আলোচনার মাধ্যমে ৬টি ধারা সংশোধনের আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
19, April, 2018, 12:32:17:PM
সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পাদক পরিষদের বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬টি ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলো নিয়ে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ যৌক্তিক বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আইনের সংশোধন করা হবে। বাক স্বাধীনতা হরণ করে এমন কোন আইন করছে না সরকার। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এমন আইন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে, সচিবালয়ে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের সাথে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী। প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ৩২ ধারা নিয়ে সকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সাথে বৈঠকে বসে সম্পাদক পরিষদ।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন আইনের প্রত্যাশা করেন তারা। সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক থেকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান মাহফুজ আনাম।
বৈঠকে উপস্থিত সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন নিউজ টুডের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম, যুগান্তরের সাইফুল আলম, নিউএজের নূরুল কবির, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন, সংবাদের খন্দকার মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম, ইনকিলাবের এএফএম বাহাউদ্দিন এবং বণিক বার্তার দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এ আইন কার্যকর হলে বিলুপ্ত হবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা। তার বদলে এসব ধারার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায়।
এ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ ও সংরক্ষণ করেন বা সহায়তা করেন, তা হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা। ২৫ লাখ টাকা জরিমানা।
এদিকে ৩২ ধারার মতো কঠোর বিধান যুক্ত করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ জানান সাংবাদিকরা। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা নিয়ে গত ২৫ মার্চ উদ্বেগ জানান ১১ দেশের কূটনীতিকরা।