চট্টগ্রামে কোরবানির জন্য এবছর গরু, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে সাড়ে ৮ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতবারের মতো এবারও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সরকারিভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে এবার সম্ভাব্য কোরবানির পশুর চাহিদা ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি গরু, ৭১ হাজার ৩৬৫টি মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি ছাগল, ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৯২টি ও অন্যান্য পশু ৮৮টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য পশুর মজুদ হয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি পশু। ফলে ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে।
চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। উপজেলাটিতে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮২ হাজার ৮০৭টি। বিপরীতে কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৯ হাজার ৬৩৮টি।
চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ২৫৮টি পশুর খামার রয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার। জেলার মিরসরাই, কর্ণফুলী, পটিয়া, সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার খামারগুলোতে কোরবানির জন্য বেশি পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে। ফলে কোরবানিতে বিদেশি পশুর প্রতি নির্ভরশীলতা কমেছে। ২০১৪ সালের পর থেকে বিদেশ থেকে গুরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আশপাশের জেলাগুলোর চাইতে চট্টগ্রামের মানুষ বেশি কোরবানি দেন। ফলে প্রতি মৌসুমে কোরবানির পশুর ঘাটতি থাকে। চট্টগ্রামের ঘাটতি পূরনে পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখান থেকে চট্টগ্রামে পশু এনে চাহিদা পূরণ করা হবে। এছাড়া প্রতি বছর দেশের উত্তরাঞ্চলের পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু আসে। সবমিলিয়ে আমরা মনে করছি পশু ঘাটতির খুব একটা সমস্যা হবে না।’