অনলাইন ডেস্ক: রুপপুর (পাবনা) থেকে এজেন্টের মাধ্যমে স্যাম্পল আনান ডাঃ আবু সাঈদ। এটি আর্থিক লাভবান হবার উদ্দেশ্য নয় কি! ২৫০০ কর্মচারীর পরীক্ষা করিয়ে আয় ১ কোটি টাকা। তার প্রতিষ্ঠান সরকারি ভাবে অনুমোদন পেয়েছে ২২-০৬-২০২০ তারিখে। কিন্তু উনি রুপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক (বর্তমান সিলগালা) তাকে স্যাম্পল কালেকশনের জন্য অনুমতি পত্র দিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান থেকে- ১৭-০৬-২০২০ তারিখে। PCR ল্যাব এর ক্যালিভেরিটি সনদ WHO কতৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান IEDCR থেকে নেওয়ার কথা কিন্তু উনি এনেছে BSMMUথেকে যা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে কিনা? আাইনের ব্যত্যয় ঘঠিয়ে স্যাম্পল আনায়ন, কারণ যখন মিডিয়াতে এসেছে, তখন উনার প্রতিষ্ঠান কোভিড 19 পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করলেন। অজুহাত দেখিয়েছেন উনার মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং টেকনিশিয়ান কোভিড 19 পজিটিভ। কিন্তু ৩ দিনের মাথায় সাংবাদিক সম্মেলনে ওরা কোভিড 19 পজিটিভ উপস্থিত থাকাটা - ন্যয় সংগত হয়েছে কি? সমগ্র বাংলাদেশের পজিটিভ শতকারা হার ১৯. কিন্তু উনার প্রতিষ্ঠানে পজিটিভ হার শতকারা ৩৭.৮৮। কিন্তু উনার প্রতিষ্ঠানের পজিটিভ বিষয়টা জনগণের মনে প্রশ্ন জাগে আসলে কি ওনার প্রতিষ্ঠানের মেশিনগুলো ঠিক আছে কিনা? রুপপুর থানায় ওসি র বক্তব্য হলো আমরা সকল তথ্য উপাত্ত পেয়েই এই মামলা করেছি। যাতে ২নং মামলার আসামি ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ. মামলা নং-১০. তারিখ- ০৮-০৭-২০২০ইং প্রথম আসামি কে ধরে চালান দিয়েছি। আদালত থেকে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আমরা ডাঃ আবু সাঈদের গেফতারী পরোয়ানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় পাঠিয়েছি। প্রশাসন রুপপুর মেডিকেয়ার কে সিলগালা করে দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সিরাজ মিয়া- পাসপোর্ট নাঃ BK 0732692. মোবাইল নম্বর -01301765256. কোভিড 19 নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু ইতালি বিমানবন্দরে যখন সিরাজ মিয়া পোঁছেন তখন তাকে নিয়ম অনুযায়ী পূনরায় কোবিড ১৯ পরীক্ষা করানো হল পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ইতালি থেকে সিরাজ মিয়া কে দূত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রশাসন থেকে- পুলিশ সুপার- জেলা বিশেষ শাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে তথ্য-উপাত্ত যাচাই পূর্বক নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে বুঝা যায় যে ডাঃ আবু সাঈদ আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে গোঁজামিলের মাধ্যমে কোভিড ১৯ পরীক্ষা শুরু করেছেন কেবল মাএ। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে তিনি তার ব্যক্তিত্ব এতো নিচে নামিয়ে নিবেন সেটা এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রত্যেক জনগণ তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। এই সেই কোভিড ১৯ পরীক্ষার বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কে সমগ্র বাংলাদেশ সমালোচিত করেছেন ডাঃ আবু সাইদ " মানবতার ফেরিওয়ালা লোক দেখানো অভিনয় করে তারা জনগণকে ঠকিয়ে এসেছে। সাধারণ জনগণ জানতে চাচ্ছেন এই বিষয়টা কি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়?