ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়ন এর নিকাহ রেজিস্ট্রার ( কাজী মৌলভী) মনিরুল ইসলাম কে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক কারাগারে পাঠিয়েছেন। কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। কাজী মৌলভী বিবাহ রেজিস্ট্রার অংশ বিক্রি,বিবাহের নকল প্রদান ক্ষেত্রে দেনমোহর কম- বেশি করা,প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, স্ট্যাম্প ও চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক অপরাধের কারনে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। কাজী মনিরুল ইসলাম কখনো ডাক্তার, এডভোকেট(উকিল),জমি বেচাকেনার দালালি সহ নিকাহ রেজিস্ট্রার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় করেন প্রতারণা। নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের গোপন রেখে ইতিমধ্যে আরও ৪ টি বিয়ে করেন।তার তৃতীয় স্ত্রী সন্তানসম্ভাবনা পর্যায়।এছাড়া স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় শশুরকে স্বামী বানিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে ছেলের বউকে তালাক দেওয়ার কাজও করেন এই কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত। ভুক্তভোগী নারী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত কে আসামী করে আদালতে মামলা দেয়।মামলা নম্বার নগরকান্দা সিআর ৭৯/১৮ ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ (সহি জ্বাল)। সেই নারীর মামলায় জেলবাস করে কৌশলে বেরিয়ে আসে। ব্ল্যাংক চেক দিয়ে মাওলানা আবুল হাসান মিয়া পিতা মৃত শামচুল হক মাতুব্বর তারামিয়া কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ায় সে বাদী হয়ে কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। চেক ডিজঅনার মামলা নাম্বার নগরকান্দা সিআর ১০৪/২০২২ ধারা এন আই এ্যাটাক ১৩৮। গোলাম মোস্তফা পিতা - নুরুমিয়া গ্রাম- কাইচাইল এর নিকট থেকে স্ট্যাম্প দিয়ে টাকা নিয়ে টাকা ফেরত না পাওয়া গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে আদালতে মামলা করেন।মামলা নাম্বার নগরকান্দা সিআর ২৫৬/২২ ধারা ৪০৬,৪২০। আদালতে হাজির না হওয়ায় কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে ওয়ারেন্ট ইসু করে আদালত।২৮ ডিসেম্বার বুধবার গোপনে হাজিরা দিলে বাদী গোলাম মোস্তফা হাজির হয় এবং বিচারক মামলার আসামী কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।হাজী মোঃ আব্দুস সোবহান মোল্লা পিতা- মৃত হাজী দানেশ মোল্লা গ্রাম জুঙ্গুরদী এর নিকট থেকেস্ট্যাম্প দিয়ে টাকা নিয়ে সময়মত ফেরত না দেওয়ায় হাজী আব্দুস সোবহান মোল্লা বাদী হয়ে আদালতে কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে মামলা করেন। মামলা নাম্বার নগরকান্দা সিআর ১৬৫/২১ ধারা ৪০৬,৪২০। অসংখ্য লোকজনের সাথে করেছে প্রতারনা উল্টো পাওনাদারদের নামে মামলা করে তাদের হয়রানি করছেন বলে একাধিক ভুক্তভোগী জানান।টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিয়ে পাওনাদার টাকা চাইতে গেলে তাকে মারপিট করেন বলে ভুক্তভোগী জুঙ্গুরদী গ্রামের ফকো কাজী বলেন।অসংখ্য মানুষ টাউট,প্রতারক কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর খপ্পরে পড়ে আজ ভুক্তভোগী। কাজীর প্রতারনার খপ্পড়ে অনেক নারী আজ স্বামী হারা হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত। প্রথম বিয়ে করেন নিজের গ্রামের ভাই এর শালীকা বিয়েন কে,তারপর প্রথম স্ত্রীকে আড়াল করে বিয়ে করেন গোড়াই গ্রামে তারপর সেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে আড়াল রেখে বিয়ে করেন ভাংগা উপজেলার মালিগ্রাম এলাকায়। তিন বউদের সাথেই তার সংসার চলছে। এছাড়া ঢাকায় এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে নিয়ে ধরা পড়ে অর্থদন্ড দিয়ে কৌশলে পারপায় বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। এছাড়া অনেক নারীর সাথে চলে তার প্রেম আলাপ কাজীর ফোন নাম্বার ট্যাক করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। প্রতারক, বাটপার কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত কে আইনের আওতায় নিয়ে বিচার দাবি সহ তার হাত থেকে রেহাই চায় ভুক্তভোগীরা।