদান করলে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
সদ্য যোগদানকারী নেতাকর্মীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ বাবলু বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার ও দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া এবং মানুষের নাগরিক ও মৌলিক অধিকার তাদের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ভাসানী অনুসারী পরিষদকে সামাজিক সংগঠন থেকে রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ গঠনের প্রথম উদ্যোগও নিয়েছিল ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা রাজপথে রয়েছি। একদফা আন্দোলনের এখনও বিকল্প কিছু নেই। জনসম্পৃক্ত আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা মো. হারুন অর রশিদ, সিরাজ উদ্দিন সাথী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইসমাইল হোসেন, বাবুল বিশ্বাস, আরিফ আহমেদসহ অনেকে।