কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে চেইন্দা হোপ হাসপিটালে (মা ও শিশু হাসপাতাল) অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির লাশ নিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ বিপাকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। হোপ হসপিটালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, গত ২১ নভেম্বর রাত ৮ টায় নুরুল হক নামের ব্যক্তিসহ তিনজন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে ভর্তি করিয়ে চলে যায়। রোগীর অবস্থা মুমুর্ষ দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির স্বজন বা কোন ওয়ারিশ না থাকায় আহত ব্যক্তিকে পুণরায় হোপ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

আহত ব্যক্তিকে রাত পৌনে ১২টার দিকে হোপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২য় বার ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসারত অবস্থায় পরদিন সকাল অনুমান সাড়ে ৮ টায় আহত রোগী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি রামু থানায় অবহিত করেন।

রামু থানার জিডি নং-১০২৯ (তারিখ: ২২/১১/২০১৭ইং)। কর্তব্যরত এসআই মোহাম্মদ সাইদুর রহমান অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তির লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে প্রেরণ করেন। অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যাক্তির শরীরে মাথায়, কপালে, হাঁটুতে ও ডান হাতের কবজিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

অজ্ঞাতনামা লাশের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান রামু থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম লিয়াকত আলী।

উক্ত ব্যক্তিকে আঘাতের কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।

রামু থানার তদন্ত ওসি এস.এম মিজানুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির যে কোন ওয়ারিশ বা আত্মীয়স্বজনকে রামু থানায় এসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।