দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলি খিয়ার মাহমুদপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মেয়ে নাসরিন আক্তারকে (৯) হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মা সুমী আক্তার লতিফা (৩৫)।
সুমী আক্তার লতিফা বিরামপুর উপজেলার পলি খিয়ার মাহমুদ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। তাদের শিশু কন্যা নাসরিন আক্তার খিয়ার মাহমুদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয়দের বরাতে ২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, রোববার বিকেলে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় স্বামী তোফাজ্জল হোসেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ঘরে সুমী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ এবং শিশুকন্যা নাসরিন আক্তারের মৃতদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশিরা।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, শিশুটির লাশের মুখে বিষের গন্ধ ছিলো। সে থেকেই ধারনা করা হচ্ছে শিশু কন্যাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে মা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনার পর স্বামী তোফাজ্জল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বিরামপুর থানার ওসি মোখলেসুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।